শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

২০২৫ সালের জুন মাসে চীন ভ্রমণের স্মৃতি সংরক্ষণমূলক ভিডিওসমূহ

01: Dhaka - Kunming ০৭-জুন-২০২৫

02: The Stone Forest, Kunming ০৮-জুন-২০২৫

03: Green Lake Park, Kunming ০৮-জুন-২০২৫

04: The Golden Palace, Kunming ০৯-জুন-২০২৫

05: Bird and Flower Market, The Western Hills, Kunming ০৯-জুন-২০২৫

06: Kunming to Shanghai ১০-জুন-২০২৫

07: Shanghai ১১-জুন-২০২৫

08: Shanghai ১১-জুন-২০২৫

09: Train ride to Beijing ১২-জুন-২০২৫

10: Tiananmen Square, Forbidden City, Temple of Heaven ১৩-জুন-২০২৫

11: Great Wall, Jade Factory, Pearl Factory ১৪-জুন-২০২৫

12: Beijing - Dhaka ১৫-জুন-২০২৫

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

ডিসেম্বর ২০২৪ - জানুয়ারী ২০২৫ তে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের স্মৃতি

01: Kandy Tour ২৯ & ৩০-ডিসেম্বর-২০২৪

02: Sigiriya Tour (The Lion Rock) ৩১-ডিসেম্বর-২০২৪

03: Nuara Eliya New Year Party ৩১-ডিসেম্বর-২০২৪

04: Nuara Eliya ০১-জানুয়ারী-২০২৫

05: Nuara Eliya to Ella by scenic train ০২-জানুয়ারী-২০২৫

06: Ella and the Nine Arches Bridge ০২ & ০৩-জানুয়ারী-২০২৫

07: Ella - exciting activities: Swing, Zip Line ০৩-জানুয়ারী-২০২৫

08: ELLA to GALLE + Ravana Fall ০৪-জানুয়ারী-২০২৫

09: Galle Fort ০৫-জানুয়ারী-২০২৫

10: Galle Fort ০৫ & ০৬ & ০৭-জানুয়ারী-২০২৫

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

আবার নেপাল ভ্রমণ (এপ্রিল ২০২৪)

কেন?

হুট করে পরিকল্পনা করা হল যে ঈদের বন্ধে আবার নেপালে যাব। গতবার সময়ের অভাবে দরবার স্কয়ার দেখতে পারিনি, এবার সেটা কভার করতে হবে। সাথে আরো ৩টা জায়গা সহ মোট চারটি ওয়র্ল্ড হেরিটেজ সাইট দেখা হবে। এছাড়া গতবার মেঘের দেশ চন্দ্রগিরিতে মাত্র এক রাত থেকে মন ভরেনি, এখানেও ২ রাত থাকতে হবে। যেই কথা সেই কাজ, ঈদের সময়ে এবার বাংলা নববর্ষ সহ উইকএন্ড মিলিয়ে লম্বা ছুটি - তাই টিকেটের হাহাকার। প্লেনের বিজনেস ক্লাসে টিকেট পাওয়া যেতে পারে, ইকোনমিতে নাই - চিন্তা করে দেখলাম সারা জীবনে কখনো বিজনেস ক্লাসে ওঠা হবে কি না কে জানে, এই বার চান্স নিয়ে নেই; কিন্তু আমাদের ট্রাভেল এজেন্ট কিছুতেই আমাদের বেশি খরচা করাতে রাজি না। এক দিন এগিয়ে ইকোনমিতেই টিকেট করা হল। মাত্র সপ্তাহখানেক আগে কাটা হয়েছে বলে খরচটা একটু বেশিই হল (১০০% দামে)। যা হোক টিকেটের ভেজালের জন্য ঈদের ছুটির আগের ২ দিন ছুটি নিতে হল। বিস্তারিত খরচাপাতি শেষে দিলাম।

আগের যুগের মত ফিল্মের ক্যামেরা নাই; ডিজিটাল ক্যামেরায় কোনো মিতব্যয়ীতা নাই। তাই যথারীতি বহু অপ্রয়োজনীয় ছবি তোলা হয়েছে। সবগুলো দিলে পাঠকের কথা বাদ দেই, আমি নিজেই বিরক্ত হয়ে যাব। তাই কয়েকটা মাত্র রিপ্রেজেন্টেটিভ ছবি মিলিয়ে কোলাজ করে দেয়া হল। 

১ম দিন (০৮-এপ্রিল-২০২৪): চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্টে
পৌঁছে চন্দ্রগিরি, হচ্ছে ঘোরাঘুরি ...
 
চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্ট একটা ৫ তারকা বিশিষ্ট রিসর্ট এবং উপযুক্ত সময়ে এভারেস্ট সহ সম্পুর্ন অন্নপূর্ণা রেঞ্জের চূড়াগুলো এখান থেকে দেখা যায়। তবে এপ্রিল মাসে চারিদিক ঘোলা, দুরের কিছুই দেখা যায় নি। গতবছর জুনের শেষেও মেঘের ফাঁকে দুরের চূড়া দেখেছিলাম; চারিদিকের দৃশ্যের পরিবর্তনগুলো আরো নাটকীয় ছিল (আগের ছবি ব্লগের লিংক, ভিডিওর লিংক)। তবে এবার আবহাওয়া আউটডোর এক্টিভিটির জন্য সবচেয়ে সুন্দর ছিল। তবে সন্ধ্যায় এবং রাতে আমাদের জন্য এটা এখনও অনেক ঠান্ডা ...
ছবি: চন্দ্রগিরি হিল রিসর্টে ১ম দিন। গলায় ঝুলানো কাপড়টা ওখানকার ট্রাভেল এজেন্ট আমাদেরকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করার সময়ে দিয়েছিল।(ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

২য় দিন (০৯-এপ্রিল-২০২৪): চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্টে
ভোর আকাশে লালের খোঁজ,
তুলতে ছবি কতই পোজ ...
ছবি: চন্দ্রগিরি হিল রিসর্টে ২য় দিন সকালে। এরপর রিসর্ট থেকে বের হয়ে পাহাড়ের চূড়ার ল্যান্ডিং স্টেশনের আশেপাশে বেড়াতে গিয়েছিলাম। (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)
 
২য় দিন (০৯-এপ্রিল-২০২৪): চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্টের আশেপাশে (বিভিন্ন এক্টিভিটি, পার্ক ইত্যাদি)
নাই কোনো জোরাজুরি, স্বেচ্ছায় ঘোরাঘুরি ...
চন্দ্রগিরিতে কেবল কারে করে যে কেউ যেতে পারে। সেখানে যেমন সবচেয়ে উঁচু জায়গায় একটা মন্দির আছে (Baleshwar Mahadev Temple) তেমনি প্রচুর একটিভিটি যেমন: ওয়াল ক্লাইম্বিং, ঘোড়ায় চড়া, বাচ্চাদের প্লেগ্রাউন্ড, ট্রাম্পোলিন, বিরাট একটা সুইং টাইপের নিরীহ এক্টিভিটির পাশাপাশি, অনেক উঁচু জিপ লাইন দিয়ে সাইকেল চালানো কিংবা ঝুলে ঝুলে যাওয়ার অপশন আছে, এছাড়া ফ্রী-ফল নামেও একটা রাইড আছে। এখানে খাওয়া দাওয়ার অনেকরকম অপশন আছে, সুভেনির শপও আছে। এগুলো সবই কেবল কার স্টেশন থেকে হাঁটা দূরত্বে। আর আমরা যেই রিসর্টে ছিলাম সেটা একটু দুরে, শাটল সার্ভিসে আনা নেয়া করে।
ছবি: কেবল কার থেকে নেমে চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্টে যাওয়ার পথেই অনেকগুলো এক্টিভিটি দেখা যায়। এবার সেগুলো দেখতে গেলাম। মন্দিরগুলো যথারীতি সবথেকে উঁচু পয়েন্টে বানানো - এর ভিউ পয়েন্টগুলো থেকে উপযুক্ত সময়ে হিমালয়ের অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বিভিন্ন চূড়া দেখা যায়। (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)
৩য় দিন (১০-এপ্রিল-২০২৪): চন্দ্রগিরি হিলস রিসর্ট থেকে চেকআউটের আগের কিছু ছবি 
এখানের শেষ সূর্যোদয়, সকাল সকাল ছবিময়
আমাদের এখানে ২ রাত থাকা শেষ। দৃশ্যমালায় আশাহত হলেও আবহাওয়া চমৎকার থাকায় আনন্দিত। আমরা ১২টার আগেই চেকআউট করে কেবল কারে করে নিচে। সেখান থেকে আজ দুইটা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট দেখে তারপর থামেল এলাকায় আরেকটা হোটেলে চেক-ইন করবো দুই রাতের জন্য।
(ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

৩য় দিন (১০-এপ্রিল-২০২৪): শম্ভুনাথ মন্দির (Swayambhunath) - UNESCO World Heritage Site
পুরাই বাজার, মূল্য হাজার!
সয়াম্ভুনাথ বা শম্ভুনাথ মন্দির একটা ইউনেস্কো ওয়র্ল্ড হেরিটেজ সাইট। আমাদের এবারের সফরের মূল ৪টি লক্ষ্যের একটি। তীর্থস্থান হিসেবে যে পরিমান গাম্ভীর্য থাকবে ভেবেছিলাম, ততটা তো নাইই বরং এইটা প্রচন্ড রকম প্রাণবন্ত একটা জায়গা। সিড়ি বেয়ে উঠার সময়ে এবং উপরের চত্বরেও চারিদিকে সুভেনির সহ বিভিন্ন রকম দোকান। শান্ত প্রকৃতির বানর ঘুরছে, কুড়িয়ে নিয়ে খাবার খাচ্ছে; এছাড়া চারিদিকে প্রচুর কুকুর আর কবুতর। আরেকদিকে প্রদীপ জ্বলছে, পূজা চলছে ... ...। এর চত্বর থেকে কাঠমান্ডু উপত্যকার চারিদিকের একটা ভাল দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। সার্কভূক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য এখানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০ রূপী।
ছবি: শম্ভুনাথের জোড়াতালি ছবি (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

ছবি: শম্ভুনাথের চত্বর থেকে কাঠমান্ডুর একদিকের প্যানারমিক ভিউ (ক্লিক করলে বড় হবে, কিছুটা ঘুরিয়ে দেখা যাবে)

ছবি: শম্ভুনাতের চত্বর থেকে আরেকটি প্যানারমা (ক্লিক করলে বড় হবে, কিছুটা ঘুরিয়ে দেখা যাবে)
৩য় দিন (১০-এপ্রিল-২০২৪): কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার - UNESCO World Heritage Site
রাজকীয় দরবার, কত কী যে দেখবার
কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার একটা বিখ্যাত ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট। কাঠমান্ডুতে ৩টা দরবার স্কয়ার আছে - সবগুলোই হেরিটেজ সাইট। স্থাপত্য আর ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে এটা সোনার খনির মত। এ্যাত কিছু দেখার আছে যে দেখে শেষ করাই মুশকিল। ভেতরে অনেকগুলো অসাধারণ এবং ডিজিটাল অডিও-ভিজুয়াল যাদুঘর আছে। ঘন ঘন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে এটাতে এখনও বেশ কিছু সংরক্ষণমূলক পূণঃনির্মাণ চলছে - ঐ এলাকাগুলো এখনও উন্মুক্ত নয়। সার্ক দেশভুক্ত নাগরীকদের এটাতে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০০ রূপী -- জ্বী, টাইপিং ভুল নয়, পাঁচশত রূপী জনপ্রতি।
ছবি: কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারের জোড়াতালি ছবি (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

ছবি: দরবার স্কয়ারের একটি চত্বর। এটি একটি ৩৬০ ডিগ্রী ফটোস্ফিয়ার, ক্লিক করলে লোড হবে, তখন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখা যাবে।

৪র্থ দিন (১১-এপ্রিল-২০২৪): পাতান দরবার স্কয়ার - UNESCO World Heritage Site
 
কাঠমান্ডুর ললিতপুরে (থামেল থেকে ৬ কিলোমিটার) অবস্থিত পাতান দরবার স্কয়ারও একটি ইউনেস্কো ওয়র্ল্ড হেরিটেজ সাইট। দরবার স্কয়ার এবং এর আশেপাশের জনবসতি মিলেই সেটা টুরিস্ট এলাকা। আকর্ষনীয় স্থাপত্যশৈলী সহ এটার ভেতরে ২ তলা, ৩ তলা কয়েকটি দূর্দান্ত স্থাপত্যের জাদুঘর রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় জাদুঘরের মেঝে কাদামাটি লেপে করা, জুতা খুলে প্রবেশ করতে হয়। এইখানেও পেছনে একটা চমৎকার জলাধার রয়েছে। আমরা যখন ঘুরছিলাম তখন এটার একটা চত্বরে বিয়ের ফটোগ্রাফির শুটিং চলতেছিল। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২৫০ রূপী।
ছবি: পাতান দরবার স্কয়ারের জোড়াতালি ছবি (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

ছবি: পাতান দরবার স্কয়ারের এক অংশে বিয়ের ফটোশুট চলছে। এটি একটি ৩৬০ ডিগ্রী ফটোস্ফিয়ার, ক্লিক করলে লোড হবে, তখন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখা যাবে।

 
৪র্থ দিন (১১-এপ্রিল-২০২৪): ভক্তপুর দরবার স্কয়ার - UNESCO World Heritage Site
কাঠমান্ডুর সাথেই (থামেল থেকে ১৬ কিলোমিটার) ভক্তপুর এলাকায় এই দরবার স্কয়ার; এটিও একটি ইউনেস্কো ওয়র্ল্ড হেরিটেজ সাইট। দর্শনীয় এলাকার হিসেবে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বড়। বেশ অনেকটা এলাকা জুড়ে স্থানীয় বাড়িঘরের মাঝে মাঝে ছড়িয়ে আরও কিছু স্থাপনা আছে। এইখানেও একটা মিউজিক ভিডিও (সিনেমার অংশও হতে পারে) শুটিং চলছিল; বড় বড় রিফ্লেক্টর সহ একই সিন কয়েকবার করে করা দেখতে আমাদেরই ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটতেছিল। এখানে নাকি চারটা চত্বর আছে: সম্ভবত আমরা সবগুলোতেই যেতে পেরেছিলাম। ভুমিকম্পে এখানকার স্থাপনাগুলো বেশ ভালই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মনে হল। আরেকদিকে একটা বড় বাঁধানো পুকুর আছে যেখানে লোকজনকে প্যাডেল বোট টাইপের জিনিষে বোটিং করতেও দেখলাম। সার্ক দেশভুক্ত দেশেগুলোর নাগরিকদের এখানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০০ (পাঁচশত) রূপী।
ছবি: ভক্তপুর দরবার স্কয়ারের জোড়াতালি ছবি (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

ছবি: ভক্তপুর দরবার স্কয়ারের মূল চত্বর। এটি একটি ৩৬০ ডিগ্রী ফটোস্ফিয়ার, ক্লিক করলে লোড হবে, তখন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখা যাবে।

কেনাকাটা: আনন্দের নাকি বিরক্তির?
 
ছবি: বিভিন্ন দোকানে অভিযানের জোড়াতালি ছবি (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

শুধু শুধু ক্লিকানো ছবি
ছবি: অযথা তোলা কিছু ছবি। উপরের বাম কোনা থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: থামেলের রাস্তা; হোটেলের ছাদ থেকে থামেল; হোটেলের ছাদ থেকে দুরের গাছগুলো হাতির মত মনে হল; ভক্তপুর দরবার স্কয়ারের পুকুরের কাছে একটা রাস্তা; থামেলের হোটেলের ছাদে; থামেলের রাস্তায় ঘুমন্ত রিকশাওয়ালা; থামেলের আরেকটা রাস্তা (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)
খানা-খাদ্যের ছবি
 
ছবি: চন্দ্রগিরি রিসর্টে - নান, পাস্তা, বিরিয়ানি, স্যূপ আর হট চকলেটের ছবি; যখন আউটডোরে বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে - নেপালের পপকর্ন আর কফি।

ছবি: থামেলে হোটেলের আশেপাশে দুই জায়গায় দুই দিন জাপানি খেয়েছি (Japanese Kitchen Kizuna, Momotarou Japanese restaurant)। একরাতে নান আর পালক-পনির; হোটেলের ছাদের রেস্টুরেন্টে এক সন্ধ্যায় মাশরূম স্যূপ আর পনির টিক্কা; কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারের পাশে আর ভক্তপুর দরবার স্কয়ারে দুইবার পিজা খেয়েছি; তিনরকম লোকাল চিপস কিনেছি একটা দোকান থেকে আর এয়ারপোর্ট থেকে আরো ৩ প্যাকেট শুকনা ফল বা ঐ টাইপের কিছু কেনা হয়েছিল।

উড়ন্ত বিমানে দুরন্ত ছবি
(ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা)
৮-এপ্রিল তারিখ সকালে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু গিয়েছিলাম আর গত ১২-এপ্রিল রাতে ফেরত এসেছি (বর্তমানে প্রতিদিন সকাল আর সন্ধ্যায় ২টা ফ্লাইট)। সোয়া এক ঘন্টার যাত্রা; আসার সময়ে ফ্লাইট প্রায় ৪৫ মিনিট ডিলে ছিল।
ছবি: কাঠমান্ডু যাওয়ার সময়ে সকালের ফ্লাইট - পেছনের জানালা উজ্জ্বল; ফেরার সময়ে সন্ধ্যার ফ্লাইট - পেছনের জানালা অন্ধকার। (ছবিতে ক্লিক করলে আরো বড় রেজুলেশনে পাওয়া যাবে)

খরচাপাতি:
১। শেষ মুহুর্তে টিকিট কাটা হয়েছিল বলে বিমানের আপ-ডাউন ইকোনমি (ফুল ফেয়ার)
: জনপ্রতি- ৫২ হাজার টাকা * ৩ জন = মোট ১,৫৬,০০০ টাকা।
২। নাস্তা সহ (৫-স্টার) ২ রাত + নাস্তা সহ (৪-স্টার) ২ রাত + এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি দিয়ে চন্দ্রগিরি রিসর্টে যাওয়া + গাড়ি দিয়ে রিসর্ট থেকে অন্য হোটেলে যাওয়া + সবগুলো (৪টা) টুরিস্ট সাইটে ভ্রমন + এয়ারপোর্ট ড্রপ
: মোট ১,৩৪,০০০ টাকা।
৩। টুরিস্ট সাইটে প্রবেশ মূল্য:
: শম্ভুনাথ - ৫০ * ৩ = ১৫০ রূপী।
: কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার - ৫০০*৩ = ১৫০০ রূপী
: পাতান দরবার স্কয়ার - ২৫০*৩ = ৭৫০ রূপী
: ভক্তপুর দরবার স্কয়ার - ৫০০*৩ = ১৫০০ রূপী
৪। খাওয়া দাওয়া:
ঢাকার ধানমন্ডি বা বনানী-গুলশানের মতই দাম। রামাদা এনকোর ৪ স্টার হোটেলে চন্দ্রগিরি ৫ স্টারের চেয়ে দাম অনেক বেশি মনে হয়েছে। পিজা কিংবা জাপানিজ খাবারের দাম ঢাকার চেয়ে একটু (১০~২০%) কম। থালী সস্তা, তবে আমার এবার সেটা খাইনি। নরমাল দোকানে রাতে ৩-নান+২পালক পনির+পানি খেয়েছি =১১২০ রূপী লেগেছে।
(১ ডলার = ১৩০~১৩১ রূপী)
৫। সুভ্যেনির
দাম খুব একটা বেশি না, আবার কমও না। পুশমিনা শাল ১০০০ রূপীরও আছে আবার ২৬০০০ রূপীরও আছে। বিভিন্ন রকম স্টোনের গয়না - দাম ঢাকার চেয়ে কম।

ভিডিও
শুধু চন্দ্রগিরি'র ভিডিও ক্লিপগুলো এখানে:
 

 
কাঠমান্ডুর বাকী ক্লিপগুলো নিয়ে আরেকটি Video

(সমাপ্ত)