শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

নেপাল ভ্রমণ (জুন ২০২৩): পর্ব-০২

পর্ব তালিকা: চন্দ্রগিরি>>পোখারা>>জমসম>>মুক্তিনাথ>>তাতোপানি>>পোখারা>>থামেল

পথে পথে: কাঠমুন্ডু থেকে পোখারা হয়ে জমসম

এই পর্বে চন্দ্রগিরি হিল রিসর্ট থেকে গাড়িতে করে পোখারা গিয়ে সেখানে একরাত থেকে পরদিন মুসতাং এর জমসমে যাওয়ার যাত্রার ভিডিও ও ছবি আছে। ছবিগুলোর শেষে ভিডিওটা দেয়া আছে। এটা প্রায় ২০ মিনিটের একটা ভিডিও। এক কথায় বললে one hell of a journey ....

২৪-জুন-২০২৩

ছবি: চন্দ্রগিরি হিল রিসর্টের কেবল কারের  ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে শহরের দিকটা যেমন দেখায়
লাঞ্চে থেমেছিলাম ডাল-ভাত পাওয়ার নামে রেস্টুরেন্টে (Dal Bhat Power Restro & Bar)। এটা কাঠমুন্ডু ও পোখারার মাঝামাঝিতে। রেস্টুরেন্টের মালিক একসময় জাপানে থেকেছেন। তাই এর ম্যানেজমেন্টের মাণও অন্যরকম লেভেলের ভাল। কাঠমুন্ডু থেকে এখান পর্যন্ত রাস্তা ভাল ছিল।
মজার লাচ্ছি

নেপালে এসে মোমো চাওমিন খাব না তা কি হয়!

রেস্টুরেন্টের সামনের রাস্তাটা এমন

নিচের আগুন কিন্তু আগুন না; একটা লাইট।

ফার্নিচারে জাপানের লগ হাউজ টাইপের ভাইব দেখে ট্রাভেল এজেন্টকে জিজ্ঞেস করাতে জানালেন মালিক জাপানে থাকতেন একসময়ে
খাওয়ার পর পোখারা পর্যন্ত পথ বেশ খারাপ ছিল। পুরাটাই আন্ডার কনস্ট্রাকশন। তাই যেতে হচ্ছিল ধীরে ধীরে ...
ধূলা ওড়া ঠেকাতে রাস্তায় পানি দিচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতে এটা ছিল না, ধূলা ছিল সেইরকম বেশি

পথে টয়লেট বিরতি, গাড়ির ময়লা শরীর দেখলে আন্দাজ করা যায় রাস্তার অবস্থা

অবশেষে রাত ৮টার দিকে পোখারায় হোটেলে পৌঁছুলাম। এই হোটেলের নাম: Hotel Utsab Himalaya। বিখ্যাত পোখারা লেক এ থেকে খুব কাছে তবে পৌঁছুতে দেরী হওয়ায় আর ক্লান্তির কারণে কোথাও যাওয়া হয় নি। হোটেলের ভেতরটা বেশ ছিমছাম। রেস্টুরেন্টটাও সুন্দর।
হোটেলের ডিনারে সেই থালি ...

অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে হোটেলে সুইমিং পুল আছে কি না এটা খোঁজ নিয়ে যাই, তবে নেপালে ভ্রমণের পরিকল্পনায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না
রাতে বৃষ্টি ছিল। ভোরের পূর্বাভাসেও বৃষ্টি, তাই ভোরে সারাংকোটে (Sarangkot) গিয়ে সূর্যোদয় দেখার পরিকল্পনা বাদ দেয়া হয়েছিল। বৃষ্টি না থাকলেও যতটা ক্লান্ত ছিলাম, তাতে ভোর ৪:৩০শে উঠে সেখানে আদৌ যেতে পারতাম কি না সন্দেহ আছে।
সকালে হোটেলের চত্বরে ঘোরাঘুরি

হোটেলে সুইমিং পুলও আছে। তবে আমাদের পরিকল্পনায় শুধুই পাহাড়, তাই ওসবে অবহেলা :)

২৫-জুন-২০২৩

এরপর সকাল সকাল আমরা পোখারা থেকে মুসতাং ভ্যালীর জমসমের পথে রওয়ানা দিলাম। আমাদের সাথে ছিল বেশ শক্তপোক্ত একটা জীপ - মাহিন্দ্র কোম্পানির স্করপিও মডেল। ড্রাইভার খুবই সরল সহজ মিশুক মানুষ।

পোখারা শহরের কাছে কিছু জায়গায় রাস্তা খারাপ। পাশের নদীর নাম শ্বেতী নদী - এর ঘোলা পানি সাদা রঙের।

শহরের কাছে বাকী রাস্তা সুপ্রশস্থ সুন্দর

বর্ষার পূর্ণ রূপ, বিভিন্ন জায়গায় ঝরণায় পানি

জায়গায় জায়গায় রাস্তার পাশে এমনভাবে পানি নেমে আসছে

একজায়গায় টয়লেট বিরতি আর সেই ফাকে রাইস টেরাসের দেখা। মহিলারা কাজ করছে ক্ষেতে; আর পুরুষ লোক দুরে বসে বাচ্চা সামলাচ্ছে

নদী পাহাড়, ঝুলন্ত সেতু সব মিলিয়ে অসাধারণ দৃশ্য - এমন দৃশ্যের কমতি নেই

খাড়া পাথুরে পাহাড় আর মাঝে পাথুরে রাস্তা এখনও পীচ করা হয়নি (গাড়ির কাঁচের ভেতর থেকে ছবিটা তোলা হয়েছে বলে হয়তো একটু ঘোলা লাগতে পারে)

বর্ষার সৌন্দর্য পাহাড়ি ঝরনা
অসম্ভব কঠিন এবং ভীতিকর রাস্তা পার হয়ে হঠাৎ একটা জায়গায় বের হয়ে চমৎকার হোটেল দেখলাম। আর ড্রাইভার সাহেব নিজ থেকেই সেখানে গাড়ি থামিয়ে বললো যে দুপুরে আমাদের এখানেই খাওয়ার কথা। তখন অবশ্য দুপুর গড়িয়ে বিকেল, কারণ পথে পাহাড়ের উপরে দেড় ঘন্টার মত এক জায়গায় যানজটে আটকে ছিলাম, কারণ সামনে ভূমিধ্বসে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। লাঞ্চের এই জায়গাটার নাম তাতোপানি।
হোটেলের রেস্টুরেন্টের ভেতরের দৃশ্য

হোটেলটির সামনের দৃশ্য

হোটেলের সামনের দিক

থালি আর মোমো
এরপরে আবার কঠিন পথ; পাহাড়ের রূপে আরো বৈচিত্র
রাস্তা এমনই। গাড়ির সামনের উইন্ডশীল্ডের ভেতর থেকে তোলা

রাস্তা দেখলে  কিছুটা ভয় লাগে

রাস্তা ভীতিকর হলেও দৃশ্য দারুন


এরকম খাড়া পাহাড় দেখে অভ্যস্থ নই। এই বুঝি ঘাড়ে পড়লো ভেঙ্গে - ভেবে অস্বস্তি লাগে

এটি পথের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। কিন্তু চারিদিকে এত আলগা পাথর খসে পড়ার মত অবস্থায় দেখে ড্রাইভার সাহেব সেখানে দাঁড়ানোর ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি, ইতিমধ্যেই আগের যানজট আর খাওয়া দাওয়া মিলিয়ে দেরী হওয়ায় আমরাও আর দাঁড়াতে বলিনি। (নিচের ভিডিওতে এটা আরও ভালভাবে দেখা যাবে)

খাড়া পাথর খোদাই করে রাস্তা। ল্যান্ডস্লাইড যদি হয় - দোষ দেয়া যাবে না

এক সময়ে রাস্তা খারাপ রাস্তা ভাল হওয়া শুরু করলো। ড্রাইভার বললেন - আমরা মুসতাং অঞ্চলে প্রবেশ করেছি। এটা একসময়ে একজন রাজার অধীনে একটা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ছিল। এখনাে প্রবেশ করতে আগে থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হয়; সাধারণত ট্যূর অপারেটরই এই বিষয়গুলো সামলায়।

লেতে নামক জায়গায় চা-বিরতি। তখন সন্ধ্যা ৬টা পার হয়ে গেছে। এখানকার বাতাসও বেশ ঠান্ডা ছিল। আমাদের অবস্থা সেই ancient mariner এর মত। দূর্ধর্ষ রাস্তা পার হয়ে এখানে সভ্যতার দেখা পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। ড্রাইভার বললেন এখানে থেকে আরও ঘন্টাখানেক লাগবে জমসম যেতে।

সুন্দর রাস্তা, নামটা বাংলায় হলে ধলাগিরি (শুভ্র / সাদা পাহাড়) হত।

বেঁচে আছি এখনও, কিন্তু গায়ে গরম কাপড় তুলতে হয়েছে

ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম চায়ে চুমুক, আহ্। (প্রতি কাপ ১০০ নেপালি রুপি)
জমসমের পথে রাস্তার পাশে বিশাল চওড়া জায়গা (river basin?)। এক পাশ দিয়ে পানি বইছে। চাইলে এপাশ-ওপাশ বাঁধ দিয়ে পানি জমতে দিলে এখানে দারুন লেক বানানো সম্ভব।

জায়গায় জায়গায় পাথরে গুহা দেখা যাচ্ছিল। ড্রাইভার জানালেন পূ্র্বে লোকজন এগুলোতে রাতে গবাদিপশু রাখতো
এরপরে হঠাৎ ওয়াও মুহুর্ত আসলো। এক মহুর্তে মনে হল সারাদিনের এই ভয়ংকর যাত্রা স্বার্থক। মেঘের আড়ালে রোদের আলোতে বরফ ঢাকা একটাু চূড়া সোনালী আভায় ঝলমল করছে। আর এ্যতক্ষণ ধরে যেই পাহাড়গুলোকে বিরাট উঁচু মনে হচ্ছিল, নতুন এই চূড়ার সামনে সেগুলোকেই এর হাঁটুর সমান মনে হতে লাগলো। গুগল ম্যাপ দেখে নিশ্চিত হলাম যে এই চূড়ার নাম নীলগিরি দক্ষিন, এর উচ্চতা ৬,৮৩৯ মিটার (২২,৪৩৮ ফুট)।

আর কিছুক্ষণ পরেই আমরা জমসম পৌছুলাম। চারিদিকে খুবই রুক্ষ প্রান্তর আর ঝড়ো বাতাস আর ধুলা ছিল বলে ছবি তোলা হয়নি তেমন। আমরা জমসমে হোটেলে পৌঁছুলাম। রুমে মালপত্র রেখেই হোটেলের রিসিপশনের দরজায় দঁড়িয়ে দেখি সামনে একটা উঁচু চুড়া অন্ধকারে খুব আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরার নাইট মোডের কেরামতিতে সেটার ছবি পরিষ্কার উঠলো।
নীলগিরি উত্তর চূড়া। উচ্চতা ৭০৬১ মিটার।

হোটেলের নাম ওম'স হোম

হোটেলের রুমটা বেশ ছোট। সাথে এটাচ টয়লেট। কিন্তু সামনে এমন কমন বসার জায়গা আছে - বেশ ঘরোয়া ভাব।

এখানকার রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার, সেই থালি। এ্যাতদুরে এসে যে খাবার পাচ্ছি সেটাতেই কৃতজ্ঞ।

রেস্টুরেন্টের ভেতরটা

দুধ-চা -- নেপালি ভাষাতেও একই নাম। চিনি কম - এটাও নেপালি ভাষাতে সেইম।

হোটেলের সামনের উঠান-লাগোয়া এই রেস্টুরেন্টেই খাওয়া দাওয়া হল।

এই জায়গাটা বেশ ঠান্ডা, উচ্চতা ২৭০০ মিটারের বেশি। জুন মাস গ্রীষ্মকাল, তাও রুমের মধ্যে লেপ আর বেড হিটার দেয়া ছিল, যা ব্যবহার করতে হয়েছিল।
পরের পর্বে এর চারপাশে বেড়ানো তুলে ধরবো।

ভিডিও#২: লোমহর্ষক রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ভিডিও (ইউটিউব)

 

সবগুলো প্রকাশিত পর্বের লিংক এই পাতার একেবারে শুরুতে দেয়া আছে। (পরের পর্ব এখানে)

রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

নেপাল ভ্রমণ (জুন ২০২৩): পর্ব-০১

পর্ব তালিকা: চন্দ্রগিরি>>পোখারা>>জমসম>>মুক্তিনাথ>>তাতোপানি>>পোখারা>>থামেল

চন্দ্রগিরি: মেঘের রাজ্যে আমরা

‌২৩ জুন ২০২৩:‌

ঢাকা-কাঠমুন্ডু: বিমান, ১০:১৫ - ১১:৩৫ (১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট), সময় মত গিয়েছে।

শুনেছিলাম কোনরকম খাবারদাবার দেয়, কিন্তু আমাদের মনে হল এর পরিমান বেশ ভাল।

অন অ্যারাইভাল ভিসা। ছবি লাগে না। এয়ারপোর্টে টাচস্ক্রিন প্যানেল আছে, পাসপোর্ট স্ক্যান করে + কিছু টাইপ করতে হয়। বছরে ১ম বার ফ্রী ভিসা (১৫ বা ৩০ দিনের অপশন সিলেক্ট করতে হয়)। এছাড়া, ফ্রী ওয়াইফাই দিয়েও করা যায়, সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের তথ্যগুলো টাইপ করে প্রবেশ করাতে হবে। এরপর ইমিগ্রেশন পার হতে ১ মিনিট লাগে। লাগেজও আমাদের আগেই বেল্টে চলে এসেছিল।

কিছু ডলার-নেপালি রুপি চেঞ্জ করা হল (@১২৮ রুপি/ডলার, এয়ারপোর্টের বাইরে রেট ০.৫~১ রুপির মত বেশি)। একটা সীম কার্ড কেনা হল ৫ জিবি ডেটা সহ। (=২৫০ রুপি)

ত্রিভূবন এয়ারপোর্ট - চন্দ্রগিরি হিল রিসর্ট : শর্টকাটে গেলে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা, ১:৩০ ঘন্টার মত লেগেছে গাড়িতে (এই ভ্রমণে সমস্ত গাড়িই ট্যূর প্যাকেজের অংশ ছিল, তাই আলাদা কোনো খরচ করতে হয়নি)।


একটা টিলার উপরে রিসেপশন। সেখান থেকে আমাদেরকে লাগেজ সহ একটা কেবল কারে তুলে দিল + পরদিন ফেরত আসার জন্যও কেবলকারের পাস দিল। 

ঝুলন্ত গন্ডোলার উচ্চতায় কিছুটা ভীত মনে হচ্ছে



কেবল কারের পাহাড়ের চূড়ার উপরের স্টেশন থেকে বের হলে দৃশ্যটা এমন। এখানেও মন্দির, জিপলাইন, সহ আরো কিছু এক্টিভিটি আছে।

১৫ মিনিটের মত রাইড। উইকি বলছে এটা ২.৪ কিলোমিটার, ৯~১২ মিনিট, উপরের স্টেশনের উচ্চতা ২৫৫৫ মিটার। উপরে আমাদেরকে রিসিভ করলো একজন, তারপর একটা মাইক্রোবাসে করে একটু দুরে চূড়া থেকে নিচে আঁকা-বাঁকা পথে নামিয়ে আনলো রিসর্টে (পৌণে দুই কিলোমিটার রাস্তা)।

নিচে গরম থাকলেও এই চূড়াতে তাপমাত্রা একটু কম। হঠাৎ করে উপর থেকে মেঘ নেম আসতে থাকলো। তাই হাতের লাগেজ থেকে হালকা জ্যাকেট গায়ে চড়িয়ে মেঘের ভেতরে থাকার ছবি তোলা হল।





ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের আদলে তৈরী চমৎকার রিসর্টটিতে বেশ কয়েকটি ভবন আছে। আমাদের ঠিকানা যে ভবনে সেটার লিফটের -3 (মাইনাস থ্রী) ফ্লোরে আমাদের রুম। অর্থাৎ রিসেপশন থেকে নেমে যেই চত্ত্বরে যাচ্ছি সেখান থেকে পাহাড়ের ঢালে তৈরী এই ভবনের ৪ তলায় সরাসরি প্রবেশ করা যায়, আমাদের রুম নিচতলায়।

তখন দুপুর গড়িয়ে বিকালের শুরু। প্রায় সাড়ো ৪টা বাজে। তাই রুমে লাগেজ রেখেই উপরে (আমাদের রুম নেগেটিভ ৩য় তলায়) রেস্টুরেন্টে চলে আসলাম হালকা খাওয়া দাওয়ার জন্য। কোনো কিছুতে হালাল লেখা নাই। তাই ভেজিটেরিয়ানেই ভরসা করে ভেজ মোমো আর চাওমিনের অর্ডার দেয়া হল।



খাওয়া দাওয়ার পরে খোলা চত্বরে চমৎকার দৃশ্যের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ফটোসেশন শুরু


এর মধ্যে আবার মেঘের আগমন সাথে ঠান্ডা বাতাস। কন্যা আর মা হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে ঘরে এসে সমস্ত গরম কাপড়-চোপড় পরে আবার উপরে উঠলাম। হেঃ হেঃ, ঠান্ডার জন্য প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি।


পেছনে জড়ো হওয়া দলটি এই ঠান্ডায় কিভাবে এত সাবলীল ছিল সেটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়; হয়তো গরম পানীয়র প্রতিক্রিয়া



আয়েশী মেঘ দেখা


সূর্য ডোবার ঠিক আগ মুহুর্তে আবার ম্যাজিকের মত আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল। দ্রুত মুহুর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করলাম।

 
একদিকে পরিষ্কার আকাশ, আরেকদিক থেকে আবার নতুন উদ্যামে মেঘ নামছে ...

ডানদিকে পাহাড় থেকে জলপ্রপাতের মত মেঘপ্রপাত চলছে

এরমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তাই ফ্রেশ হয়ে ডিনারের জন্য আবার সেই রেস্টুরেন্টে আগমন এবং সেখানকার খানাদানার ছবি ...

 

 

  

 




রাতে হঠাৎ দেখি মেঘ সরে গিয়ে আলোকজ্জ্বল শহর দেখা যাচ্ছে, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা 

‌২৪ জুন ২০২৩:‌

সকালে উঠে দেখি বৃষ্টি। রুমে একটা ছাতা দেয়া ছিল। সেটা নিয়ে উপরে এলাম। এখানে আরো কিছু ছাতা রাখা ছিল। ওগুলো নিয়ে উপরে রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। আমাদের চেকআউট করতে হবে ১০টার মধ্যে। তাই তাড়াতাড়ি নাস্তা করে ছাতা নিয়ে একটু বৃষ্টি দেখতে বের হলাম। আমাদের দেখাদেখি আরো লোকজন বের হয়ে ছাতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করা শুরু করেছিল।



রুমে ব্যাক করে চেকআউটের প্রস্তুতি আর একটু পোজ দিয়ে ছবি তোলা ...
চেক আউট করতে যাওয়ার পর হঠাৎ আকাশ পরিষ্কার হয়ে অনেক দুর পর্যন্ত দেখা যেতে থাকলো।

চেকআউটের পর শাটল গাড়ির জন্য অপেক্ষারত।

সেখানকার স্টাফগণ বলছিল এই ঋতূতে এরকম পরিষ্কার আকাশ এবং দুরের ঐ চূড়াগুলো দেখতে পাওয়া একটা ক্ষণস্থায়ী দূষ্প্রাপ্য ঘটনা - আমরা ভাগ্যবান যে এই সময়ে এটা দেখতে পারছি। একটু পরেই দেখি হুড়াহুড়ি করে হোটেলের স্টাফ এবং গেস্টরা এই দৃশ্য দেখার জন্য উপরের চত্বরে জড়োে হতে লাগলো।

বামের চূড়াটা সম্ভবত Dorje Lhakpa (6966 m)

খালি চোখে যা দেখা যায় তা ছবিতে আসে না কোনক্রমেই। কিছু ভিডিও ক্লিপ আছে, জোড়া দিয়ে পোস্ট করে শেয়ার করেছি এখানে

ভিডিও#১: চন্দ্রগিরি হিল রিসর্ট


 

পুরা ভ্রমণ ৮দিন ৭ রাতের। এখানে শুধুমাত্র প্রথম রাতের আগে পরে একটা জায়গার কথা ও ছবি দেয়া হল। পর্যায়ক্রমে বাকীগুলোও আসবে।

সবগুলো প্রকাশিত পর্বের লিংক এই পাতার একেবারে শুরুতে দেয়া আছে। (পরের পর্ব এখানে)