ফুলের কাঁটা, ফুলের পিন
এদেশে খুব বেশিদিন হয়নি ফুল একটা বৃহৎ বাণিজ্য। ব্যক্তিগত ভাবে উপহার হিসেবে (দেয়া কিংবা নেয়া) আমি ফুলের চেয়ে খাবারদাবার বেশি পছন্দ করি। আমার এই পছন্দের ক্রমটা নিজের জন্য বেশ ক্ষতিকারক হয়েছে -- অধমের বিশাল ভূঁড়ি দেখলেই সেটা অনুভব করবেন। গত ভ্যালেন্টাইন ডে'তে আমার কলিগগণ একটা সারপ্রাইজ গিফট দিলেন আমাদের দুজনকে (মিয়া-বিবি); আমার জন্য কেক আর ওনার জন্য ফুলের ঝুড়ি (banquet)। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি: আমরা মিয়া-বিবি একই যায়গায় চাকুরী (মাস্টারি) করি।
ফুলের ঝুড়িতে অনেকগুলো বিশালাকৃতি লাল গোলাপের কুঁড়ি ছিলো, যেগুলো তাদের পুষ্ট স্বাস্থ্যের জন্যই হয়তো ভীষন রকম দৃষ্টি আকর্ষক ছিলো। বাসায় আসার সময়ে সেই ঝুড়ি নিয়ে আসা হল, কারণ পরের ৩ দিন তথাকথিত হরতাল ডেকেছে ... ...। বাসায় ফুলগুলোকে আলাদা করে নিয়ে একটা ফুলদানিতে পানিতে রাখা হল।
আজ সকালে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ফুলের কাণ্ডে একটা তার পেঁচানো। আরেকটু ভাল করে লক্ষ্য করে দেখি ফুলগুলোতে পিন ফুটানো। বৃতির অংশগুলো পাপড়িগুলো সহ পিন দিয়ে আটকানো, অনেকসময় টিস্যূ পেপার যেভাবে স্যান্ডউইচের সাথে টুথপিক দিয়ে গাঁথা থাকে সেভাবে।
ফুলটিকে ফুটতে না দিয়ে এর আকৃতি আধাফোটা কুঁড়ির মতই রাখতে হয়তো এই আয়োজন। দুটো ফুল থেকে পিনগুলো খুলে দিলাম -- গুনে দেখি ১১টি পিন বের হয়েছে। ভালমত না দেখলে এই তার বা পিনগুলোকে দুর থেকে বোঝা যায় না। খুলে দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যেই ঐ দুটি কুঁড়ি থেকে অর্ধপ্রষ্ফুটিত ফুলে পরিণত হল ... ..
অনেকরকম ভাবনা মাথার মধ্যে খেলে যাচ্ছে -- যাকে কিনা বলে মিশ্র অনুভুতি।
- বিভিন্ন কাব্যিক বর্ণনার সুন্দর নিষ্পাপ ফুল আর নেই। এটা পিনকুশন হয়ে গিয়েছে।
- বাণিজ্য ফুলের স্বাভাবিকতা নষ্ট করছে। কেএফসির চিকেন যেমনভাবে উৎপন্ন হয় বলে কিছু গা-শিউরানো ছবি ও ভিডিও দেখেছিলাম -- এই ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই মনে হল।
- খুবই বুদ্ধিদীপ্ত অভিযোজন। এভাবে ফুলের আকৃতি অটুট থাকবে। কোনো অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহৃত হলে সেটা পুরা সময় জুড়ে ঠিক যেমন চাই তেমন থাকে।
- বাণিজ্যের কাছে প্রকৃতির স্বাভাবিকতা হেরে যাচ্ছে বারবার। জোর করে স্বাভাবিকতায় অস্বাভাবিকতা আরোপ করা হচ্ছে। আর আমরাও প্রকৃতির স্বাভাবিকতার চেয়ে আরোপিত সৌন্দর্যে বেশি আপ্লুত হচ্ছি .... ....
যা হোক এই পর্যন্ত পড়ে থাকলে হয়তো ভাবছেন -- ব্যাটা এক ফুল নিয়ে কত ত্যানা প্যাঁচাইতে পারে! ... ...
ফুলের ঝুড়িতে অনেকগুলো বিশালাকৃতি লাল গোলাপের কুঁড়ি ছিলো, যেগুলো তাদের পুষ্ট স্বাস্থ্যের জন্যই হয়তো ভীষন রকম দৃষ্টি আকর্ষক ছিলো। বাসায় আসার সময়ে সেই ঝুড়ি নিয়ে আসা হল, কারণ পরের ৩ দিন তথাকথিত হরতাল ডেকেছে ... ...। বাসায় ফুলগুলোকে আলাদা করে নিয়ে একটা ফুলদানিতে পানিতে রাখা হল।
আজ সকালে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ফুলের কাণ্ডে একটা তার পেঁচানো। আরেকটু ভাল করে লক্ষ্য করে দেখি ফুলগুলোতে পিন ফুটানো। বৃতির অংশগুলো পাপড়িগুলো সহ পিন দিয়ে আটকানো, অনেকসময় টিস্যূ পেপার যেভাবে স্যান্ডউইচের সাথে টুথপিক দিয়ে গাঁথা থাকে সেভাবে।
ফুলটিকে ফুটতে না দিয়ে এর আকৃতি আধাফোটা কুঁড়ির মতই রাখতে হয়তো এই আয়োজন। দুটো ফুল থেকে পিনগুলো খুলে দিলাম -- গুনে দেখি ১১টি পিন বের হয়েছে। ভালমত না দেখলে এই তার বা পিনগুলোকে দুর থেকে বোঝা যায় না। খুলে দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যেই ঐ দুটি কুঁড়ি থেকে অর্ধপ্রষ্ফুটিত ফুলে পরিণত হল ... ..
অনেকরকম ভাবনা মাথার মধ্যে খেলে যাচ্ছে -- যাকে কিনা বলে মিশ্র অনুভুতি।
- বিভিন্ন কাব্যিক বর্ণনার সুন্দর নিষ্পাপ ফুল আর নেই। এটা পিনকুশন হয়ে গিয়েছে।
- বাণিজ্য ফুলের স্বাভাবিকতা নষ্ট করছে। কেএফসির চিকেন যেমনভাবে উৎপন্ন হয় বলে কিছু গা-শিউরানো ছবি ও ভিডিও দেখেছিলাম -- এই ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই মনে হল।
- খুবই বুদ্ধিদীপ্ত অভিযোজন। এভাবে ফুলের আকৃতি অটুট থাকবে। কোনো অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহৃত হলে সেটা পুরা সময় জুড়ে ঠিক যেমন চাই তেমন থাকে।
- বাণিজ্যের কাছে প্রকৃতির স্বাভাবিকতা হেরে যাচ্ছে বারবার। জোর করে স্বাভাবিকতায় অস্বাভাবিকতা আরোপ করা হচ্ছে। আর আমরাও প্রকৃতির স্বাভাবিকতার চেয়ে আরোপিত সৌন্দর্যে বেশি আপ্লুত হচ্ছি .... ....
যা হোক এই পর্যন্ত পড়ে থাকলে হয়তো ভাবছেন -- ব্যাটা এক ফুল নিয়ে কত ত্যানা প্যাঁচাইতে পারে! ... ...
২টি মন্তব্য:
বানিজ্যিক প্রভাবের তোড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বিপন্নতা :(
বানিজ্যিক প্রভাবের তোড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বিপন্নতা :(
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন