শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০০৯

ভুল চর্চার দেশ

বাংলাদেশের আয়তন আসলে কত? --- ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার ... আরে না না ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার। আয়তন আরো বাড়ছে কারণ বঙ্গোপসাগরে নাকি বিরাট চর জেগে উঠছে। আবার কেউ কেউ ভাবেন যে, চর/ভূমি জাগবে না কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমূদ্রের পানির গভীরতাও বাড়ছে।

এরকম নানা রকম তথ্যে চারপাশ ভরপুর। আমরা দিনকে দিন এতে অভ্যস্থ হয়ে উঠছি। কিন্তু কেউ কি ভাবে না যে বর্গকিলোমিটার হল ক্ষেত্রফলের একক - এটাকে আয়তন বলা হচ্ছে কেন? যত্রতত্র এরকম ভুল প্রয়োগ দেখি -- এই রিকশা যাবে নাকি? - এর একটা উদাহরণ। আর পথে প্রান্তরে ভুল বানানের ছড়াছড়িতো আছেই .... জাতিকে জাতী লিখে এর যে জাত মেরে দেয়া হচ্ছে সেদিকে কারও কি নজর আছে! কিংবা ফটোস্ট্যাট, পোস্ট, মাস্টার ইত্যাদিতে ষ-ত্ব বিধানের তোয়াক্কা না করে ষ ব্যবহারও আছে। সবচেয়ে খারাপ লাগে যে এ্যাত এ্যাত ভুল বিষয়ে মিডিয়াতে কোনরকম উচ্চবাচ্য নাই দেখে। সবাই কি ভুলের বিজ্ঞাপনমূল্যের কথা ভেবে এসব মেনে নিচ্ছে?

ভুলের বিজ্ঞাপনমূল্য: একটি মুদি দোকানের বাইরে ভুল বানান আর ব্যাকরণে দোকানের পণ্যের প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখে একজন সদাশয় ব্যক্তি দোকানদারকে বিষয়টি অবহিত করলেন এবং সঠিক বানান ও ব্যাকরণগুলোও জানিয়ে দিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরেও বাইরের ওগুলোর কোনো পরিবর্তন করা হয়নি দেখে ভেতরে গিয়ে রাগান্বিত ভাবে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে দোকানি জানালেন যে, এই ভুলগুলো ইচ্ছাকৃত। কারণ এই ভুল বানান-টানান দেখে ক্রেতারা ভাবে যে ভেতরের লোকটা বোকাসোকা ...কাজেই এখান থেকে সুবিধা আদায় করা যাবে। ভুল বানানে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর থেকে তাই বিক্রি বাট্টাও বেড়ে গিয়েছে। B-)

এছাড়াও ভুলগুলোর সপক্ষে রয়েছে নানা রকম যুক্তি (!) -- ভাষা পরিবর্তনশীল, এর সাথে এ সংক্রান্ত রীতিনীতিও পরিবর্তনশীল। সুতরাং "দেশের আয়তন" বলা ঠিকই আছে। একই ভাবে, রিকশা এবং এর চালকও সমার্থক। আবার কেউ কেউ বলতে পারেন - মিয়া তোমার সমস্যা কী? হুদাই তেনা প্যাঁচাও ক্যা? পছন্দ নাইলে ফুট - এ্যাত প্যাচালের দর্কার কী?

কিছুদিন জাপানে থাকার ভাগ্য হয়েছিল (সেটা সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য সেই তর্কে না যাই ...)। যেখানেই গিয়েছি বিষ্মিত হয়েছিলাম ওদের সাফল্যে। আমাদের মত একই রকম হাত-পা ওয়ালা মানুষ হওয়া সত্বেও ২য় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত বিধ্বস্ত একটা জাতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটা কল্পনা করতেও কষ্ট হত। জাপানে প্রবাসী কোন বাঙালি ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়া - কোথাও গিয়েই শান্তি পায় না। পৃথিবীর কোথাও জাপানের মত এ্যাত পরিচ্ছন্ন, এফিসিয়েন্ট এবং সাহায্যপ্রবণ সিস্টেম নাই বলেই শুনেছি। জাপানের এই ঈর্ষনীয় দক্ষতা বইয়ের মলাটের মত বাইরের আবরণ হতে পারে - সে ব্যাপারে অন্য কোথাও অন্য সময়ে তর্ক হতে পারে। আমার অবাক লাগতো যে ওরা পারলে আমরা পারি না কেন?

যতই দিন যায় ততই বুঝতে পারি যে জাপানিদের সাথে আমাদের এটিচ্যুডগত বিরাট তফাত রয়েছে। যারা "দ্যা লাস্ট সামুরাই" সিনেমাটা দেখেছেন তাঁরা খেয়াল করবেন যে টম ক্রুজের একটা ডায়লগ ছিল - এরা খুবই পারফেকশনিস্ট। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় সেই কথার সত্যতা খুঁজে পাই - জাপানিদের মুখে তুলে খাওয়ানো রীতির সমস্যা নিয়ে একটা ব্লগও লিখেছিলাম একসময়। ছোটবেলা থেকেই একজন জাপানী শিশুকে কষ্টসহিষ্ণু এবং পরিশ্রমী করে গড়ে তোলা হয়। তাদের মানসিকতাটাও খুব চমৎকার - এর পেছনে চারিদিকের পরিবেশেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে হয়। কারণ অন্য অসভ্য দেশ থেকে আগত লোকজনও ওখানে সভ্য হয়ে চলার চেষ্টা করে ... আবার সভ্য জাপানীরাও বাংলাদেশে এলে অনেকক্ষেত্রেই অসভ্যতা করে।

ওরা যেখানে একটা জিনিষ সঠিকভাবে করার জন্য বার বার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে সেখানে আমরা কোনরকমে দায়সারা গোছের কাজ করেই ক্ষান্ত দেই। একজন বাড়ির মালিক যদি ঘরের কোনো কাজ করে তাহলে অনেক যত্ন নিয়ে করে, কিন্তু একজন চাকর দায়সারা গোছের করে ... কারণ এটা তাঁর নিজের সম্পত্তি না। প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের গোলামী করে আমাদের এটিচ্যূডে সেই চাকরের মানসিকতা গেঁথে গেছে বলেই মনে হয়। সেজন্যই দায়সারা গোছের কথা বলি। ভুল জানা সত্বেও ঠিকটা বলার গরজ দেখাই না .... .... । এই চর্চা শুধু ভাষাতেই সীমাবদ্ধ না - এটা জাতীয় চরিত্র হয়ে গেছে। রাজনীতি বলুন, নির্মান শিল্প বলুন, ব্যাবসা বলুন ... সব জায়গাতেই এই চর্চা।

কোন পত্রিকাকেও দেখলাম না দেশের ক্ষেত্রফল লিখতে .... ইংরেজি area শব্দের বাংলা ক্ষেত্রফল কিংবা এলাকা হলেই শোভন হয়। কিন্তু আয়তন কথাটার ইংরেজি হল volume - যেটা দৈর্ঘ্য * প্রস্থ * উচ্চতা নির্দেশ করে। প্রতিনিয়ত তাই দেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৪/৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার শুনলে এটাকে দৈর্ঘ্য * প্রস্থ * ভুলের চর্চা করার মাথা নীচু আত্মমর্যাদাহীন গোলাম জাতির অভ্যাস - বলেই মনে হয়।

এই দেশটির জন্মই হয়েছিল ভাষাকে কেন্দ্র করে - দেশের নামটা দেখলে তা-ই মনে হয়। সামনেই (আগামীকাল থেকেই) ফেব্রুযারী মাস। লোক দেখানো বাংলা ভাষা প্রেম চর্চা শুরু হয়ে যাবে কাল থেকেই। কিন্তু তারপরেও কি কেউ দায়সারা ভাব বাদ দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিক কাজ করবে?

(সচলায়তনে প্রকাশিত)

Puppy linux এ বাংলা লেখা

From Computer

----------
ডিসক্লেইমার:
----------
হাতুড়ে লোকের হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে পাওয়া উপায়। এর চেয়ে সহজ/কার্যকর উপায় থাকলেও থাকতে পারে। এরকম হলে এই অধমকে দয়া করে জানাবেন।

----------
ভূমিকা
----------
scim ব্যবহার করে ৪১টি ভাষায় পাপি ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে বাংলাও আছে। তাই পাপি দিয়ে বাংলা লেখার জন্য scim ইনস্টল করতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ফন্টও ইনস্টল (কপি-পেস্ট) করতে হবে। scim-এ ইউনিজয়, প্রভাত এবং itrans কী-বোর্ড সাপোর্ট আছে। ইউনিজয় বিজয়ের মত, itrans কেমন তা জানিনা :( । তবে পাপিতে নিজের মত কী-বোর্ড ম্যাপিং করার অপশন আছে। কেউ একজন সময় দিলেই ফোনেটিক করা সম্ভব বলে মনে হয়।

scim ইনস্টলের সময়ে ডাউনলোড করতে সময় লাগে। তাই এটা আগে শুরু করুন। ডাউনলোড হওয়ার অলস সময়ে বাংলা ফন্ট সেট করে ফেলুন।

----------
বাংলা ফন্ট কপি পেস্ট:
----------
ইতিমধ্যেই কম্পিউটারে বাংলা ব্যবহার করছেন যাঁরা তাদের কাছে অবশ্যই ইউনিকোড ফন্ট আছে। তাই নতুন করে ডাউনলোড করার দরকার দেখি না। পছন্দের ফন্টগুলো (সোলাইমানিলিপি, মুক্তি, রূপালী, আদর্শলিপি, BNG ইত্যাদি) কপি করে usr\share\fonts ফোল্ডারে পেস্ট করুন। এজন্য সোর্স এবং টার্গেট দুইটাকেই দুটি ব্রাউজার উইন্ডোতে খুলুন। ctrl কী চেপে ক্লিক করে করে ফন্টগুলো নির্বাচিত করুন। তারপর ক্লিক করে ধরে টেনে এনে টার্গেট ফোল্ডারে ছেড়ে দিন। এতে একটা ছোট পপ-আপ মেনু খুলবে; কপি/মুভ ইত্যাদি অপশন সহ। কপি নির্বাচন করুন। ব্যাস্ ফন্ট আনা হয়ে গেল।

----------
scim ইনস্টল করা:
----------
নিচের যে কোন একটি ঠিকানা থেকে মোট ৫টি ফাইল ডাউনলোড করতে হবে। পাপির ডিফল্ট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে এগুলো ডাউনলোড হবে এবং ডাউনলোড ম্যানেজারের ডিফল্ট অপশন অনুযায়ী ইনস্টল হয়ে যাবে। সবগুলো ফাইলের লিংকে একবার করে ক্লিক করলেই সেগুলো ডাউনলোড ম্যানেজারে চলে আসবে। ক্লিক করার পর জিজ্ঞেস করবে এগুলো প্যাকেজ ম্যানেজার দিয়ে খুলবে কি না ... ডিফল্টটাই ঠিক আছে। প্রথম বার ঐ জিজ্ঞাসা উইন্ডোর নিচের চেকবক্সটা মার্ক করে দিন ...বাকী ৪ বার আর জিজ্ঞেস করবে না।
http://www.puppylinux.ca/members/Irihapeti
http://www/puppylinux.asia/members/Irihapeti

যে ফাইলগুলো লাগবে (ইউনিজয় কীবোর্ডের জন্য):
scim-1.4.7-i486.pet (4.7MB)
scim-bridge-0.4.15-i486.pet (352KB)
m17n-db-1.5.1-i486.pet (1.6MB)
m17n-lib-1.5.1-i486.pet (826KB)
scim-m17n-0.2.2-i486.pet (131KB)

বাংলাতে প্রভাত কীবোর্ড চাইলে সম্ভবত শুধু এই দুইটাতেই চলবে।
scim-1.4.7-i486.pet (4.7MB)
scim-tables-0.5.8-i486.pet (7.2 MB)

----------
ইনস্টলের পর বাংলাতে কাজ করানো:
----------
ইনস্টলের পরে বাংলাতে কাজ করাতে হলে X-উইন্ডো ম্যানেজারটা রিস্টার্ট করতে হবে। এজন্য Menu-->Shutdown-->Restart X server দিলেই হবে। স্টার্ট হওয়ার পরও কিন্তু কোন লক্ষণ দেখা যাবে না। লক্ষণ দেখার জন্য scim কাজ করে এমন কোন একটা প্রোগ্রাম খুলুন (যেমন abiword বা Geany)। নিচের স্ট্যাটাস বারের ডান কোনার দিকে সাউন্ড আইকনটার বাম পাশে একটা আইকন দেখতে পারবেন। এখন Ctrl+Spacebar চাপুন। দেখবেন ঐ এলাকায় SCIM এর ছোট টুলবারটা দেখা যাচ্ছে। ওটাতে ডান-ক্লিক করে Scim Setup চালিয়ে বাংলা আর ইংরেজি কীবোর্ড দুইটা বাদে বাকী সব ডিসেবল করে দিলেই ভাল।

ব্যাস বাংলা কীবোর্ড নির্বাচন করে লেখা শুরু করে দিন। স্ক্রীনশটের জন্য ৪ নং তথ্যসূত্র দেখুন।

----------
সেট আপ পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা:
----------
পাপি থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সেটা save করতে হবে। এর জন্য পেন ড্রাইভই ভাল। একটা খালি পেনড্রাইভ হলে ভাল হয়। সেখানে ডিফল্ট ভাবে ৫১২ মে.বা. আকারের ফাইল রাখার অপশন দেবে। অন্য আকারও (ছোট বা বড়) নির্বাচন করা যাবে। এই পেনড্রাইভ পরবর্তীতে লাগানো অবস্থায় পাপি বুট করলে এই সেটআপ সহ সব লোড হবে।

----------
তথ্যসূত্র:
----------
মূল সাহায্য পাতা:
১. http://www.puppylinux.org/wiki/multi-lingual-puppy/technical-how-tos

এই লেখার তথ্যসূত্র:
২. http://www.puppylinux.org/wiki/multi-lingual-puppy/technical-how-tos/setting-puppy-multi-lingual-operation-beginner-friendly-m
৩. http://www.puppylinux.org/wiki/multi-lingual-puppy/technical-how-tos/installing-fonts
৪. http://www.puppylinux.org/wiki/multi-lingual-puppy/technical-how-tos/getting-scim-working-after-its-installed

----------
উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাংলা লেখা যায় কিন্তু ব্রাউজারে ঠিকমত বাংলা দেখায় না। কারণটা কী - সে বিষয়ে গবেষণা করার সময় আপাতত আমার হবে না। টেকি ব্যক্তি কেউ এ বিষয়ে দৃষ্টি দিলে বাধিত হব।

ফলো আপ:
জানা গেল যে ফায়ারফক্স ৩ থেকে বাংলা ফন্ট রেন্ডারিং ঠিক থাকে। কাজেই সিমাংকি পাল্টিয়ে ফায়ারফক্স ৩ ব্রাউজার লাগাতে হবে। (তথ্যের জন্য উন্মাতাল_তারুণ্য/শাবাব কে ধন্যবাদ)
ফায়ারফক্স ৩ ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে: http://puppylinux.ca/tpp/kirk/firefox-3.0.pet

(আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে প্রকাশিত)

শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০০৯

Puppy linux দেখে আমি অবাক ও মুগ্ধ

অনেক দিন ধরে পুরাতন দূর্বল মেশিনের জন্য একটা ননটেকিদের ব্যবহারযোগ্য সহজ একটা লিনাক্স খুঁজছিলাম। DSL (Damn Small Linux) আর Puppy-র নাম জানি সেই সূত্রেই। কিন্তু কিছু ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না জন্য DSL দুই/একবার ছাড়া ব্যবহার করা হয়নি তেমন ভাবে। আর বছর দেড় আগে এ্যাত ফীচার ছিল না, ওদের অনলাইন FAQ পড়ে মনে হত যে হার্ড ডিস্ক মাউন্ট করানোটা ঝামেলাজনক।

কিন্তু কয়েকদিন আগে ফেডোরা ইনফিনিটি ডে আয়োজনের আগে কোন এক ফাঁকে খুব সম্ভবত জন রাসেল বললো যে পাপি লিনাক্সে হার্ডডিক্স অটোমাউন্ট হয়। রাতেই নামিয়ে ফেললাম। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকঘন্টা এটা ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় আমি মুগ্ধ।

ভাল দিক (আমার সীমিত অভিজ্ঞতায়):
১.
মাত্র ৬৪ মে. বা. ড়্যাম-এ চলে (JWM উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহৃত হয়েছে)। অবশ্য বড় কোনো প্রোগ্রাম (ব্রাউজার ইত্যাদি) চালালে একটু বেশি ড়্যাম ব্যবহার করে। আমার মেশিন এ্যাত দ্রুত চলতে দেখিনি আগে।
২.
৪.১.২ ভার্সানটার আকার মাত্র ৯৪ মে.বা.!!! যদিও এটার আরো কয়েকটা ভার্সান আছে ভারি প্রোগ্রাম (পাপলেট) সহ -- একটাও ডাউনলোড করে দেখিনি। ওগুলোর আকার ৩০০-৪০০ মে.বা.।
৩.
সমস্ত ড্রাইভগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্ক্রীনের নিচে চলে আসে। এক ক্লিকেই মাউন্ট হয় এবং ব্রাউজারে খোলে।
৪.
প্রচলিত সমস্ত মিডিয়া ফাইল অনায়েসে চলে। আমি নিজে mp3, wma, rm, ogg ফরম্যাটের গান চালিয়ে দেখেছি। এছাড়া বেশিরভাগ ভিডিও ফাইল চালাতে পেরেছি। অর্থাৎ জরুরী মিডিয়া কোডেক এইটুকু আকারের মধ্যেই দেয়া আছে।
৫.
মাইক্রোসফট ওয়র্ড এবং এক্সেল ফাইল চলে -- যথাক্রমে abiword এবং gnumeric দিয়ে। ঐ ফাইল ফরম্যাটে সেভ করা যায়। মেনুগুলো প্রায় একই রকম। সরাসরি pdf ফরম্যাটে সেভ করতে পারে। ওপেন অফিস ফরম্যাটে সহ আরোও অনেকগুলো ফরম্যাটে সেভ করে।
৬.
ডেস্কটপের জন্য কয়েকটা ওয়ালপেপার আছে। গেমও আছে ৪টা।
৭.
ছবি ক্লিক করলেই পেইন্টের মত একটা প্রোগ্রামে খোলে। ওতে ছবি এডিট করা যায়, অনেকগুলো ইফেক্ট দেয়া যায় -- সুবিধাগুলো gthumb এর মতই মনে হল। তবে এতে একটার বেশি ছবি একবারে খোলে না। ছবি ব্রাউজ করার জন্য আরেকটা প্রোগ্রাম আছে, সেটা ছবিতে ক্লিক করলে খোলে না কিন্তু মেনু থেকে চালু করলে চমৎকার কাজ করে। পাশাপাশি ফাইল ব্রাউজারেও ছোট ও বড় - দুইটা সাইজে থাম্বনেইল ভিউ দেখা যায়।
৮.
এডবি ইলাসট্রেটর বা কোরেল ড্র'র মত একটা ভেক্টর গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম আছে inkscape lite। দারুন লাগলো।
৯.
নেট সেটআপ করা খুবই সহজ মনে হল। এক মিনিটেই নেট কানেক্ট করেছি (ফিক্সড আই.পি. - ল্যান টাইপ)। মোজিলার সিমাংকি ব্রাউজার, একটা মেইল ক্লায়েন্ট, চ্যাট ক্লায়েন্ট সহ ইন্টারনেট ব্যবহার করা বেশ সহজই মনে হল। অনেকগুলো ভাষার সাপোর্ট আছে কিন্তু বাংলা ভাষার সাপোর্ট নাই।
১০.
হার্ডওয়্যার সাপোর্ট দারুন। আমার ছোট ভাইয়ের পিসিতে স্যামসং-এর ১৯" LCD মনিটর এখন পর্যন্ত কোন লাইভ সিডি চিনতে পারে নাই, বুটও করে নাই (কালো স্ক্রীন) -- উবুন্টু/কুবুন্টু/যুবুন্টু ৮.১০, ড্রিম লিনাক্স ৩.০, লিনাক্স মিন্ট ৫.১ এবং ফেডোরা ১০ -- সব ফেইল কিন্তু পাপি এটাতে সুন্দর চলেছে। আমি পুরা টাশকি।
১১.
আরেকটা টাশকি হল: বুট করার পর সিডি বের করে সেই ড্রাইভেই অনায়াসে অন্য সিডি রাইট করলাম (ফেডোরার আই.এস.ও আর পাপির আই.এস.ও. লাইভ)। যতদুর মনে পড়ে লাইভ সিডি দিয়ে বুট করলে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত উবুন্টু আর সিডি বের করতে দেয় না।
১২.
এখন থেকে রিকভারি ডিস্ক হিসেবে ড্রিম লিনাক্স লাইভের বদলে এটা ব্যবহার করবো বলে ঠিক করেছি। (বিপদ তাড়ন পাচন)


অসুবিধা:
১.
mp4 ফরম্যাটের ভিডিও চেনেনি। ব্যাপার না ..
২.
বাংলা নাই --(
৩.
ইনস্টলের দরকার নাই বলে লিখেছে। সিডি থেকেই বুট করে, কিন্তু বের হওয়ার সময় আপনি চাইলে হার্ডডিস্কে একটা ফাইল রাখবে। (ওটাতে আপনার সেটিংস ইত্যাদি জমা হবে। কোন ড্রাইভে ফাইল রাখবেন সেটা আপনি দেখিয়ে দিতে পারবেন - ফ্যাট৩২ হলেও সমস্যা নাই। পরেরবার বুট করার সময় নিজেই ঐ ফাইল খুঁজে আপনার সেটিংস লোড করবে।)

পাপি পেজ: http://www.puppylinux.org/
ইংরেজি ম্যানুয়াল: http://www.puppylinux.org/manuals/puppy-40/english

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০০৯

হঠাৎ লিনাক্স নিয়ে পড়লাম কেন!

কেউ কেউ আমার ইদানিং লিনাক্সে মাখামাখি দেখে বিরক্ত হতে পারেন। তাই একটু নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য এই ব্লগর ব্লগর। তবে বলে রাখা ভাল যে একজন নন-টেকি সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে এইটা একটা অন্ধের হাতি দর্শন টাইপ লেখা।

১.
২১তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে গণপূর্ততে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ওটা ছেড়ে মাস্টারি করি। প্রধাণ কারণ - অর্থ উপার্জনের জন্য ন্যায়সঙ্গত ভাবে এবং নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার রাস্তা যেখানে খোলা আছে সেখানে অন্যায় পথে আত্মা বিক্রি করার কোনো কারণ দেখি না। ন্যায়সঙ্গত ভাবেই সরকারী বেতনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বেতন পাই এখানে। একমাত্র কারণ না হলেও প্রায় একই রকম কারণে লিনাক্স ব্যবহার করি: যেখানে ন্যায়সঙ্গত পথে সমস্ত সুবিধাসহ কম্পিউটিং করা যায় সেখানে পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহারের কোনো কারণ দেখি না। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারে নিজের অজান্তেই মনের গভীরে চৌর্যবৃত্তির গ্লানি প্রবেশ করে মাথা উঁচু করে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়।

২.
কেউ যদি আপনাকে কিছু অন্যায় সুবিধা দেয় তাহলে তাঁদের অন্যায় আব্দারও রাখতে হয়। সুবিধাদাতার অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কন্ঠ মিইয়ে আসে। একই ব্যাপার ঘটে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে। আর এই ধরণের মাথা নীচু করা মানসিকতার কারণেই বাইরের শোষক দেশগুলো আমাদের কাছে থেকে অন্যায়ভাবে সম্পদ শোষণ করার সুযোগ পাচ্ছে।

ব্যাপারটা নতুন কিছু না - কোন দলকে কব্জা করতে হলে তাঁদের মধ্যে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দিতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে (ক্রিকেট ইত্যাদি) আসা সাংবাদিকগণ যখন মজা করে বলে যে এখানে সমস্ত সফটওয়্যার সিডি এক ডলারের কম দামে পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে। সুন্দরভাবে হীনমন্যতা চলে আসে -- ফলে অনেকের অনেক অন্যায় আব্দারের প্রতিবাদ করা যায় না।

ব্যক্তিগত ভাবে পাইরেসী ত্যাগ করার পর থেকে মানসিকভাবে শান্তিতে আছি। হীনমন্যতাগুলো খোঁচায় না।

৩.
মানসিক ঐ শান্তি ছাড়াও অপর শান্তি হল কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত থাকার আনন্দ। অন্যেরা চারপাশে ভাইরাসে নাকানি চুবানি খাচ্ছে, আর আমি নিশ্চিন্তে আছি - ব্যাপারটা খুব এনজয় করা যায় (নিষ্ঠুরতার জিনিষটায় মানুষ কেন জানি আনন্দ পায়!)। এমন সময়গুলোতে লিনাক্সের বুট সিডি দিয়ে কলিগদের পিসিগুলো বুট করে ভাইরাসগুলোকে মুছে দেই। এতে কিছুটা উপকার হয়। আর, জরুরী ফাইলগুলো পেনড্রাইভে নিয়ে নেয়। কারণ, আই.টি. সেকশনে অভিযোগ করলে ওদের সহজ সমাধান - ফরম্যাট করে ফ্রেশ ইনস্টল!!

এখানে কয়েকজন আই.টি. নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সচল আছেন। লিনাক্সে ভাইরাসের বেইল নাই কেন - এই ব্যাপারে ওনারা ভাল বলতে পারবেন। (ভুট্টাক্ষেতের পাহারাদার মিস্তরি কোথায়?)

৪.
কেউ বলতে পারেন: মিয়া টেকি ব্যক্তি না হয়েও নিজে করো ভাল কথা, আমাদের কানের কাছে ভ্যাজর ভ্যাজর কর কেনো? এটার উত্তরের কয়েকটা দিক/ডাইমেনশন আছে:

  1. ৪.১
    একটা হল মহাপুরুষদের অনুসরন করার চেষ্টা। ওনারাও সারা জীবন অকাতরে উপদেশ বিতরণ করে গেছেন! তাছাড়া অন্যের বিরক্তি উৎপাদন করতেও উপদেশ দিতে মন্দ লাগে না চোখ টিপি । (১৯৯০ সালে আমাদের স্কুল থেকে শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে জনৈক প্রধানশিক্ষকের লেখা "উপদেশ কনিকা" বইখানি হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে আর ঐ স্কুলে যাই না শয়তানী হাসি )।
  2. ৪.২
    সেবা। হাতেম তাঈ বিলানোর জন্য টাকা পেয়েছিলো - বিলিয়েছে (পরের ধনে পোদ্দারি)। আমার বিলানোর মত অত টাকা নাই। কিন্তু অন্য একটা সম্পদ আছে - সেটা হল জ্ঞান/শিক্ষা (দয়া করে, ভাব নিচ্ছি বলে ভাববেন না)। কাজেই অন্যের উপকারের জন্য বিতরণ করতে হলে এইটাই করা যেতে পারে।
  3. ৪.৩
    প্রতিবেশি যদি চরম গরীব হয় তবে বাধ্য হয়ে সে আমার জিনিষ চুরি/ডাকাতি করতে পারে (অভাবে স্বভাব নষ্ট)। কিংবা ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। তাই নিজের স্বার্থেই এমন কাজ করা উচিত যাতে নিজের আখের গোছানোর সাথে সাথে আশেপাশের লোকজনেরও উন্নয়ন ঘটে। (আফসোসের কথা হইলো আমাদের নেতারা সেইটা বোঝে না - শুধু নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত থাকে -- জনগণও সময়মত **মারা দিয়ে দেয়। )
    তাই শুধু নিজে পাইরেসী এবং ভাইরাস মুক্ত হলেই যে শান্তি পাব এটা ভাবি না। আশেপাশের লোকজন/বন্ধু/সহকর্মীদেরকেও এই পথে আনার চেষ্টা করি।
  4. ৪.৪
    গরুর দুধ পাইতে হলে, গরুর যত্ন করতে হয়। গরুর ফার্মে দেখবেন গরুকে কত যত্ন করে গোসল দেয়, মশারি টাঙ্গায় ঘুম পাড়ায়। আবার এইদিকে দেখবেন, বাংলাদেশের লোকদের গরিবী দুর করার জন্য অন্য দেশগুলো কত রকম ভাবে সাহায্য করে -- ঘটনা গরুর যত্ন নেয়ার মতই; ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি না করলে বাজার বজায় রাখবে কীভাবে!
    প্রায় একই রকম স্বার্থে অন্যদেরকে লিনাক্সে আসতে বলি। কারণ ব্যবহারকারী বাড়লে বিপদে সাহায্য করার লোক বাড়বে। এখন যেমন উইন্ডোজে কোন সমস্যায় পড়লে আশেপাশের কেউ না কেউ সমাধান দিতে পারে, তেমনি, লিনাক্স ব্যবহারকারী বাড়লে সমস্যা সমাধিত করার জন্য বেশি লোক পাওয়া যাবে।

সুতরাং মোটেও নিঃস্বার্থ ভাবে ভ্যাজর ভ্যাজর করি না। হাসি

৫.
বর্তমানে লিনাক্স কঠিন কোন বিষয় না। গত ৪/৫ বছর থেকে লিনাক্সের ডেভেলপারগণ সহজিয়া ডেস্কটপ বানানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। বর্তমানে লিনাক্সের যেই ডিস্ট্রিবিউশনগুলো বাজারে এসেছে সেগুলো খুবই ব্যবহার বান্ধব ।(অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অন্য সব জরুরী সফটওয়্যার দিয়ে দেয় বলে এগুলোকে ও.এস. না বলে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলে)। প্রায় সব কাজই উইন্ডোজ বা ম্যাকের মত ক্লিক করে করা যায়। গেম খেলার দিক বাদ দিলে সব দিক দিয়েই এটা ভিস্তা/এক্স.পি.র সমতূল্য। আর ডেভেলপারগণ ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন যে, এই বছরেই এমন নতুন ভার্সন ছাড়বে যেটা ভিস্তা বা ম্যাককে ছাড়িয়ে যাবে অনেকখানি।

আরেকটা কথা জানা দরকার। আমরা না জেনেই কিন্তু লিনাক্স ব্যবহার করছি প্রতিদিন। মোবাইল ফোনগুলোর প্রায় সবগুলোই লিনাক্সে চলে - ওগুলোতে তো আমরা অসুবিধা অনুভব করি না। এছাড়া ছোট ছোট ডিজিটাল যন্ত্রপাতিগুলো সব লিনাক্সে চলে। বেশিরভাগ সুপার কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সার্ভার লিনাক্সে চলে। সুতরাং লিনাক্স উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো জিনিষ নয়। শুধুমাত্র ডেস্কটপ পিসির ক্ষেত্রটা বাকি ছিল সেই অঙ্গনে নতুন করে এসেছে।

অফিসে আমার পিসিতে লিনাক্স চলে। এখানে অনায়েসে কাজ করে কয়েকজন কলিগ নিজেদের জন্য লিনাক্স নিয়ে গেছে। আর বাসাতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে শুধুমাত্র লিনাক্স ব্যবহার করছি। কম্পিউটারে আমাদের দৈনন্দিন সমস্ত কাজই এটাতে অনায়েসে হয়ে যাচ্ছে (মেইল/ইন্টারনেট, গানশোনা, মুভি/ডিভিডি দেখা, লেখালেখি, হিসাবকিতাব সবই)। যারা প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করে তারাও লিনাক্সে বেশি শিখতে পারে, কারণ সমস্ত সোর্স কোড উন্মুক্ত।

আর -- লিনাক্স ডেস্কটপ এবং সফটওয়্যারগুলো যে আইনসঙ্গতভাবেই বিনামূল্যে - এটা আপনাদের আগে বলিনি নাকি!

(সচলায়তনে প্রকাশিত)

বুধবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০০৯

ফেডোরা ইনফিনিটি ডে-তে আমন্ত্রণ

আবার একই রকম একটা আমন্ত্রণ দিয়ে গেলাম। ব্যক্তিগত ভাবে আমি লিনাক্স ব্যবহার করলেও এ বিষয়ে তেমন বেশি দক্ষ না। তাই দলে ভারী হইলে সুবিধা হয়, কারণ সাহায্য করার মত লোকজন পাওয়া সহজ হয়। ফালতু কথা বাদ দেই .... নিমন্ত্রণ পত্রটি দেখেন: (ফ্রী সিডি/ডিভিডি এবং বুটেবল ইউ.এস.বি. অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপার আছে)
------------------

বাংলাদেশে ফেডোরার প্রদায়ক, আগ্রহী এবং লিনাক্স ও ওপেনসোর্সপ্রেমীদের জন্য ফেডোরা ১০ রিলিজ মোলাকাত আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজক: ফেডোরা বাংলাদেশ
সময়: রবিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০০৯; ১২:০০টা - বিকাল ৫:০০টা
স্থান: প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
১১-এ, রোড-৯২, গুলশান-২, ঢাকা। (BFC / HSBC এর পাশে)
লোকেশন ম্যাপ

যোগাযোগের তথ্য
ফোন: 01613271737
ইমেইল: fedora@linux.org.bd

নিবন্ধন:
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এখানে রেজিস্ট্রেশন/নিবন্ধন করুন:
http://fedora.linux.org.bd

নিবন্ধনকৃত প্রথম ১০০ জন অংশগ্রহণকারীকে বিনামূল্যে ফেডোরা লাইভ সিডি/ডিভিডি দেয়া হবে।

এই অনুষ্ঠানটি আমাদের সফটওয়্যারের মতই বিনামূল্যে, অর্থাৎ নিবন্ধন/অংশগ্রহন করতে কোন ফী দিতে হবে না। সুতরাং, আপনার বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে নিয়ে ফেডোরা লিনাক্স সম্পর্কে জানতে চলে আসুন।

অনুষ্ঠানসূচী:
১. ফেডোরা ১০ ফীচার ট্যুর।
২. ফেডোরা ডেমন্সট্রেশন।
৩. লাইভ ইউ.এস.বি. তৈরী করা: এখানে একটা কম্পিউটারে আগ্রহীদের বুট/লাইভ ইউ.এস.বি. তৈরী করে দেয়া হবে। এজন্য আপনার পেন-ড্রাইভটি আনতে হবে (কমপক্ষে ১ গিগাবাইট আকারের)।
৪. ফেডোরা ১০ লাইভ সিডি/ডিভিডি বিতরণ।
৫. প্রশ্নোত্তর পর্ব।

বাংলাদেশ লিনাক্স ইউজার্স এসোসিয়েশনের (BLUA) সহায়তায় ফেডোরা বাংলাদেশ এই ফেডোরা ইনফিনিটি ডে'র আয়োজন করেছে। অনলাইন মিডিয়া পার্টনার: মুক্ত। সহায়তায় (লজিস্টিক্স/সাপোর্ট): আমাদের প্রযুক্তি
--
সহজ (!) লোকেশন ম্যাপ যুক্ত করলাম। A অক্ষর চিহ্নিত স্থানে একটি লাল বিন্দু বসিয়ে জায়গাটা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।