শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩

মালদ্বীপ ভ্রমণ ২০২৩ (পর্ব-০১)

সূচীপত্র:

 ২১-এপ্রিল-২০২৩ শুক্রবার

বিমান ভ্রমণ: DAC-MLE .... US-BANGLA এয়ারলাইনে (Boeing 737-800) ফ্লাইট নং BS337 সকাল ৯:০৫ টায় ফ্লাইট। ল্যান্ডিং ১২:২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:২৫ মিনিটে)। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার যাত্রায় জুস, এবং লাঞ্চ সরবরাহ করে। (সিজন অনুযায়ী ভাড়া কম বেশি হবে; আমাদের জনপ্রতি ৫৭,৬০০ করে লেগেছে, আগে পরের দিনে ৭০,০০০ করে ছিল)।

অন এরাইভাল ভিসা: এজন্য যাত্রার আগেই IMUGA নামক মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন ফর্ম অনলাইনে পূরণ করতে হয়েছিল। না করলে এয়ারপোর্টে ওয়াইফাই সংযোগ করে করতে হয়। ভিসার জন্য সাধারণ ইমিগ্রেশনের মতই ১ মিনিটের কম সময় লাগে।

Velana Int. বিমানবন্দরটি রাজধানী মালে দ্বীপের সাথে লাগোয়া হুলহুলে দ্বীপে যা ব্রীজ দিয়ে আসা-যাওয়া করা যায়। আবার আমরা শুরুতে ছিলাম এই হুলহুলে দ্বীপের সাথে লাগোয়া হুলহুমালে দ্বীপে। এই দ্বীপটি নাকি ইমার্জেন্সি আইল্যান্ড - অর্থাৎ global warming এর ফলে মালে ডুবে গেলে সবাই এখানে চলে আসবে। তাই এটার একটা অংশে বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। ২৫ তলা উচ্চতার অনেকগুলো বিশাল ভবন তৈরী হয়েছে। 

এয়ারপোর্ট থেকে হুলহুমালের হোটেলের ভাড়া করা গাড়ি আমাদেরকে পিক করে নিয়ে গেল। গাড়ির ড্রাইভার সাহেব বাংলাদেশী ছিলেন :) আমরা যেখানে ছিলাম সেখানকার ছবি --

হোটেলের বারান্দা থেকে (Ripple Beach Inn)

হোটেলের বারান্দা থেকে (Ripple Beach Inn)
 
হোটেলের পাড়াতে একটা রেস্টুরেন্টে খেলাম; সেখানে লোকাল খাবারদাবার অপেক্ষাকৃত সস্তা। তবে নিচেরগুলো তুলনামূলকভাবে দামী। একেকটা ডিশ প্রায় ১১০-১৩০ রুফিয়া (প্রায় ৭৬০~৯০০ টাকার মত) লেগেছিল। এখানে প্রচুর বাংলাদেশী মানুষ কাজ করেন। কাজেই অভ্যসবশত: সরাসরি বাংলায় জিজ্ঞেস করলেও দেখা যায় বাংলাতেই উত্তর পাওয়া যায়। পুরা ভ্রমণে যতগুলো রেস্টুরেন্টে খেয়েছি, সবখানেই বাংলাদেশী মানুষ স্টাফ হিসেবে পেয়েছি - সুতরাং কিছুটা সুবিধা হয়েছিল।



 
বাকীরা বীচে হাটাহাটি করতে লাগলেও আমার বউ আমাকে টেনে নিয়ে চললো পদব্রেজে আশেপাশে দেখতে। সেখানে নাকি সেন্ট্রাল পার্ক নামে চমৎকার পার্ক আছে। লোকজনকে জিজ্ঞেশ করতে করতে আগাতে লাগলাম।
Masjid al Sheikh Qasim bin Al-Thani (Hulhumale Grand Mosque)


মসজিদের পাশে থাকা N1 Park এর পাশের রাস্তা

N1 পার্ক

N1 পার্কের উল্টাপাশের লোকালয়। ডানের দোকানটার নাম Rio Grande


এখানকার দোতলা বাস

হুলহুমালের উন্নয়নশীল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে মালে পর্যন্ত চলে বাস সার্ভিস। সামনে সিগনালের ডানে সেন্ট্রাল পার্ক



  
আমাদের ঠিক পেছনে সেন্ট্রাল পার্ক। আর সামনের এই রাস্তা ধরে এগোলে শেষ মাথায় বীচ এবং আমাদের হোটেল। এই রাস্তাতে প্রচুর দোকানপাট রয়েছে।
এবার সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছে গেলাম। আজ এখানে ঈদুল ফিতর (বাংলাদেশে আগামীকাল)। তাই প্রচুর স্থানীয় মানুষ বাচ্চাকাচ্চা সহ বেড়াতে এসেছে।




দুরের ঐটা Masjid Rasheed



পার্কে ঘোরাঘুরি শেষে ফিরতি পথে ...


হোটেলের সামনের সমূদ্রে একটিভিটি চলছে ....

এই ভ্রমণের ম্যাপটা অনেকটা নিচের মত ...


এই ম্যাপের নিচে মালের দুটো জায়গার নাম খেয়াল রাখুন। আমরা পরের দিন এই Sultan Park এও গিয়েছি। আর এর ঠিক সামনে (উপর/উত্তরে) যে ঘাট সেখান থেকে ট্রলারে করে বামে (পশ্চিম) Rasfannu Artificial Beach এর ঠিক বামে সাবমেরিন ডকে গিয়ে সাবমেরিন রাইডে গিয়েছি।

পরেরদিনের একটিভিটি নিয়ে পরের পর্বে ....‌



৩টি মন্তব্য:

Abdus Salam বলেছেন...

লেখনী বরাবরের মতই চমৎকার। বেড়ানোর ইচ্ছেটা বাড়ছে।

নামহীন বলেছেন...

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে স্যার।
আপনার মালদ্বীপের ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করার জন্য।

rider বলেছেন...

আনন্দিত🥰❤️