ভুটান ন্যাশনাল মিউজিয়াম, ভেতরে ছবি তোল নিষেধ, তাই বাইরে ছবি তুলি।
এটা ১৬ কিংবা ১৭ শতকে তৈরী একটা ওয়াচ টাওয়ার, জাদুঘরের ঠিক পাশেই একই বাউন্ডারির ভেতরে।
জাদুঘরের পাশে হাটাহাটির জায়গা
জাদুঘরের পাশ থেকে পারো এয়ারপোর্ট, নদী এবং জং দেখা যায়।
একটা ভিডিও দেখা যেতে পারে এবার:
জাদুঘরের পাশ থেকে অন্যদিকেও ভ্যালিটি দেখা যায়। মোটামুটিভাবে সম্পুর্ন পারো শহরই এখানে থেকে দেখা যায়।
এই যে মূল দোকানপাট ওয়ালা শহর, একটু পরে ওখানেই যাব কেনাকাটা করতে।
পারো জং দেখতে এলাম। তবে এখান থেকেই ঘুরে গেলাম। ভেতরে প্রশাসনিক অফিস আছে, আর ঢুকতে প্রবেশমূল্যও কম নয়।
গতকালের জায়গাতেই দুপুরের খাবার। আমাদের আবদার রেখে পাস্তা রান্না করেছেন, সাথে গাজরের স্যূপ। সব চেটেপুটে খেয়েছি।
এই সেই সোনম আপা, যার নামে সোনম'স হোম স্টে
রাস্তা থেকে দেখলে এমন: সোনম'স হোমস্টে।
খাওয়া দাওয়া শেষে এবার কাঠের ব্রীজ দেখতে আসলাম
এবার একটা ভিডিও দেখা যাক
কাঠের ব্রীজের প্রবেশপথ। ঠিক যেন পুনাখার জং এর মতই।
ব্রীজটিও একই রকমই বলতে হয়
ব্রীজের ঐপাশে রূপকথার বইয়ে থাকা ছবির মত নদীর পাড় দিয়ে পায়েচলা পথ।
একটা পথ উঠে গেছে জং এর দিকে; এটাও তো সেই বইয়ের ছবির মতই
এবার শহরে যাওয়া যাক:
পারো শহরের দোকানপাট, লোকজন
পারো শহরের দোকানপাট, লোকজন
পারো শহরের দোকানপাট, লোকজন - মেইন রাস্তার শাখা রাস্তায়
মনে হচ্ছে বেশ হাইফাই রেস্টুরেন্ট হবে
পেট্রল পাম্পের সাথে এটা সম্ভবত একটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড
রিসর্টে ফিরে রাতের বুফে খাওয়া দাওয়া
অদ্যই শেষ রাত। ডিনারের পরে শাটার টিপি।
৯। ৬ষ্ঠ দিন: চেকআউট ও ডিপার্চার
চেক আউট করে বিদায় আসন্ন। ওখানে সব হোটেল-রিসর্টেই লাগেজ টানাটানির কাজগুলো মেয়েরা করেছে!
ডিপার্চারে অপেক্ষায় কেউ কেউ ডায়েরি লেখে :)। অন্যরা এয়ারপোর্টের চমৎকার ফ্রী ওয়াইফাই নিয়ে ব্যস্ত।
বিদায় ভুটান উপর থেকে ভিডিও
১০। কিছু শেষ কথা:
- প্রথম এবং দ্বিতীয় হোটেল/রিসর্টে চেক-ইন, চেক আউট দুই সময়েই মেয়ে কর্মী এসে লাগেজ নিয়ে গিয়েছে (গাড়ি থেকে রুম এবং রুম থেকে গাড়ি)। দুই জায়গাতেই ডাইনিং, রিসেপশন সব জায়গায় মেয়ে । এসব দেখে আমার বউ আমাদের ড্রাইভার কাম গাইডকে জিজ্ঞেস করেছিল -- ছেলেরা সব কোথায়। উনি বললেন ভুটানে ২৫% ছেলে বাকী সব মেয়ে। পরবর্তীতে রিসর্টের স্যুভনির শপের মহিলা বলেছিল - তেমন কিছু নাই; পুরুষ মহিলা সমান সমান। উইকিপিডিয়াতেও পুরুষ/মহিলা = ১.০৯ দেখাচ্ছে। কাজেই এখান থেকে বুঝা যায়: গাইড সবসময় সঠিক তথ্য না-ও দিতে পারে।
- আমরা যাওয়ার আগে প্লেনের টিকেট কাটা নিয়ে বিরাট টেনশন। আমরা ফেরত আসতে চাই ১৪ তারিখে কিন্তু অনলাইনে এই তারিখে ফ্লাইট দেখায় কিন্তু বুক করতে দেয় না। আবার, ট্রাভেল এজেন্টও ১৪ তারিখের ফেরত ফ্লাইট নিয়ে খুব টেনশন। আমাদের উপস্থিতিতেই টিকেটিং অফিস থেকে তাঁর কাছে ফোনের পর ফোন আসতে থাকে -- টাকা নিয়ে আজকেই টিকেট নেন - নাহলে পরে পাবেন না। আমরা বলেছিলাম - না পেলে বাদ দেন (যেহেতু ভিসা করে ফেলেছি --- এমন কিছু বাধা পড়া ব্যাপার নাই।)। অনেক টেনশনের পর যাত্রার ৩/৪ দিন আগে টিকেট কেটে দিতে পেরেছিল। কিন্তু আসলে ফেরত আসার সময়ে দেখি ৪৮ সিটের প্লেনে সম্ভবত ২০ জনের বেশি যাত্রী ছিল না। বেশিরভাগ সিটই ফাঁকা। তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে এখানেও বিমানের মত কালোবাজারী হচ্ছে। সুতরাং ট্রাভেল এজেন্টের কাছ থেকে এই ধরণের চাপ আসলে সেটাকে একটু যাচাই করে নেবেন।
- আমাদের ট্রাভেল এজেন্ট ওখানে পৌঁছানোর পরও মেসেঞ্জারে ফোন করে খোঁজ খবর নিয়েছে। আসার পরও ফোনে খোঁজ খবর নিয়েছে। সিট ফাঁকা প্লেনের কথা তাঁকে বলায় জানালো ভুটান আর নেপালের ফ্লাইটে এই ধরণের বদমায়েশি করে। মনোপলী বলে কথা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন