বালি ভ্রমণ - ০১
মানুষজনের বালি ভ্রমণের পোস্ট আর ভিডিও ব্লগ (ভ্লগ) দেখে দেখে সেখানে যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল বটে - তবে সেটা কোনদিন বাস্তব
হবে ভাবিনি। কিন্তু বিদেশ ভ্রমণ না করলে স্ট্যাটাস বৃদ্ধি ব্যহত হবে ভেবে
আমার গিন্নি সেখানে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। যথারীতি আমি কিস্যূ বলিনা --
কারণ ওসব ঝামেলায় কে যায়। কাজেই সব দৌড়াদৌড়ি করে প্লেনের টিকিট কাটা,
হোটেল বুকিং দেয়া -- ইত্যাদি উনি করে ফেললেন। অন অ্যারাইভাল ভিসার
ব্যাপারটা খুবই সুবিধাজনক। আর পুরা ভ্রমণের স্পন্সরও গিন্নি -- কাজেই আমিতো
মহা ফূর্তিতে অফিস থেকে ছুটি ম্যানেজ করলাম। ঈদের (ইদের) ছুটির সাথে বলে
এটাতেও তেমন ঝামেলা হল না।
কাজেই ঈদের আগের দিন রাতে (টেকনিক্যালি ঈদের দিন) আমরাও রওয়ানা দিলাম। ফেসবুকে ছবিটবি পোস্ট দিয়েছি এর আগে। রওয়ানা দেয়ার আগেই কুয়ালালামপুরের এয়ারপোর্টে আট ঘন্টার ট্রানজিট কাটানোর প্লান করলাম। ওখানকার এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানলাম, সেখানে কী কী দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট আছে। কাজেই ঐ এয়ারপোর্টে নেমে সকালে একটু বেলা হলেই (পড়ুন দোকান খুলতেই) পছন্দের নির্ধারিত দোকানে খাওয়া দাওয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম।
এয়ারপোর্টের মাঝে একটা চমৎকার বাগানও খুঁজে পেয়েছিলাম।
যা হোক ক্লান্তিকর ভ্রমণ শেষে পৌছুলাম সুন্দরভাবেই। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ল্যান্ড করলাম।
ইমিগ্রেশন:
আমরা জানতাম যে পাসপোর্ট, রিটার্ন টিকিট আর হোটেল বুকিং স্লিপ দেখালেই অন এরাইভেল ভিসা দেয়। যথারীতি ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ালাম। লাইনের মাথায় যখন পৌঁছে গেছি, তখন এক মহিলা পুলিশ এগিয়ে এসে বললো,
- ' হ্যাভ ভিসা? নো ভিসা?'।
আমরা মাথা নাড়লাম। বললাম আমাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা। আমাদের পাসপোর্ট চেয়ে নিয়ে বললো
- 'ফলো মি'।
তারপর ইংরেজিতেই বললো - আরো কেউ আছে নাকি এরকম তাহলে আসো।
কেউই আর নাই। কাজেই আমরা ওনাকে ফলো করতে থাকলাম; সবগুলো বক্স পার হয়ে (ঢাকা এয়ারপোর্টের মতই) আরেক লোকের কাছে পাসপোর্ট দিয়ে বললো
- 'গো উইথ হিম'।
আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে পাশের ঘরের ভেতরে চলে গেল। তখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখি পেছনে একটা টেবল ছিল - অন অ্যারাইভাল ভিসা লেখা। সেখানে দুই একজন দাঁড়িয়ে কি জানি লিখছে। ভাবলাম -- ধুর্, লোকজনকে ফলো করে এদিকে আসতে গিয়ে এটাই তো চোখে পড়েনি। এই সময়ে ঐ লোক বের হয়ে এসে বললো
- 'ইয়োর টিকেট প্লিজ'
টিকিটগুলো দিলাম। তারপর বিড়বিড় করে গিন্নিকে বললাম 'এরপর হোটেল বুকিঙের কাগজ নিতে আরেকবার আসবে'। ঠিকই একমিনিট পর লোকটা বের হয়ে আসলো। এসে আমাদের হাতে পাসপোর্ট দিয়ে দিল!! অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
- 'এভরিথিং ওকে? ক্যান উই গো'।
লোক হেসে বললো - ইয়েস।
এয়ারপোর্টের বাইরে:
বের হয়ে প্রথম কাজ হলো ট্যাক্সি ঠিক করা। হোটেল থেকে পিক-আপ সার্ভিস বুক দিতে চাইলে ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্ট বলেছিলো এতে ৮হাজার টাকা লাগবে, আপনারা বরং এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে নেন। আর বিভিন্ন ব্লগ, ভ্লগ ইত্যাদিতে আরো পরামর্শ শুনে এসেছি। কাজেই বের হয়ে প্রথমে ডলার চেঞ্জ করলাম কিছু। তারপর গিন্নির জন্য পানি কিনলাম - হাফ লিটার মনে হয় প্রায় ৯০ টাকা (বাংলাদেশি টাকায়) দাম নিল!! তারপর মোবাইলের সিম কার্ড কিনতে পাশেই গেলাম। কোন ক্যারিয়ার কিনবো সেটাও আগে স্টাডি করে ঠিক করে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে তারা ৪গিগার প্যাকেজই নাই, আছে সব ১৬ গিগার প্যাকেজ -- দামও একটু বেশি। তাই আর সিম কার্ড নিলাম না -- ভাবলাম রিসর্টে তো ফ্রী ওয়াইফাই পাবই।
এরপর গেলাম ট্যাক্সি ঠিক করতে। এটা এয়ারপোর্ট ভবনেই বের হওয়ার পথের পাশে। আমি জানি, স্ট্যান্ডার্ড ভাড়া হচ্ছে ৩০০ হাজার রুপিয়া - গুগল স্ট্রিট ভিউয়ে সাইনবোর্ডে ভাড়া লেখা দেখেছি, ব্লগ, ওয়েবসাইটেও দেখেছি ঐটাই ভাড়া। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর সেটা বেড়ে যায়। ভাল হয় যদি ঐ এলাকার ট্যাক্সি ঠিক করা যায়। ঐরকম বিশাল ঘাটাঘাটির ধৈর্য্য নাই, তাই যা আছে কপালে মনে করে গিয়েছি। উবুদ জায়গাটা বেশ দুরে। সেই উবুদের সেন্টারের খুব কাছেই আমাদের রিসর্ট - পুজি বাংলো। গুগল ম্যাপ বলেছে - এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র(!) ৩৭ কিমি। ট্যাক্সিওয়ালাদের সংগঠনের কাউন্টার থেকে ট্যাক্সি ঠিক করলাম -- একজনকে ডেকে দিল, সে বললো ৫০০ হাজার রুপিয়া লাগবে (=৩০০০ টাকা)। আমি বললাম এ্যতো বেশি? ও বললো, এই রাতে অত দুর থেকে খালি আসতে হবে। তাই রাজি হয়ে গেলাম।
রাস্তা খালিই ছিল --- খালি ছিল, এই কথাটা অবশ্য বাকী কয়দিন ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতার আলোকে বললাম। তারপরেও পুরা সোয়া এক ঘন্টা লাগলো।
পুজি বাংলো চেক ইন
একটা বারান্দায় টেবিল চেয়ার পাতা অফিস। খুবই ফ্রেন্ডলি স্টাফ। ভেতরটা ফাঁকা - একপাশে ধানক্ষেত। আমাদের রুমটা দোতালায়, সামনে ব্যালকনি। ট্রাভেল এজেন্ট ফোর স্টার বলেছিলো -- তবে ভ্লগে বলেছে এটা এলাকাভেদে কালচার আলাদা।
দারুন রুম। এসিও আছে -- আসার আগে এই বিষয়ে আমাদের কনফিউশন ছিল। স্ট্যান্ডার্ড ওয়াশরুম, বাথটাব সহ। অদ্ভুদ পাথুরে বেসিন। ফ্রী ওয়াইফাই আছে। একটা কমন সুইমিং পুলও আছে।
ডে-ওয়ান ডিনার
একটু ফ্রেস হয়েই খাওয়ার খোঁজে বের হলাম। বাইরে গ্রামের মত আলো আঁধারি। জায়গাটা আসলে পাহাড়ি গ্রামই। রাত দশটার পর, তাই দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একটু এগোতেই একটা ২৪ ঘন্টা খোলা কনভেনিয়েন্ট স্টোর চোখে পড়লো। কিন্তু সেখানে গরম পানির ব্যবস্থা চোখে পড়লো না (পরের দিনগুলোতে দেখেছি, আসলে গরম পানির ব্যবস্থা ছিল), তাই আরো এগিয়ে সিটি সেন্টারের দিকে গেলাম -- ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। সেখানেও সব বন্ধ, তবে আরেকটা কনভেনিয়েন্ট শপ পেয়ে সেটাতে গরম পানির মেশিনও দেখলাম।
দ্রুত খাবার দাবার কিনলাম। কাপ নুডুলস কিনলাম। গিন্নি সুন্দর করে সব মশলা দিয়ে টিয়ে কাপ নুডুলস বানালো। আমরা দোকানের বাইরে বাধানো গাছের গোড়ায় বসে সেগুলো খাওয়া শুরু করলাম .... কিন্তু ... কে জনতো, অত যত্ন করে সব পেস্টের মত মসল্লাগুলো সবই চিলি-পেস্ট ছিল। মুখে দিয়েই আমাদের অবস্থা শেষ! সুপ বাদ দিয়ে শুধু নুডুলস তুলে তুলে অতি কষ্টে খেলাম। মুখ হাত সব লাল হয়ে গেল। এর মাঝে দুইবার এক মাতাল এসে কি এক ঠিকানা জিজ্ঞেস করে গেসে -- বেচারা টাল হয়ে নিজের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলো না মনে হয়। কেক, চিপস ইত্যাদি মিলিয়ে খাওয়া খারাপ হয় নাই। খাওয়ার পানিও নিলাম। এখানে দেড় লিটারের দাম ৬৬ টাকা (এয়ারপোর্টে আধা লিটার ৯০ নিয়েছিলো)।
মোবাইলের ছবি আর ভিডিও ক্লিপ:
কন্যার চাপাচাপিতে স্মৃতিগুলো নিয়ে কিছু সিলেক্টেড ছবি আর ভিডিওক্লিপ জোড়াতালি দিয়ে বানাতে শুরু করলাম ভ্লগ - আদৌ সেটা ভ্লগের ক্যাটাগরীতে পরে কিনা কে জানে। এই হল প্রথম তিন পর্ব।
একটু বোরিং বর্ণনা আছে - কারণ আমার আম্মাজান এসব পছন্দ করেন বলে আমার ধারণা। প্রথম তিন রাত ছিলাম উবুদ নামক জায়গায়:
পর্ব-২। কুতা এলাকায় থাকা শুরু। এখানকার থাকার জায়গার আশেপাশে ঘুরাঘুরি ---
পর্ব-৩। ৬ নং দিন - বালির দক্ষিণ দিকের অংশটুকু ভ্রমণ করেছি সেদিন।
শেষাংশের ভিডিওগুলো এখনও জোড়াতালি দিয়ে ভ্লগ তৈরী হয়নি। ভাল লাগলে ওটাও পোস্ট করবো।
কাজেই ঈদের আগের দিন রাতে (টেকনিক্যালি ঈদের দিন) আমরাও রওয়ানা দিলাম। ফেসবুকে ছবিটবি পোস্ট দিয়েছি এর আগে। রওয়ানা দেয়ার আগেই কুয়ালালামপুরের এয়ারপোর্টে আট ঘন্টার ট্রানজিট কাটানোর প্লান করলাম। ওখানকার এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানলাম, সেখানে কী কী দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট আছে। কাজেই ঐ এয়ারপোর্টে নেমে সকালে একটু বেলা হলেই (পড়ুন দোকান খুলতেই) পছন্দের নির্ধারিত দোকানে খাওয়া দাওয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম।
এয়ারপোর্টের মাঝে একটা চমৎকার বাগানও খুঁজে পেয়েছিলাম।
যা হোক ক্লান্তিকর ভ্রমণ শেষে পৌছুলাম সুন্দরভাবেই। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ল্যান্ড করলাম।
ইমিগ্রেশন:
আমরা জানতাম যে পাসপোর্ট, রিটার্ন টিকিট আর হোটেল বুকিং স্লিপ দেখালেই অন এরাইভেল ভিসা দেয়। যথারীতি ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ালাম। লাইনের মাথায় যখন পৌঁছে গেছি, তখন এক মহিলা পুলিশ এগিয়ে এসে বললো,
- ' হ্যাভ ভিসা? নো ভিসা?'।
আমরা মাথা নাড়লাম। বললাম আমাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা। আমাদের পাসপোর্ট চেয়ে নিয়ে বললো
- 'ফলো মি'।
তারপর ইংরেজিতেই বললো - আরো কেউ আছে নাকি এরকম তাহলে আসো।
কেউই আর নাই। কাজেই আমরা ওনাকে ফলো করতে থাকলাম; সবগুলো বক্স পার হয়ে (ঢাকা এয়ারপোর্টের মতই) আরেক লোকের কাছে পাসপোর্ট দিয়ে বললো
- 'গো উইথ হিম'।
আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে পাশের ঘরের ভেতরে চলে গেল। তখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখি পেছনে একটা টেবল ছিল - অন অ্যারাইভাল ভিসা লেখা। সেখানে দুই একজন দাঁড়িয়ে কি জানি লিখছে। ভাবলাম -- ধুর্, লোকজনকে ফলো করে এদিকে আসতে গিয়ে এটাই তো চোখে পড়েনি। এই সময়ে ঐ লোক বের হয়ে এসে বললো
- 'ইয়োর টিকেট প্লিজ'
টিকিটগুলো দিলাম। তারপর বিড়বিড় করে গিন্নিকে বললাম 'এরপর হোটেল বুকিঙের কাগজ নিতে আরেকবার আসবে'। ঠিকই একমিনিট পর লোকটা বের হয়ে আসলো। এসে আমাদের হাতে পাসপোর্ট দিয়ে দিল!! অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
- 'এভরিথিং ওকে? ক্যান উই গো'।
লোক হেসে বললো - ইয়েস।
এয়ারপোর্টের বাইরে:
বের হয়ে প্রথম কাজ হলো ট্যাক্সি ঠিক করা। হোটেল থেকে পিক-আপ সার্ভিস বুক দিতে চাইলে ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্ট বলেছিলো এতে ৮হাজার টাকা লাগবে, আপনারা বরং এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে নেন। আর বিভিন্ন ব্লগ, ভ্লগ ইত্যাদিতে আরো পরামর্শ শুনে এসেছি। কাজেই বের হয়ে প্রথমে ডলার চেঞ্জ করলাম কিছু। তারপর গিন্নির জন্য পানি কিনলাম - হাফ লিটার মনে হয় প্রায় ৯০ টাকা (বাংলাদেশি টাকায়) দাম নিল!! তারপর মোবাইলের সিম কার্ড কিনতে পাশেই গেলাম। কোন ক্যারিয়ার কিনবো সেটাও আগে স্টাডি করে ঠিক করে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে তারা ৪গিগার প্যাকেজই নাই, আছে সব ১৬ গিগার প্যাকেজ -- দামও একটু বেশি। তাই আর সিম কার্ড নিলাম না -- ভাবলাম রিসর্টে তো ফ্রী ওয়াইফাই পাবই।
এরপর গেলাম ট্যাক্সি ঠিক করতে। এটা এয়ারপোর্ট ভবনেই বের হওয়ার পথের পাশে। আমি জানি, স্ট্যান্ডার্ড ভাড়া হচ্ছে ৩০০ হাজার রুপিয়া - গুগল স্ট্রিট ভিউয়ে সাইনবোর্ডে ভাড়া লেখা দেখেছি, ব্লগ, ওয়েবসাইটেও দেখেছি ঐটাই ভাড়া। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর সেটা বেড়ে যায়। ভাল হয় যদি ঐ এলাকার ট্যাক্সি ঠিক করা যায়। ঐরকম বিশাল ঘাটাঘাটির ধৈর্য্য নাই, তাই যা আছে কপালে মনে করে গিয়েছি। উবুদ জায়গাটা বেশ দুরে। সেই উবুদের সেন্টারের খুব কাছেই আমাদের রিসর্ট - পুজি বাংলো। গুগল ম্যাপ বলেছে - এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র(!) ৩৭ কিমি। ট্যাক্সিওয়ালাদের সংগঠনের কাউন্টার থেকে ট্যাক্সি ঠিক করলাম -- একজনকে ডেকে দিল, সে বললো ৫০০ হাজার রুপিয়া লাগবে (=৩০০০ টাকা)। আমি বললাম এ্যতো বেশি? ও বললো, এই রাতে অত দুর থেকে খালি আসতে হবে। তাই রাজি হয়ে গেলাম।
রাস্তা খালিই ছিল --- খালি ছিল, এই কথাটা অবশ্য বাকী কয়দিন ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতার আলোকে বললাম। তারপরেও পুরা সোয়া এক ঘন্টা লাগলো।
পুজি বাংলো চেক ইন
একটা বারান্দায় টেবিল চেয়ার পাতা অফিস। খুবই ফ্রেন্ডলি স্টাফ। ভেতরটা ফাঁকা - একপাশে ধানক্ষেত। আমাদের রুমটা দোতালায়, সামনে ব্যালকনি। ট্রাভেল এজেন্ট ফোর স্টার বলেছিলো -- তবে ভ্লগে বলেছে এটা এলাকাভেদে কালচার আলাদা।
দারুন রুম। এসিও আছে -- আসার আগে এই বিষয়ে আমাদের কনফিউশন ছিল। স্ট্যান্ডার্ড ওয়াশরুম, বাথটাব সহ। অদ্ভুদ পাথুরে বেসিন। ফ্রী ওয়াইফাই আছে। একটা কমন সুইমিং পুলও আছে।
ডে-ওয়ান ডিনার
একটু ফ্রেস হয়েই খাওয়ার খোঁজে বের হলাম। বাইরে গ্রামের মত আলো আঁধারি। জায়গাটা আসলে পাহাড়ি গ্রামই। রাত দশটার পর, তাই দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একটু এগোতেই একটা ২৪ ঘন্টা খোলা কনভেনিয়েন্ট স্টোর চোখে পড়লো। কিন্তু সেখানে গরম পানির ব্যবস্থা চোখে পড়লো না (পরের দিনগুলোতে দেখেছি, আসলে গরম পানির ব্যবস্থা ছিল), তাই আরো এগিয়ে সিটি সেন্টারের দিকে গেলাম -- ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। সেখানেও সব বন্ধ, তবে আরেকটা কনভেনিয়েন্ট শপ পেয়ে সেটাতে গরম পানির মেশিনও দেখলাম।
দ্রুত খাবার দাবার কিনলাম। কাপ নুডুলস কিনলাম। গিন্নি সুন্দর করে সব মশলা দিয়ে টিয়ে কাপ নুডুলস বানালো। আমরা দোকানের বাইরে বাধানো গাছের গোড়ায় বসে সেগুলো খাওয়া শুরু করলাম .... কিন্তু ... কে জনতো, অত যত্ন করে সব পেস্টের মত মসল্লাগুলো সবই চিলি-পেস্ট ছিল। মুখে দিয়েই আমাদের অবস্থা শেষ! সুপ বাদ দিয়ে শুধু নুডুলস তুলে তুলে অতি কষ্টে খেলাম। মুখ হাত সব লাল হয়ে গেল। এর মাঝে দুইবার এক মাতাল এসে কি এক ঠিকানা জিজ্ঞেস করে গেসে -- বেচারা টাল হয়ে নিজের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলো না মনে হয়। কেক, চিপস ইত্যাদি মিলিয়ে খাওয়া খারাপ হয় নাই। খাওয়ার পানিও নিলাম। এখানে দেড় লিটারের দাম ৬৬ টাকা (এয়ারপোর্টে আধা লিটার ৯০ নিয়েছিলো)।
মোবাইলের ছবি আর ভিডিও ক্লিপ:
কন্যার চাপাচাপিতে স্মৃতিগুলো নিয়ে কিছু সিলেক্টেড ছবি আর ভিডিওক্লিপ জোড়াতালি দিয়ে বানাতে শুরু করলাম ভ্লগ - আদৌ সেটা ভ্লগের ক্যাটাগরীতে পরে কিনা কে জানে। এই হল প্রথম তিন পর্ব।
একটু বোরিং বর্ণনা আছে - কারণ আমার আম্মাজান এসব পছন্দ করেন বলে আমার ধারণা। প্রথম তিন রাত ছিলাম উবুদ নামক জায়গায়:
পর্ব-২। কুতা এলাকায় থাকা শুরু। এখানকার থাকার জায়গার আশেপাশে ঘুরাঘুরি ---
পর্ব-৩। ৬ নং দিন - বালির দক্ষিণ দিকের অংশটুকু ভ্রমণ করেছি সেদিন।
শেষাংশের ভিডিওগুলো এখনও জোড়াতালি দিয়ে ভ্লগ তৈরী হয়নি। ভাল লাগলে ওটাও পোস্ট করবো।
২টি মন্তব্য:
অনেক ভাল লাগলো স্যার, আপনার পুরো সফরটার কথা শুনে. গত বছর ঈদুল আজহা তে আমার অফিসের বস গেছিলেন, ভাবি সহ. তার কাছেও শুনেছি.. সব মিলে যাওয়ার খুব ইচ্ছে জেগেছে .. সময়ও সুজোগের অপেক্ষায় আসি...
Valo legese, likhte thakun
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন