শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০০৭

ডায়লগ!

ঘটনা-১
রাজাঃ আনি আনি, তোর কপালোত ক্যা অক্ত?
রাণী (ডায়লগ ভুলে গেছে!)ঃ অক্ত নোয়ায় অক্ত নোয়ায় আজা, অং অং।

ঘটনা-২
অভিনেতা (ডায়লগ ভুলে গেছে!)ঃ স্টেজোত উঠিয়া দেখনু সামিয়ানাখান ফাড়া; তার মইধ্যে দেইখনু মুই আকাশের চান তারা ..... ...

(বৃহত্তর রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায়)

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০০৭

নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্র!

বাড়ীর দরজা জানালা ঠিক করাতে হবে; গৃহকর্তা কাঠের খোঁজে আছেন। এমন সময় কাজের লোক খবর নিয়ে এল ---

কাঁয় বা কৈছিল্, কার বা বাড়িত্, কয়খান বা, কিসেরো বা তক্তা আছে ... ...

--- বুঝুন ঠেলা!


_____________________________________________________________
কমেন্ট:
====================================================
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৯ ১৫:৫২:২২

কেনে বাউ ?
====================================================
ভাসমান বলেছেন :
২০০৭-০১-১৯ ১৬:২৮:২৩

হু
====================================================
তাহসিন সাঈদা মুন বলেছেন :
২০০৭-০৪-০২ ১২:২৭:৪৪

(হাসি)
====================================================
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৪-০২ ১২:৩০:০২

তিনতলায় আমি বসি। বিলডিংটা ছয়তলা। তারউপরে সিড়ি ঘর আছে। সিড়ি ঘরের উপরে একটা মোবাইলের টাওয়ারও আছে। সেইখানে গিয়া দেখলাম বেশ দূরে কিছু মেঘ দেখা যাইতেছে। আপনার পোস্টটা সেই মেঘের উপর দিয়া উইড়া গেল! ধরতে পারলাম না।
====================================================
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৪-০৭ ০৩:১৪:০১

@কৌশিক: (অবাক)



বাংলা তরজমা দিলাম:

কে যেন বলেছিল... কার বাড়িতে যেন .... কয়টা জানি .... কিসের জানি (কোন গাছের কাঠ) ..... তক্তা (সাইজ করা কাটা কাঠের টুকরা) আছে!!!



- তথ্যপ্রদানকারী শুধু জানেন কাঠ পাওয়া যাবে ... তবে....

১. তথ্য কার কাছে পেয়েছে তা ভুলে গেছে

২. কোথায় কাঠ আছে তা ও জানেনা

৩. কি পরিমানে পাওয়া যাবে তা ও জানেনা

৪. কোন প্রজাতির কাঠ (সেগুন নাকি কাঠাল...) তা ও অজানা
====================================================
ফরিদ বলেছেন :
২০০৭-০৪-০৭ ০৪:২৩:২৮

কঠিন!
====================================================

মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০০৭

স্বাস্থ্যকর চিল্লাচিল্লি (কাকরাইল মসজিদের কথা বলছি না!)

(পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিলো)

চিল্লালে বা চিৎকার করলে যে মানসিক চাপ কমে (স্ট্রেস রিলিজ) তা বেশ আগে থেকেই জানতাম। দুই একবার জোরে চিল্লায়ও দেখছি দারুন কাজে দেয় .... ... সমস্যা একটাই – চারপাশের লোকজন কেমন কেমন করে জানি তাকায়!

জাপানে প্রথম যখন এসেছিলাম তখন আমার অফিস/ল্যাবের কাছেই দেখতাম প্রতিদিন বিকালে প্রায় একঘন্টা একদল ছেলে মেয়ে দল বেধে চিল্লায়। প্রথমে খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম, আর তখন ভাষাটাও বুঝতাম না মোটেও। পরে দেখি আরেক কারবার, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে (আমি আসছিলাম অক্টোবর মাসে) এখানে ইউনিভার্সিটি ফেস্টিভ্যাল হয় ... ... ওখানে এক পাশে এই দলটা দাড়িয়ে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে চিল্লিয়ে যায়। ধরেন প্রতি মিনিটে ১ বার ; পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছেন, হটাৎ একসাথে ২০/২৫ জন হো...... করে চিল্লায় উঠল --- পিলা চমকায় উঠে!

মাঝে মাঝে মনে হয় ওদের সাথে গিয়ে চিল্লাই – মনটা ফুরফুরা লাগবে। কিন্তু পারিনা ... ... ভাষাগত সমস্যা রয়ে গেছে। কিন্তু খুব চিল্লাতে ইচ্ছা করে। বাসায় দুই একবার চিল্লাইছি ... ... কিন্তু বউ ভয় পায় – আবার প্রতিবেশি কমপ্লেন না করে বসে! ভাষাটা ভাল জানলে এখানকার আবাসিক এলাকার লিডারকে প্রস্তাব দিতাম সপ্তাহে অন্তত একঘন্টা চিল্লানোর জন্য ফ্রী করে দেয়ার জন্য – ঐ সময়ে যে কেউ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে চিল্লায় আসতে পারবে। আর ইচ্ছা আছে যে, ভবিষ্যতে দেশের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড কমিটিকে প্রস্তাব দিব – স্বাস্থ্যকর বাসার পূর্বশর্ত হিসেবে, প্রতিটি আবাসিক বিল্ডিংএ একটা করে সাউন্ডপ্রুফ রূম রাখতে হবে।

আরেকটা কথা চুপি চুপি বলে রাখি ... ... কাঁচের জিনিস ভাঙ্গলেও রাগ কমে - সত্য সত্যই দুইবার আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে দেখছি। সুবিধা হচ্ছে, শব্দ তেমন একটা বেশি হয় না; তবে সমস্যা একটাই – ভাঙ্গা টুকরাগুলো পরিস্কার করা। তবে ভাঙ্গাভাঙ্গির কাজটা নিজ মালিকানাধীন জিনিস দিয়ে হওয়া উচিৎ। আর ভাঙ্গার জন্য বেছে নিন ছোট সাইজের আর কম আসবাবযুক্ত ঘর – পরিস্কার করা সহজ হবে!

কাজেই আর দেরী নয় – ভাঙ্গা যায় এমন পুরানো/বাতিল কাঁচ/সিরামিকস এর তৈজসপত্র আলাদা করে রাখুন; রাগ উঠলেই ঠুস্ ।