শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১১

ফ্রী ক্যাড প্রোগ্রাম (পূণর্লিখিত)

কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিন্তু অটোক্যাডের নাম শোনেননি এমন পাঠক হয়তো পাওয়া যাবে না। অটোডেস্ক কোম্পানির এই সফটওয়্যারটি পুরকৌশলে ক্যাড (কম্পিউটার এইডেড ড্রইং) কাজের জন্য অলিখিত স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন কাজে অটোক্যাড প্রোগ্রামটি এদেশেও বহুল ব্যবহৃত হয়; এমনকি কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রমেও এই সফটওয়্যার ব্যবহারের কোর্স আছে (অনেক আগে একবার সেই কোর্স পড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম!)।

অটোক্যাড শেখার জন্য বাজারে দারুন সব বই পাওয়া যায়। তবে প্রাথমিক কাজগুলো শিখে ফেললে ঐ মোটা বইগুলোর বদলে পকেট রেফারেন্স হ্যান্ডবুক বেশি কাজে লাগে। দেশে অটোডেস্ক সার্টিফায়েড ট্রেনিং সেন্টারগুলোও দারুন ব্যাবসা করছে। আমি অবশ্য সেই বই পড়ে এটা ব্যবহার করা শিখেছিলাম। তবে সত্যিকারের কাজ তেমন না থাকাতে উৎসাহটা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আমি মূলতঃ পুরকৌশলী (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার), তাই প্র্যাকটিসের জন্য যে বাসাগুলোতে থাকতাম সেগুলোর ক্যাড ড্রইং করে ফেলতাম। এছাড়া অবশ্য খুব ক্ষুদ্র পরিসরে দুই/তিনটা কাজ করেছিলাম।

সেই সময়ে বাসা বাড়ির ড্রইং করার জন্য আরো কিছু ক্যাড সফটওয়্যার ঢাকাতে পাওয়া যেত। এমন একটার নাম থ্রিডি হোম আর্কিটেক্ট। এটা খুব সহজ এবং মজার হলেও অটোক্যাডের মত স্বাধীনতা থাকতো না। তবে সুবিধা হল বিভিন্ন ক্যাড প্রোগ্রামগুলোকে একটা সাধারণ ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে ফাইল আদান প্রদান করা যায়। তাই ঐটা দিয়ে দ্রুত একটা ড্রইং এর কাঠামো দাঁড় করিয়ে পরবর্তীতে অটোক্যাড দিয়ে সেটাকে মানুষ করা যেতে পারে।

কিন্তু পাইরেসি থেকে দুরে থাকার লক্ষ্যে বেশ কয়েকবছর যাবত আমি মোটেও অটোক্যাড ব্যবহার করিনা। বরং ঠিক অটোক্যাডের মত কিছু ফ্রীওয়্যার ব্যবহার করি। এই লেখায় আপনাদেরকে সেই ক্যাড সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে যৎসামান্য জানি তা বলার চেষ্টা করবো।

প্রোজক্যাড


যখন ল্যাপটপে উইন্ডোজ ব্যবহার করতাম তখন ক্যাডের জন্য ব্যবহার করতাম ProgeCAD নামে একটা প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটির নিজস্ব ইন্টারফেস ছাড়াও হুবহু অটোক্যাড ইন্টারফেস আছে যেটা ইনস্টলের সময়ই নির্ধারণ করে দেয়া যায়; এমনকি অটোক্যাডের সমস্ত কমান্ডও এখানে হুবহু একই কাজ করে। ProgeCAD-এর এই ফ্রীওয়্যারটির ক্ষমতা সীমিত — যা 2D টু-ডাইমেনশনাল ড্রাইং পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। 3D, অ্যানিমেশন, রেন্ডারিং এটা দিয়ে করা যায় না …. বিদেশে উচ্চতর লেখাপড়া করার সময় আমার টুকটাক ড্রাইং-এর জন্য এটাই যথেষ্ট ভালো সাপোর্ট দিয়েছিল। কিছুদিন আগেই এটার নতুন ভার্সান বাজারে ছাড়লো। যথারীতি 2D ক্ষমতার ফ্রী ভার্সানটিও আছে। উচ্চতর কাজের জন্য এটার প্রোফেশনাল ভার্সানগুলো যথেষ্ট দাম দিয়েই কিনতে হবে, তবে সেগুলো অটোক্যাডের চেয়ে সস্তা। এটার লেটেস্ট ভার্সনটারও একটা ফ্রী ট্রায়াল ভার্সন আছে, তবে আগের বছরগুলোতে ফ্রী ট্রায়ালটার অসীম সময়ের জন্য কিন্তু সীমিত ক্ষমতার হত (2D), কিন্তু ইদানিংকার ফ্রী-ট্রায়ালগুলো পূর্ণ ক্ষমতার কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য (১ মাস)।

এটার কোনো লিনাক্স ভার্সান নাই, তবে wine নামক একটা পদ্ধতিতে এটা লিনাক্সেও ব্যবহার করা যাচ্ছে। এই সফটওয়্যার দিয়ে আঁকা আমার একটা ড্রইং-এর নমুনা দেখেন; লেখাগুলো পরবর্তীতে ডকুমেন্টে পেস্ট করার পর ওপেন অফিস থেকে করা হয়েছে।


কিউক্যাড

এই মাত্র তিন বছর আগেও লিনাক্সে (উবুন্টুতে) ক্যাডের জন্য ভালো কিছু ছিল না। তাই ইউজার ফোরামগুলোতে এই নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হত, এমনকি ওয়াইন নামক সফটওয়্যার দিয়ে অটোক্যাড চালানোর জন্যও সাহায্য চেয়ে পোস্ট থাকতো। তখন বেশ কিছু ক্যাড সফটওয়্যারের নাম জানতে পারি। ব্রিক্সক্যাড নামক একটা সফটওয়্যারের স্ক্রীনশট দেখে বেশ পছন্দ হয়েছিল। এটার উইন্ডোজ এবং লিনাক্স ভার্সান ছিল, কিন্তু কোনটাই ফ্রী ছিল না; তাই শুধু ক্রীনশট দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো। এছাড়া আরো ডজনখানেক ক্যাড সফটওয়্যারের মধ্যে স্যাগক্যাড(SagCAD) এবং কিউক্যাডকে (QCAD) একটু জাতের মনে হয়েছিলো। স্যাগ ক্যাড দিয়ে কিছু আঁকা গেলেও কিউ ক্যাডের কিছুই বুঝতে পারি নাই সেই সময়ে।

কিন্তু দিন বদলেছে; উবুন্টু ৮.০৪ বা ৮.১০ থেকে QCAD প্রোগ্রামটা দিয়ে কাজ করার পদ্ধতি জেনে গেলাম (অথবা প্রোগ্রামটা উন্নত হওয়াতে সেটা করতে পারলাম)। এখন (উবন্টু ১০.১০, মিন্ট জুলিয়া ইত্যাদিতে) অনায়েসে অতি সহজে এটা দিয়ে প্রয়োজনীয় আঁকাআঁকির কাজ করছি। রিবনসফট কোম্পানির এই সফটওয়্যারটির লিনাক্স ভার্সান ফ্রী, উইন্ডোজেও কমিউনিটি ডেভেলপড একটা ওপেনসোর্স এবং ফ্রী ভার্সান আছে বলে ওদের ওয়েবসাইটে দেখলাম। উবুন্টু লিনাক্স থেকে এটা দিয়ে খুব তাড়াহুড়া করে আঁকা একটি নমুনা দেখুন।

একটা স্পনিং মিলের লেআউট প্ল্যান করে দিয়ে এই খাতে আমার প্রথম কনসালটেন্সির রোজগারটাও কিউক্যাড দিয়েই করেছিলাম। একটা ট্রায়ালের নমুনা আউটপুট দেখুন


এবার একটু 3D মডেলারের কথা বলি, এগুলো আমার ঠিক কাজে লাগে না তবে দেখার জন্য নামিয়েছিলাম:

সুইট হোম থ্রিডি


Sweet Home 3D পুরা থ্রীডি হোম আর্কিটেক্টের মত একটা সফটওয়্যার, তবে এটা ওপেনসোর্স। এটা দিয়ে দারুন মডেল করা যায়। এটা উইন্ডোজ, ম্যাক বা লিনাক্সে চলে। ডাউনলোড পাতার লিংক। আমার গুতাগুতির একটা ফলাফলের স্ক্রিনশট দেখুন:



গুগল স্কেচআপ


এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই। ইতিমধ্যেই দেশের আর্কিটেকচারাল ফার্মগুলো দ্রুত মডেল বানানোর জন্য এটা ব্যবহার করা শুরু করেছে। আমার হাতুড়েগিরি করা একটা মডেলের ছবি দেখুন।


ফ্রী (কিন্তু ওপেনসোর্স নয়) এই সফটওয়্যারটা মূলত ম্যাক ও উইন্ডোজের জন্য হলেও ওয়াইন দিয়ে লিনাক্সে অনায়েসেই চালাচ্ছি।


==============
পুরকৌশলে ব্যবহৃত কয়েকটি ক্যাড সফটওয়্যারের ওয়েবপেজের লিংক এবং দামের তালিকা:

নাম দিয়ে গুগলে সার্চ দিলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
(একই সাথে টেকটিউনসে প্রকাশিত)

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১১

GIMP দিয়ে সহজে এনিমেশন বানানো

আমি হাতুড়ে গিম্প ব্যবহারকারী। গিম্প একটা ওপেনসোর্স ও ফ্রী সফটওয়্যার যেটা দামী ফটোশপের বিকল্প হিসেবে ব্যাক্তিপর্যায়ে ব্যবহার করা যায়। আরও মজার ব্যাপার হল গিম্প লিনাক্সের বেশিরভাগ জনপ্রিয় ডিস্ট্রিবিউশনের সাথেই দেয়া থাকে, এমনকি লাইভ সিডি থেকেই চালানো যায়। এছাড়া উইন্ডোজ আর ম্যাকেও গিম্প চলে। আমি যেহেতু এনিমেশন বা গ্রাফিক্সের কাজ করে লাখ লাখ টাকা কামাই না, শুধু শখের বশে এটা ওটা করি তাই অত টাকা খরচ করে ফটোশপ কেনার প্রয়োজন দেখি না। আমার যেই কাজ সেটার জন্য গিম্পই যথেষ্টর চেয়েও বেশি।
সাধারণত সহজ সরল এনিমেশন বানানোর জন্য গিম্পের উপরই ভরসা করি এখনো। প্রথমে সহজ সরল বলতে কী বুঝাচ্ছি সেটা দেখেন একটু:

এটা ৭৫x৭৫ পিক্সেলে করা একটা ইমেজ। এটাতে তিনটা ছবি ১ সেকেন্ড পরপর দেখাচ্ছে। এ ধরণের এনিমেশন (এটাকে যদি এনিমেশন বলার দূঃসাহস দেখাই) বানানো যায় গিম্প দিয়েই।
এটা করা অসম্ভব সোজা। গিম্পর লেআউটও ফটোশপের মতই। এজন্য শুধু আলাদা আলাদা লেয়ারে বিভিন্ন ছবি জিনিষ রেখে সেটাকে সেভ এ্যাজ করে gif ইমেজ হিসেবে সেভ করতে হয়। তারপর সেভ করার সময় এনিমেশন অপশনটা সিলেক্ট করতে হয়। উপরের ইমেজটাও gif ইমেজ যেটাতে তিন লেয়ারে তিনটা ছবি/টেক্সট দেয়া হয়েছে।

এই ছবিটা বানানোর জন্য অবশ্য শুরুতে একটা নতুন ব্ল্যাংক ফাইল খুলেছিলাম। File –-> New থেকে। আপনারা এভাবেও করতে পারেন কিংবা একটা ছবিকেও গিম্প দিয়ে খুলে তার উপর কাজ করতে পারেন। নতুন ফাইল খুললে এমন একটা উইন্ডো আসে যেখানে আপনার পছন্দ বা পরিকল্পনা অনুযায়ী সাইজ, রেজুলুশন, ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করে দিতে পারবেন।

এরপর সুবিধামত লেয়ারগুলোতে ছবি রাখুন। আমার কাজের স্ক্রিনশট এরকম: ওহহো পুরা স্ক্রিনশট নিলে অনেক বড় ছবি হবে তাই দরকারী শুধু লেয়ার প্যানেলটা দেখালাম। এই প্যানেলের নিচে যেই আইকনগুলো দেখছেন সেগুলোর দিয়ে নতুন লেয়ার যোগ করা, ডুপ্লিকেট লেয়ার বানানো, লেয়ার মুছে ফেলা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করা যায়। ওগুলোর উপরে মাউস নিয়ে গেলেই টুলটিপে সাহায্য দেখাবে। এই একই কাজগুলো মেনু থেকেও করা যায়, সম্ভবত শর্টকাট কী-ও আছে।


সব লেয়ার রেডি হলে এরপরের কাজ হল File মেনু থেকে Save as সিলেক্ট করা। কিংবা শর্টকাট কী Shift+Ctrl+S। এতে যে উইন্ডো খুলবে সেটাতে কোথায় সেভ করবেন সেটা দেখায় দেয়া ছাড়াও gif হিসেবে সেভ করার জন্য দেখিয়ে দিতে হবে। এজন্য নিচের বামদিকে: Select File Type (By Extension) লেখাটায় ক্লিক করলেই নিচে বিভিন্ন অপশন পাবেন। সেখান থেকে GIF Imageটা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর নিচের Save এ ক্লিক করতে হবে।
এতে নিচের ছবির মত একটা অপশন আসবে। এতে আপনাকে Save as Animation সিলেক্ট করে দিতে হবে। (ডিফল্ট হিসেবে অন্যটা থাকে) … বুঝতেই পারছেন এটা না করলে এনিমেট না করে সব লেয়ার মার্জ বা ফ্ল্যাটেন কর দেবে। অপর অপশনটা ঠিক আছে কি না চেক করে Export এ ক্লিক করুন।

এটা করলে গিম্প আপনাকে এনিমেশনের বৈশিষ্ট ঠিক করার জন্য GIF Options নামে নিচের ছবির মত আরেকটা উইন্ডো দেখাবে।

এখানে আপনাকে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী অপশন সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Save দিতে হবে।
  • উপরে আমি Loop forever এ চেক দিয়েছি – এতে অ্যানিমেশনটি অনবরত চলতে থাকবে। এটা না দিলে একবার দেখিয়েই থেমে যেত।
  • Delay ১০০০ মিলিসেকেন্ড (=১ সেকেন্ড) দিয়েছি। এতে প্রতিটা লেয়ারের ছবি ১ সেকেন্ড করে দেখাবে। (অর্থাৎ আমার তিনটি লেয়ার মোট ৩ সেকেন্ডে দেখাবে)
  • One frame per layer (replace) দিয়েছি। এতে প্রতিটা ছবি আলাদা আলাদা ভাবে দেখাবে। অন্য অপশনটায় একটার উপরে আরেকটা একসাথে দেখাতো।
ব্যাস হয়ে গেল এনিমেশন করা ইমেজ।

এখানে আরেকটা উদাহরণ যোগ করলাম। এখানে দুইটা লেয়ার এবং মাঝখানে ২ সেকেন্ড গ্যাপ দেয়া হয়েছে (=২০০০ মিলিসেকেন্ড), অনন্ত লুপ হিসেবে রাখা হয়েছে।

এটাতে দুইটা ছবি। ৫০০ মিলিসেকেন্ড বিরতি।

উইন্ডোজের জন্য গিম্প ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে (১৯.৪ মেগাবাইট): http://gimp-win.sourceforge.net/stable.html


রংপুরে পেঙ্গুইন মেলা – ২২ শে এপ্রিল ২০১১

দেশকে সফটওয়্যার পাইরেসীর কলংক থেকে মুক্তি দিতে ও গ্লানি মুক্ত করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে দামী সফটওয়্যার চুরির মনোবাসনা পরিত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সকল ছাত্র-জনতার পক্ষে দামী সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই এর বিকল্প হল ওপেন সোর্স এবং ফ্রী সফটওয়্যারগুলো। উন্মুক্ত বা ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের সুবিধা হল এর উৎসের কোডগুলো সকলে দেখতে পারে, ফলে লুকিয়ে কোন ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম এতে দেয়া আছে কি না তা সহজেই বের করা যায়, যা নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সোর্সকোড উন্মুক্ত বলে আগ্রহী শিক্ষার্থীগণও এ থেকে উপকৃত হতে পারে। উন্মুক্ত সফটওয়্যার বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ মানোন্নয়ন করতে পারেন আর এজন্য এগুলো খুব দ্রুত উন্নত আর ব্যবহারবান্ধব হয়ে ওঠে। দেশকে পাইরেসীর গ্লানি ও কলংক মুক্ত করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে FOSS Bangladesh দেশে মুক্ত সফটওয়্যার প্রসারে স্বেচ্ছাসেবা দেয়ার জন্য একটা প্লাটফরম।
এই সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য নিয়মিত ভাবে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, টাঙ্গাইলের পরে এবার এরই ধারাবাহিকতায় রংপুরে আয়োজন করা হয়েছে পেঙ্গুইন মেলা। এর বিস্তারিত:

বিস্তারিত

অনুষ্ঠানের শিরোনামঃ

“পেঙ্গুইন মেলা – ২০১১” রংপুর বিভাগ

তারিখঃ

২২ শে এপ্রিল ২০১১, রোজ শুক্রবার।
বিকাল ৩:৩০মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬:৩০ মিনিট

স্থান:

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন-২

আয়োজকঃ

ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ

সহযোগীতায়ঃ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর, রংপুর

অনুষ্ঠানসূচীঃ (মোট ৩ ঘন্টা)

  • লিনাক্স পরিচিতি, ইনস্টলেশন ও ব্যবহার
    (বিকাল ৩:৩০মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৫:০০ মিনিট)
    • লিনাক্স পরিচিতি                                    — ৩০ মিনিট
    • লিনাক্স মিন্ট পরিচিতি                             – ৩০ মিনিট
    • লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল ও কনফিগার করা      — ৩০ মিনিট
  • চা-বিরতি                                                     – ৩০ মিনিট
  • সমস্যা সমাধান
    (বিকাল ৫:৩০মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬:৩০ মিনিট)
    • প্রশ্নোত্তর ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান          — ৩০ মিনিট
    • দর্শকের অংশগ্রহনে আলোচনা                  — ৩০ মিনিট

ডিভিডি সংগ্রহ

অনুষ্ঠানস্থল থেকে স্বল্পমূল্যে ওপেনসোর্সড থ্রি-ডি গেমসহ লিনাক্স মিন্ট ১০ জুলিয়া’র সংকলিত ডিভিডি সংগ্রহ করা যাবে।

রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১১

ছবির উজ্জ্বলতা ঠিক করার জন্য GIMP এর একটি কৌশল

অনেক সময় ছবি তুললে দেখা যায় ছবি অন্ধকার। মনটা খারাপ হয়ে যায়। এই রকম ছবি সহজেই উজ্জ্বল করা যায় ফ্রী সফটওয়্যার GIMP এর সাহায্যে। আমি নিজে হাতুড়ে GIMP ব্যবহারকারী, তাই এর চেয়েও ভাল কৌশল থাকতে পারে যা আমি হাতড়িয়ে পাইনি। এই কৌশল ব্যবহার করে ছবি ঠিক করে ফেসবুক বা অন্যখানে শেয়ার করি প্রায়ই। উদাহরণ দেখুন প্রথমে:
https://lh4.googleusercontent.com/_QKHxtIJk6UI/TaHBza4ZDNI/AAAAAAAAAzU/Es2ee_5aEUU/s800/sample-1.jpg
বামদিকের ছবিটা হল একটা টেবিলকে খাড়া করে রেখে তার উপরে একটা দেয়ালিকা সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে। ডানদিকে শুধু দেয়ালিকাটাকে সিলেক্ট করে গিম্প দিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়েছে। এমন আরেকটি উদাহরণ দেখুন নিচে: এই ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ অংশ নয় বরং পুরা ছবিটাতে একই টেকনিক ব্যবহার করা হয়েছে।
https://lh4.googleusercontent.com/_QKHxtIJk6UI/TaHB9ZHFc9I/AAAAAAAAAzY/ei44ZhDoN-E/s800/sample-2.jpg
এবার দেখুন কিভাবে করতে হয়। যদি ছবির কিছু অংশে এই কাজ করতে চান তবে বামদিকের টুলবার থেকে চারকোনা, গোলাকার বা ইচ্ছামাফিক সিলেকশনের টুল নিয়ে দরকারী এলাকা সিলেক্ট করে নিন (নিচের ছবিতে চারকোনা টুল দিয়ে সিলেক্ট করা হয়েছে)। যদি নির্বাচিত এলাকা আর বাইরের অংশে হঠাৎ করে পরিবর্তন না দেখাতে চান তবে এই সিলেকশনের সাথে Feather অপশনটাও টিক দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পুরা ছবির জন্য কোনো কিছু সিলেক্ট করার প্রয়োজন নাই। তবে আমার পরামর্শ হল ছবিটার একটা কপির উপর কাজ করুন, কারণ ছবি পরিবর্তন হয়ে গেলে আগের অবস্থায় ফেরত যেতে পারবো কি না সেই টেনশন থাকবে না তাহলে। আর আগের অবস্থার সাথে পরিবর্তনের তুলনাও করতে পারবেন সহজে।
https://lh5.googleusercontent.com/_QKHxtIJk6UI/TaHCEsHNOtI/AAAAAAAAAzc/P18J3MYwGNs/s800/steps.jpg
  • প্রথমে মেনু থেকে: Colors –-> Curves  সিলেক্ট করুন।
    এতে পরের অংশটার মত একটা উইন্ডো আসবে। যার কর্ন বরাবর একটা সরল রেখা। এই রেখাটাকে ইচ্ছামত টানা হেঁচড়া করুন, সাথে সাথে ছবির পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দমত পরিবর্তন হলে OK  দিয়ে বের হয়ে আসুন।
    আমি সাধারণত রেখাটাকে ডানদিকের ছবির মত একটু সরিয়ে দেই, গ্রাফের যেই অংশে কিছু নাই ঐ অংশটুকু থেকে রেখাটার প্রান্তকে ভেতরের দিকে সরিয়ে দেই। তারপর রেখাটার মাঝামাঝি এক জায়গায় ধরে একটু উপরের দিকে ধনুকের মত বাঁকিয়ে দেই। অন্যভাবেও টেনে দেখতে পারেন।
  • এবার ফাইল মেনু থেকে save করুন।
তো ... উপভোগ করুন GIMP ও ছবি নিয়ে গুতাগুতি।
(GIMP ফটোশপের মত কাজ করার জন্য একটা ওপেনসোর্স সফটওয়্যার যা উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাকে ব্যবহার করা যায়।)
এই পোস্টে দেয়ার জন্য ছবিগুলো খুবই সহজে তৈরী করেছি Inkscape দিয়ে – এটা অনেকটা কোরেলের মত একটা দারুন ওপেনসোর্স সফটওয়্যার।

সংযুক্তি: আরেকটি ছবি যোগ করলাম। এতে প্রতিটি মুখমন্ডল আলাদাভাবে গোলাকার সিলেকশন টুল দিয়ে সিলেক্ট করে একই কাজ করা হয়েছে।  smile
https://lh5.googleusercontent.com/_QKHxtIJk6UI/TaKJpWzVvuI/AAAAAAAAA0E/LUEOg1Pwfzs/s800/sample-3.jpg


একইসাথে টেকটিউনস ও প্রজন্মফোরামে প্রকাশিত।