রবিবার, ২৪ জুন, ২০০৭

কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব - ইতিহাস

(ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে অনুবাদ করলাম)

ইতিহাস:

বিরাটাকার পরিব্যাপ্তিতে ছাপাখানার প্রসার হওয়ার আগে পর্যন্ত মেধাস্বত্ব উদ্ভাবিত হয়নি। আঠারো শতকের শুরুর দিকে ছাপাখানাগুলোর একচেটিয়া আচরণের প্রতিক্রিয়ায় প্রথমে ব্রিটেনে এরকম একটা আইনের ধারণা জন্ম নেয়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় চার্লস বইগুলির অনৈতিক অনুলিপি তৈরীর ব্যাপারটা সম্পর্কে সচেতন হয়ে, রাজকীয় বিশেষাধিকার প্রয়োগ করে লাইসেন্স বিধিমালা ১৬২২ জারি করেন; এর ফলে লাইসেন্স প্রাপ্ত/অনুমোদিত বইগুলির একটি নিবন্ধন তালিকা প্রতিষ্ঠা হয়, এবং এটার একটা অনুলিপি সমস্ত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে জমা রাখতে হয়, এবং প্রয়োজন অনুসারে সুপ্রতিষ্ঠিত সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অনুমোদন দেয়া চালানো হয়। 'দা স্টাচু অব অ্যান' ছিল মেধাস্বত্ব সংরক্ষিত প্রথম কাজ, এবং এটা এর লেখককে নির্দিষ্ট সময়ের মেধাস্বত্ব প্রদান করেছিল, এবং সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে মেধাস্বত্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল। মেধাস্বত্ব/কপিরাইট বই এবং মানচিত্র প্রকাশের এবং অনুলিপি নিয়ন্ত্রণের একটি আইনগত বিষয় থেকে বেড়ে একটি প্রায় সকল আধুনিক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাববিস্তারকারী বিষয় হয়েছে, যার আওতাভুক্ত হয়েছে শব্দ রেকর্ডিং, ফিল্ম/চলচ্চিত্র, ছবি (ফটোগ্রাফ), সফটওয়্যার এবং স্থাপত্যের কাজ।


দি বার্ন কনভেনশন
১৮৮৬ সালের বার্ন কনভেনশন প্রথমে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি দেয়। এই বার্ন কনভেনশন অনুসারে, মৌলিক কাজের মেধাস্বত্ব অর্জন করতে বা ঘোষণা করতে হবে না, কারণ সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সৃষ্টির সাথে কার্যকর হয়: বার্ন কনভেনশন গ্রহণকারী রাষ্ট্রের একজন লেখককে মেধাস্বত্বের জন্য কোন আবেদন বা নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে না। যখনই কাজটা সম্পন্ন হবে, অর্থাৎ লিখিত কিংবা কোন মাধ্যমে রেকর্ড করা হবে, এর স্রষ্টা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেই কাজ এবং সেখান হতে উৎপন্ন অন্যান্য কাজের সমস্ত মেধাস্বত্বের অধিকারী হবেন, যদি না সেই স্রষ্টা সুনির্দ্দিষ্ট ভাবে সেটার স্বত্ব ত্যাগ করার ঘোষণা করেন কিংবা মেধাস্বত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিদেশী লেখকের মেধাস্বত্বের অধিকারও বার্ন কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ স্বদেশী লেখকদের মতই সমভাবে নিশ্চিত করে।
যুক্তরাজ্য ১৮৮৭ সালে বার্ন কনভেনশনে স্বাক্ষর করে কিন্তু কপিরাইট ডিজাইন এন্ড প্যাটেন্ট বিধিমালা ১৯৮৮ অনুমোদিত হওয়ার আগের ১০০ বছর এটার বিরাট অংশের প্রয়োগ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৯ সালের আগ পর্যন্ত বার্ন কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি।
বার্ন কনভেনশনের বিধিমালা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার TRIP চুক্তিতে একত্রীভূত করা হয়েছে, এবং এভাবে বার্ন কনভেনশন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।



বিস্তারিত বার্ন কনভেনশন পাবেন এখানে

শনিবার, ২৩ জুন, ২০০৭

কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব কী?

(ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে অনুবাদ করলাম)

মেধাস্বত্ব কোন একটি বিশেষ ধারণার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্টি বা সেট। সবচেয়ে সাধারণ ভাবে, শাব্দিক অর্থে এটা কোন মৌলিক সৃষ্টির 'অনুলিপি তৈরীর অধিকার' বুঝায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অধিকারগুলো সীমিত সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কপিরাইটের চিহ্ন হল ©, এবং কিছু কিছু স্থানে বা আইনের এখতিয়ারে এটার বিকল্প হিসেবে (c) বা (C) লেখা হয়।

সৃষ্টিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক কিংবা শিল্পের বিভিন্ন প্রকার কাজের একটা বিরাট পরিব্যাপ্তিতে মেধাস্বত্ব থাকতে পারে বা হওয়া সম্ভব। কবিতা, থিসিস, নাটক এবং অন্যান্য সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, কোরিওগ্রাফির কাজ (নাচ, ব্যালে ইত্যাদি), মিউজিকাল কম্পোজিশন, অডিও রেকর্ডিং, চিত্র বা পেইন্টিংস, আঁকা বা ড্রইং, স্কাল্পচার বা মূর্তি/প্রতিকৃতি বানানোর শিল্প, ফটোগ্রাফ, সফটওয়্যার, রেডিও ও টেলিভিশনের সরাসরি ও অন্যান্য সম্প্রচার, এবং কিছু কিছু এখতিয়ারে শিল্প-নকশা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন) এর অন্তর্গত।

নকশা বা শিল্প-নকশাগুলোর (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন) জন্য কোন কোন এখতিয়ারে আলাদা বা যুগপৎ/অধিক্রমণকারী (ওভারল্যাপিং) আইন থাকতে পারে। মেধাস্বত্ব আইন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি) সংক্রান্ত একটি ব্যাপ্ত বিষয়ের অধীনে অনেকগুলি আইনের একটি।

মেধাস্বত্ব আইন শুধুমাত্র ঠিক কী উপায়ে বা কী রূপে ধারণাসমূহ (আইডিয়া) অথবা তথ্য পরিবেশিত হবে সেটা বিবেচনা করে। এটা মেধাস্বত্ব সংরক্ষিত কাজের মূল ধারণা, মূলনীতি (কনসেপ্ট), সত্য (ফ্যাক্ট), ধরণ (স্টাইল) অথবা পদ্ধতিটিকে আওতাভুক্ত করে না বা করার চেষ্টা করে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মিকিমাউস কার্টুন বিষয়ে যে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করা আছে, এটা অননুমদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই কার্টুন বিতরনের অধিকার রহিত করে এবং অননুমদিত কেহ ডিজনীর সৃষ্ট মানুষসদৃশ মিকিমাউসের মত একই রকম কোন ছবির অনুলিপি বা নকল করতে পারবে না; কিন্তু এই আইন সাধারণভাবে মানুষের মত দেখতে অন্য কোন ইঁদুর আঁকতে বা সৃষ্টি করতে বাধা দেয় না - যতক্ষণ সেগুলো ডিজনীর মূল নকশা থেকে যথেষ্ট অন্যরকম থাকে এবং ওটার (মিকিমাউসের) নকল বা অনুলিপির মত না হয়। কিছু কিছু এখতিয়ারে, মেধাস্বত্ব সংরক্ষিত কাজের বিদ্রুপাত্মক বা ব্যাখ্যামূলক কাজ প্রকাশেরও উপায় থাকে। ট্রেডমার্ক এবং প্যাটেন্ট-এর মত অন্যান্য আইনের ধারা পুনঃপ্রকাশ বা পুনঃউৎপাদন কিংবা ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, যেটা মেধাস্বত্ব আইন করে না ।

মেধাস্বত্ব আইনগুলোকে কোন কোন দেশে বার্ন কনভেশনের মত আন্তর্জাতিক সমঝোতার মাধ্যমে স্বীকৃত ও প্রমিতকরণ করা হয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলিতে এটা প্রয়োজন হয়।

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০০৭

কম্পিউটারে ব্যবহৃত রঙের কথা

(ইতিপূর্বে প্রজন্ম ফোরামে প্রকাশিত হয়েছিলো)

ভুমিকা


কম্পিউটারে স্ক্রীনের রংগুলো আসলে তিনটা মৌলিক রঙ মিশিয়ে তৈরী হয়।
লাল
সবুজ
নীল
এই তিনটি রঙকে বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে যে কোন রঙ তৈরী করা যায়।
যেমন:
নীল+সবুজ =
নীলাভ-সবুজ
হালকা লাল+হালকা সবুজ+হালকা নীল = ধুসর
লাল+নীল+সবুজ = সাদা(সাদা)

যে কেহই তাঁর ইচ্ছামত রঙ দিতে পারেন। এজন্য রংটাকে লেখা হয় ৬ অংকের একটা সংখ্যা দিয়ে এভাবে, সাদা = #ffffff ; কালো = #000000 - এবং সংখ্যাটার আগে একটা # চিহ্ন দিতে হয়।

যেমন, উপরের লেখায়
নীলাভ-সবুজ লেখায় রঙ দিতে আমি কোড ব্যবহার করেছি color:#00ffff

লাল-সবুজ-নীল সংকেত:

সঠিকভাবে এই ব্যাপারটা বুঝার জন্য যেটা জানা দরকার সেটা হল RGB রঙের কোড। RGB হলো Red Green Blue এর সংক্ষিপ্ত রূপ। রঙের কোডের ৬টি অংকের প্রথম দুটি অংক দিয়ে লাল বা Red, মাঝের দুটি দিয়ে সবুজ বা Green, এবং শেষ দুটি অংক/অক্ষর দিয়ে নীল বা Blue রং কি পরিমান মিশাতে হবে তা বলে দেয়া হয়।

যে কোন রঙের পরিমান দিতে ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত মোট ২৫৬টি মাত্রা দেয়া যেতে পারে । উপরের ধুসর বর্ণের লেখায় আমি লাল=সবুজ=নীল=১১৯ ব্যবহার করেছি। কোডটা ছিল color:#777777 । নীলাভ সবুজ লেখায় ব্যবহার করেছি, লাল = ০, সবুজ = ২৫৫, নীল = ২৫৫। এর কোডটা ছিল, color:#00ffff। সাদার জন্য লাল = সবুজ = নীল = ২৫৫; আর কোড হল, color:#ffffff।

এখানে আপনারা হয়ত লক্ষ্য করবেন, মাত্রা = ১১৯ দেয়ার জন্য কোডে লেখা হয়েছে 77, আবার মাত্রা = ২৫৫ এর জন্য কোড = ff। এই মাত্রা থেকে কোডের ব্যাপারটা খুবই সোজা, যেটা আমি পরবর্তী অংশে বলছি। মজার ব্যাপার হলো, এভাবে লাল, সবুজ এবং নীলের মিশ্রন মোট ২৫৬x২৫৬x২৫৬ ভাবে হতে পারে!!!


মাত্রা থেকে কোড নির্ণয় : ডেসিমেল টু হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা


যারা হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা জানেন তাদের আর পড়ার দরকার নেই ... শুধু জেনে রাখুন মাত্রাটাকে ডেসিমেল সংখ্যা থেকে হেক্সাডেসিমেলে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়।

যারা জানেন না, তাদের জন্য প্রথমে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা কি - এখান থেকে শুরু করি।

ধরুন আপনার কাছে দেখতে একই রকম অনেকগুলো বাক্স আছে। যারা রান্না করেন, তাদের কাছে বিভিন্ন মশলা রাখার জন্য একই রকম অনেক কৌটা থাকতে পারে। চেনার সুবিধার্থে এগুলোকে চিহ্নিত করা দরকার। আপনার কাছে চিহ্ন দেয়ার জন্য কোন কলম নাই যে, নাম লিখে রাখবেন।


আমাদের পরিচিত ডেসিমেল/দশ-ভিত্তিক সংখ্যা:


আপনার কাছে দেয়া হল দশটি প‌্যাকেট, প্রতিটিতে একই রকমের অনেকগুলো স্টীকার আছে। বুঝার সুবিধার জন্য ধরি স্টীকারগুলো ০, ১, ২,..... ৯ লেখা। তাহলে তো কথাই নাই। প্রতিটা কৌটা/বাক্সের গায়ে, ০, ১, ২, ৩, ৪,..... ৯ লাগিয়ে দেবেন। তারপরের গুলোতে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, .... ১৯; তারপরের গুলোতে ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ....২৯ .... এভাবে চলতে থাকবে -- বুঝতে কোন অসুবিধা নাই!! কারণ আমরা এই সংখ্যাগুলো ব্যবহার করে অভ্যস্থ।

বাইনারী/ দুই-ভিত্তিক সংখ্যা


কিন্তু যদি এমন হয় আপনার কাছে শুধু দুই রকম স্টীকার আছে - ০, ১ তাহলে কেমন হবে কৌটার নামগুলো? ০, ১; তারপর ১০, ১১, তারপর, ১০০, ১০১; তারপর ১১০, ১১১ ......... এভাবে। এটাই হল বাইনারী সংখ্যা। যদি স্টীকারগুলো ক, খ হয় তাহলে নামগুলো হবে, ক, খ; তারপর কক, কখ; তারপর, খক, খখ; তারপর ককক, ককখ, কখক, কখখ, খকক, খকখ, খখক, খখখ ... এভাবে। অর্থাং মাত্র দুটি ভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করে আমরা সবগুলো কৌটাকে ভিন্ন নাম দিতে পারব।

হেক্সাডেসিমেল/ ষোল-ভিত্তিক সংখ্যা


এখানে স্টীকার হলো ১৬ রকম। সরাসরি বুঝার সুবিধার্থে ইংরেজী কোডের মত করে দিচ্ছি ... ১৬ টি চিহ্ন হল: 0, 1, 2, ......8, 9, a, b, c, d, e, f। তাহলে আলাদা আলাদা চিহ্নগুলো হবে এরকম:
প্রথম ১৬টি: 0 1 2 3 4 5 6 7 8 9 a b c d e f
পরের ১৬টি: 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 1a 1b 1c 1d 1e 1f
এর পরের ১৬টি: 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 2a 2b 2c 2d 2e 2f

অনেক বেসিক জ্ঞান বিতরণ করলাম। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পাঠক বিরক্ত হয়ে গেছেন নিশ্চয়ই। এবার আসি কিভাবে এক পদ্ধতির সংখ্যা থেকে অপর পদ্ধতিতে যাব -- যেহেতু আমরা দশভিত্তিক সংখ্যায় অভ্যস্থ তাই এটাকে কেন্দ্র করেই আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে।


ডেসিমেল - হেক্সাডেসিমেল


আমাদের পছন্দমত রং মেশাতে চাইলে ০ - ২৫৫ যে কোন মাত্রাকে আমরা কোডে পরিবর্তন করব এভাবে ...

দুটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করছি:
মাত্রা দিতে চাই ১০০: এজন্য ১০০কে ১৬ দিয়ে ভাগ করতে হবে... আর প্রতিবারের ভাগফলগুলোকে আর ভাগশেষ গুলোকে পাশা পাশি লিখতে হবে। তারপরে আবার আগের ভাগফলকে ভাগ করতে হবে ১৬ দিয়ে .... যতক্ষণ না ভাগফল ০ হয়। শেষে সবগুলো ভাগশেষকে উল্টা সিরিয়ালে একত্রে লিখে কালার কোড বানাতে হবে ...

প্রথমে, ১০০/১৬ = ভাগফল ৬, ভাগশেষ ৪
তারপরে, ৬/১৬ = ভাগফল ০, ভাগশেষ ৬

--> এটাকে এভাবে লিখি:
16।100
__________এখানে ১০০ কে ১৬ দিয়ে ভাগ দিলাম
16।6 - 4
__________ভাগফল ৬ - অবশিষ্ট ৪; আবার ১৬ দিয়ে ৬ কে ভাগ দিলাম
___0 - 6__________ভাগফল ০, অবশিষ্ট ৬

রঙের কোড হল 64 নিচ থেকে উপরের দিকে ভাগশেষ বা অবশিষ্টগুলি লিখলাম, যথাক্রমে ৬ এবং ৪

মাত্রা দিতে চাই ২২৫:
16।225
__________এখানে ২২৫ কে ১৬ দিয়ে ভাগ দিলাম
16।14 - 1
_________ ভাগফল ১৪ - অবশিষ্ট ১; আবার ১৬ দিয়ে ১৪ কে ভাগ দিলাম
__0 - 14_________ভাগফল ০, অবশিষ্ট ১৪


রঙের কোড হল e1 নিচ থেকে উপরের দিকে ভাগশেষ বা অবশিষ্টগুলি লিখলাম, যথাক্রমে ১৪=e এবং ১

মনে রাখতে হবে যে, a =10, b =11, c = 12, d = 13, e = 14, f = 15

এখন দেখা যাক ১০০ মাত্রার রংগুলি কেমন
১০০ মাত্রার লাল: কোড - color:#640000
১০০ মাত্রার সবুজ: কোড - color:#006400
১০০ মাত্রার নীল: কোড - color:#000064
১০০ মাত্রার মিশ্রন, ফলাফল ধুসর!: কোড - color:#646464

এখন দেখা যাক ২০০ মাত্রার রংগুলি কেমন
২০০ মাত্রার লাল: কোড - color=#c80000
২০০ মাত্রার সবুজ: কোড - color=#00c800
২০০ মাত্রার নীল: কোড - color=#0000c8
২০০ মাত্রার মিশ্রন, ফলাফল ধুসর!: কোড - color=#c8c8c8

হেক্সাডেসিমেল - ডেসিমেল


একটি পছন্দের রং দেখে তার কোড থেকে মিশ্রনের মাত্রা বের করতে চাইলে এইরকম পরিবর্তনও দরকার হবে ....

এক্ষেত্রে রঙের কোডকে তার স্থানীয় মান দিয়ে গুণ করে মাত্রা বের করা যায়।

যেমন: কোড = #c877ff এর অর্থ হল:

লাল = c8 = c.16+8 = 12x16+8 =192+8= 200
সবুজ = 77 = 7x16+7 = 112+7=119
নীল = ff = f.16+f = 15x16+15 = 240+15=255

দেখিতো রংটা আসলে কেমন:
ওরে বাবা

আরো কিছু রঙের নমুনা সহ কালারকোড দেখতে হলে এখানে দেখতে পারেন।