সূচীপত্র:
২৪-এপ্রিল-২০২৩ সোমবার
গতদিনে প্রাইভেট আইল্যান্ডে এসে দুই বেলা buffet খেয়ে পানিতে নেমে বেশ ভাল কেটেছে সময়। এই দিন দ্বীপটা আরেকটু ভাল করে ঘুরে দেখবো বলে ঠিক করলাম। যথারীতি পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেতে যাওয়ার আগেই আমি একটু একা একা ঘুরে দেখতে বের হলাম।
 |
আমাদের ভবনটাও বাইরে থেকে এমন দেখায়।
|
 |
ডানদিকেরটা আমাদের ভবন। আর এর পাশ দিয়ে ওপারের দ্বীপে যাওয়ার ব্রীজটায় + আমাদের নিজস্ব বীচে যাওয়ার পথ।
|
 |
সকাল বেলা ভাটায় কম পানিতে ছোট ছোট হাঙর দেখলাম। এখানেই গতকাল আমরা পানিতে নেমেছিলাম।
|
 |
আমাদের ভবনগুলোর পেছনদিকেই বীচ। আমাদের রুমটা ছিল দোতলায়। এখন ভাটার সময়।
|
 |
এই ভাটাতে যেখানে পানি শেষে বালু শুরু, গতকাল বিকালের ভরা জোয়ারে সেখানেই গলা পর্যন্ত গভীর পানি ছিল।
|
 |
এই রিসর্টে সাদা চামড়ার মানুষ বেশি। আর আমার মুরব্বীরা এদের সুইমিং কস্টিউমে বিব্রত হয়ে বীচেই আসে নাই ...
|
 |
অগভীর পানিতে নিচের সাদা বালু আর কোরাল সরাসরি দেখা যাচ্ছে। দুরে গাঢ় নীল পানি হল গভীর জায়গা
|
 |
ঐ যে দুরে বড় বড় ভবন দেখা যাচ্ছে সেগুলোই হুলহুমালের ২৫ তলা ভবন
|
 |
সাত সকালে নিজের সেলফি
|
 |
স্বচ্ছ টলটলে পানি। আর পাশের পাথরে কাঁকড়ার দল আছে সবসময়েই ...
|
 |
বিভিন্ন রকম ইলেক্ট্রিক কার্টে করে মানুষ টানে, মাল টানে, লাগেজ টানে ...
|
 |
ভীষন রোদে কার্টের জন্য অপেক্ষা না করে হন্টন। এতে বাসায় দেয়া ছাতার উপযুক্ত ব্যবহার হচ্ছে। এই ছাতা দ্বীপের সবখানেই কমন সম্পত্তি হিসেবে থাকে। যার যখন খুশি নিয়ে যাচ্ছে। একবার তো ছাতা রেখে খাওয়া শেষে buffet এর জায়গা থেকে বের হয়ে দেখি সেখানের স্ট্যান্ডে আর কোনো ছাতা নাই। সবাই নিজের মনে করে নিয়ে গেছে।
|
 |
buffet এ খাওয়া দাওয়ার দুয়েকটা ছবি না দিলে কি চলে ..
|
 |
নাস্তার পর খাওয়ার জায়গার পাশেই নিজেদের ফটোসেশন
|
 |
কন্যার নানা নানীও বেশ উপভোগ করছেন বোঝা গেল ...
|
 |
ইয়ে, আমি না থাকলেই মনে হয় ছবিটা সুন্দর দেখাতো .... তবে আমিও যে সেখানে ছিলাম এটার সাক্ষী হিসেবে তোলা হয়েছে
|
 |
ভিলাগুলোর সামনের নিজস্ব বীচ। অবশ্য পুরা দ্বীপটার চারপাশেই এমন। সাদাটে পানি অগভীর, আর গভীর পানি গাঢ় নীল
|
 |
আমিও ফটোসেশন করি। পানিতে নামবো এখনি
|
 |
এই টিউবটা মোস্তফা মার্ট থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে বলতেই ফুলিয়ে দিয়েছে।
|
 |
ঘন্টাখানেক জলকেলীর পর, রিসিপশনের পাশের বারে সবই ফ্রী, তাই পপকর্ণ খাওয়া। পেছনে বিভিন্ন ওয়াটার একটিভিটি চলছে ...
|
 |
এগুলো ওয়াটার ভিলা। রুম থেকে সরাসরি অগভীর পানিতে নামা যায়।
|
 |
এবার লাঞ্চে যাই
|
 |
চারিদিকের সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা
|
 |
ভেতরের পথ এমন, হেঁটে কিংবা গলফ কার্টে করে যাওয়া আসা করা যায়
|
 |
সন্ধ্যায় ব্রীজের দুপাশে এমন নীল বাতি জ্বালিয়ে দেয়
|
 |
ব্রীজের আরেক মাথায় পৌঁছে একটা ছবি। ডানেরটা জিমনেসিয়াম, আর ওপাশেরটা পানির তলের রেস্টুরেন্ট
|
 |
পানির তলের রেস্টুরেন্ট আমাদের প্যাকেজে ছিলনা। ৪ রকম সেট মেনু আছে, জনপ্রতি সম্ভবত ১২৫ ডলার। মূল খাওয়ার রুমটা পানির নিচে। সরাসরি সমূদ্রের কোরাল, মাছ ইত্যাদি দেখা যায়।
|
 |
রাতের মনোহর দৃশ্য
|
২৫-এপ্রিল-২০২৩ মঙ্গলবার - বিদায় মালদ্বীপ
গতরাতেই অনলাইনে ঢুকে মোবাইল ফোন দিয়েই এমিগ্রেশনের IMUGA ফর্ম পূরণ করে রেখেছি। আমাদের বিমান দুপুর দেড়টায়। তাই ৯টায় চেক আউট করিয়ে ১০:৩০ এ এয়ারপোর্টে রেখে আসবে বলেছে। সকালে তাই কয়েকটা ছবি তুলে রাখলাম। গত সন্ধ্যায় বেশ ভাল বজ্র-বৃষ্টি হয়েছে।
 |
সকালে বের হয়ে দেখি কন্যার নানা-নানী ইতিমধ্যেই নাস্তার জন্য বের হচ্ছেন। ডেকে নিয়ে কয়েকটা স্মৃতি ধরে রাখলাম
|
 |
কার্টে করে নাস্তা করতে যাচ্ছেন
|
 |
আমরা আবার কার্টের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না ... সুতরাং হন্টন
|
 |
চেকআউট শেষে স্পীডবোটে ওঠার আগের ফটোসেশন
|
 |
চেকআউট শেষে স্পীডবোটে ওঠার আগের ফটোসেশন |
 |
চেকআউটের পরেও তো পানি খেতে ইচ্ছা করে। তাই দৌড়ে সুইমিং পুলের পাশে Barএ চলে গেল ...
|
 |
স্পীডবোট এয়ারপোর্টে পৌঁছে আমাদের লাগেজ নামিয়ে দিচ্ছে।
|
 |
অবশেষে বিদায় মালদ্বীপ। ইউ-এস বাংলার ফ্লাইটে।
|
 |
প্লেনের খাবারও ভাল। তবে প্রাইভেট আইল্যান্ড থেকে আসার পরে কোন কিছুই আর তেমন ভাল মনে হয় না ;)
|
প্রাইভেট আইল্যান্ডের খরচ প্রচুর (গুগলে দেখুন - যা দেখায় তা সত্য), কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে এখানকার সার্ভিস এবং সবকিছু মিলে সেই পয়সা উসুল। ওখানে শুধু সুভ্যেনির কিনতে একবার ডলার খরচ করতে হয়েছে। আর কোনো খরচ নাই। খাওয়া দাওয়া ছাড়াও রুমে লাইফ জ্যাকেট, সুইমিং পুলের বা বীচের এক্টিভিটির যন্ত্রপাতি সবই প্যাকেজের মধ্যে - আলাদা কোনো বিল নাই।বাই দা ওয়ে, এয়ারপোর্টের ভেতরে রুফিয়া পরিবর্তন করে ডলার নেয়ার কোনো অপশন নাই। তবে সুভ্যেনির চকলেট ইত্যাদির দাম এখানে সবচেয়ে সস্তা। এয়ারপোর্টের দোকানে ডলারে দাম লেখা থাকলেও রুফিয়াতে পেমেন্ট করা যায়। তবে প্রাইভেট আইল্যান্ডে রুফিয়া নেয় না, কিছু সুভ্যেনির কিনলে ডলারে দাম দিতে হয়।
(সমাপ্ত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন