শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১

নিজের ল্যান/IP ঠিকানাগুলো কোথায় পাব (উইন্ডোজ)


লিনাক্সে অনেক নতুন ব্যবহারকারী নেটওয়র্ক সেটআপ করতে পারেন না। বিভিন্ন টিউটোরিয়ালে নেটওয়র্ক ম্যানেজারে নিজের আইপি, ডিএনএস সার্ভার ইত্যাদি বসিয়ে করার কথা দেখানো থাকলেও সেই আইপিগুলো উইন্ডোজের নেটওয়র্ক থেকে কিভাবে বের করতে হবে সেটা দেয়া থাকে না। এই ছবিতে শুধু সেই অংশটুকু দেখানোর প্রয়াস নিলাম।

পুরাতন ব্যবহারকারীগণ এই লেখা দেখে হয়তো হেসে কুটিকুটি হবেন। কিন্তু আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যাঁরা দীর্ঘদিন থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করা সত্ত্বেও এই বিষয়টা জানেন না। যিনি এই ব্যাপারটার জন্য আটকে যান, তার জন্য এটাও একটা জরুরী তথ্য, তাই সহজ বলেই টিউটোরিয়াল হিসেবে এসব খুটিনাটি বিষয়গুলো অবহেলা করা ঠিক নয়।

আমি উইন্ডোজ এক্সপি সিস্টেম থেকে কিভাবে নেটওয়র্কের জরুরী বৈশিষ্টগুলো বের করতে হয় সেটা দেখাচ্ছি:


১। চিত্রের মত স্টার্ট মেনু থেকে নেটওয়র্ক কানেকশনে ক্লিক করুন। এতে ২ নং এর মত উইন্ডো খুলবে।
২। লোকাল এরিয়া কানেকশনের উপরে মাউসের ডান বোতাম (রাইট বাটন) ক্লিক করুন। এতে একটা মেনু খুলবে, সেখানের সবশেষে Properties এ ক্লিক করুন। এতে ৩ নংএর মত উইন্ডো খুলবে।
৩। এ থেকে TCP/IP ওয়ালা অপশনটা সিলেক্ট করা অবস্থায় নিচের ডানদিকে প্রোপার্টিজ বাটনে ক্লিক করুন। এতে ৪ নং এর মত উইন্ডো খুলবে।
৪। এখান থেকে নম্বরগুলো টুকে রাখুন। এগুলোই যে কোনো অপারেটিং সিস্টেমে নেটওয়র্ক সেট করতে কাজে লাগবে। এমনকি লাইভ সিডি বা ইউএসবি চালানোর সময়েও এই তথ্যগুলো দিয়ে নেট কনেক্ট করতে পারবেন।


-- অতিরিক্ত তথ্য --

উইন্ডোজ ভিস্তাতে (আমার কাছে নাই, তাই স্ক্রিনশট দিতে অপারগ)


১। স্টার্ট মেনু থেকে Control Panel এ ক্লিক করুন।
২। যেই উইন্ডো খুলবে সেখান থেকে Network and Sharing Center আইকনে ডবল ক্লিক করুন।
৩। এতে যেই উইন্ডো খুলবে সেটার বামের মেনু থেকে Manage Network Connections ক্লিক করুন।
৪। এতে নেটওয়র্ক কানেকশন উইন্ডো আসবে, সেখানে লোকাল এরিয়া কানেকশন আইকনের উপরে মাউসের ডান বোতাম (রাইট বাটন) ক্লিক করুন; এতে খোলা মেনুর Properties এ ক্লিক করুন। এতে আরেকটি উইন্ডো খুলবে।
৫। এ থেকে Internet Protocol Version 4 (TCP/IPv4) অপশনটা সিলেক্ট করা অবস্থায় নিচের ডানদিকে প্রোপার্টিজ বাটনে ক্লিক করুন। এতে উপরের ছবির ৪ নং এর মত উইন্ডো খুলবে। সেখানে নম্বরগুলো পাবেন।

উইন্ডোজ সেভেন-এ (আমার কাছে নাই, তাই স্ক্রিনশট দিতে অপারগ)


১। Control Panel > Network and Internet > Network and Sharing Center
২। বাম প্যানেলে Change Adapter Settings এ ক্লিক করুন।
৩। View your active networks এর অধীনে Local Area Connection এ রাইট মাউস ক্লিক করে প্রোপার্টিজে ক্লিক করুন।
৪। এতে নেটওয়র্ক কানেকশন উইন্ডো আসবে, সেখানে লোকাল এরিয়া কানেকশন আইকনের উপরে মাউসের ডান বোতাম (রাইট বাটন) ক্লিক করুন; এতে খোলা মেনুর Properties এ ক্লিক করুন। এতে আরেকটি উইন্ডো খুলবে।
৫। এ থেকে Internet Protocol Version 4 (TCP/IPv4) অপশনটা সিলেক্ট করা অবস্থায় নিচের ডানদিকে প্রোপার্টিজ বাটনে ক্লিক করুন। এতে উপরের ছবির ৪ নং এর মত উইন্ডো খুলবে। সেখানে নম্বরগুলো পাবেন।

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Simplicity Linux: পাপ্পি লিনাক্সে পূর্ণ শক্তির ডেস্কটপ

পাপ্পি লিনাক্স অত্যন্ত হালকা একটা লিনাক্স হলেও এর ডিফল্ট ভার্সনে হালকা থাকার স্বার্থে অফিস এবং গ্রাফিক্স সফটওয়্যারে ছাড় দিতে হয়েছে। তাই পাপ্পি অনেকের পছন্দ হলেও সম্পুর্ন সময়ের জন্য এটা ব্যবহার করে নিজের কম্পিউটিং চাহিদা মিটাতে পারবেন না। পাপ্পি লিনাক্স আমার পছন্দ হলেও সবসময়ই এতে লিব্রে অফিসের অভাব অনুভব করতাম। তাই লিব্রে অফিস সহ একটা পাপ্পি ডেরিভেটিভ (পাপলেট) দেখে সেটা একটু নামিয়ে চালিয়ে দেখলাম।

এটাকে অবশ্য আমার পছন্দের মাল্টিবুট ইউএসবি তৈরীর সফটওয়্যার থেকে লাইভ করতে পারিনি। তাই সিডি বার্ন করে নিয়েছিলাম। লাইভ সিডি থেকে চালানোর সময়ে এর একটা স্ক্রিনশট দেখুন:
  • স্ক্রিনশট নেয়ার আগে আমার বাংলা ফন্টের ফোল্ডারটাকে .fonts নামে এটার রুট ডিরেক্টরিতে কপি করে নিয়েছিলাম। 
  • এটাতে নিচের বামকোনায় একটা মেনু আছে। সেই মেনুর আইটেম অনেক সুবিন্যস্ত মনে হলেও সেখানে খুঁজে লিব্রে অফিসের টিকিটিও পেলাম না।
  • স্ক্রিনের বামদিকে আর উপরে অটোহাইড হয়ে যাওয়া আরও দুটি প্যানেল আছে। আমি স্ক্রিনশট নেয়ার সময়ে দেখানোর সুবিধার্থে ওগুলোর প্রোপার্টি পরিবর্তন করে অটোহাইড বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ডিফল্ট এই মেনুগুলোতে ইচ্ছা করলে আরো আইটেম যোগ করা যায়।
  • বামদিকের প্যানেলটায় আমার সমস্ত কাজের জিনিষগুলো পেলাম। লিব্রে অফিস, গিম্প, ট্রান্সমিশন বিট টরেন্ট ক্লায়েন্ট, ব্রাউজার, ভিএলসি প্লেয়ার ইত্যাদি এদিকে রাখা আছে।
  • উপরের মেনুটাতেও বেশ কাজের কিছু জিনিষ রাখা আছে।
  • স্ক্রিনশটের বামদিকে লিব্রে অফিসে আমার হার্ডডিস্কে থাকা একটা বাংলা ফাইল ঠিকমতই দেখাচ্ছে।
  • বামদিকে pcmanfm ফাইল ব্রাউজারটাও বেশ সুদৃশ্য। 
  • মজিলা ব্রাউজারে বাংলা ফোরাম দেখাচ্ছে ঠিকভাবেই। কিউবির নেট পেয়েছে অটোমেটিক।
  • দ্রুত অ্যাপ খোঁজার জন্য একটা প্রোগ্রাম দেখলাম এখানে - যা উইন্ডোজ মেনু সিস্টেমের কথা মনে করিয়ে দেয়।
  • ডেস্কটপে খোলা সবগুলো আইটেমের জন্য দৃষ্টিনন্দন ট্রান্সপারেন্সি দেয়া আছে।
  • এই স্ক্রিনশটটা গিম্প দিয়ে নেয়া হয়েছে।


৪৫৫ মেগাবাইটের সিম্প্লিসিটি ডেস্কটপে xfce এনভায়রনমেন্ট ব্যবহার করেছে বলে লিখেছে। কিন্তু এর আগে যুবুন্টু ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় ঐ ডেস্কটপে যে এ্যাত কিছু করা যেতে পারে তা কল্পনাতে ছিল না।

এরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পাপ্পিতে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যোগ করে কয়েকরকম ফ্লেভারের ডিস্ট্রো বানিয়েছে। যেগুলোর ডাউনলোড লিংকগুলো এখানে দিয়ে দিলাম।
Obsidian 11.07 (123mb): এটা শুধু নেট ব্রাউজের জন্য হালকা পাতলা এডিশন। এটাতে ব্রাউজার, ফ্লাশ আর নেটওয়র্ক ম্যানেজার দেয়া আছে। এটা ছাড়া আর বাকী সবগুলোই xfce এনভায়রনমেন্ট ব্যবহার করেছে।
Desktop 11.07 (455mb): এটার কথাই উপরে বর্ণনা করলাম। খুব বেশি বড় আকার না করেও পরিপূর্ণ ডেস্কটপ হওয়ার জন্য কোনরূপ ছাড় দেয়া হয়নি এতে। অনলাইন এবং অফলাইন দুই অবস্থাতেই এটা দারুন কাজের।
Netbook 11.07 (209mb): এটা নেটবুকের জন্য। এখানে xfce এনভায়রনমেন্ট ছাড়াও ফায়ারফক্স অরোরা, ফ্লাশ এবং ওয়েব নির্ভর অ্যাপ্লিকেশন দেয়া হয়েছে।
Media 11.07 (202mb): এই রিলিজটা বেশ মজার। মূল প্রোগামাররা গুগল টিভি আর গুগল IO দেখে উৎসাহিত হয়ে পাপ্পি লিনাক্স ব্যবহার করে সিম্প্লিসিটি বানানোর চেষ্টা করেন। এটা ছোট হলেও এটা বেশ কাজের এবং এটা দিয়ে ওনারা পুরাতন ল্যাপটপকে ২২ ইঞ্চি মনিটরে কানেকশন দিয়ে সেটাতে মুভি দেখেন। অফিসের লাউঞ্জে একটা মিডিয়া সেন্টার হিসেবে পুরাতন ল্যাপটপের সাথে ওয়্যারলেস মাউস আর কীবোর্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।


মূল ওয়েবসাইট: http://simplicitylinux.org/

পাপ্পি লিনাক্স সম্পর্কে আরেকটু জানতে আমার এই পোস্ট দুটি পড়তে পারেন:
Puppy Linux দেখে আমি অবাক ও মুগ্ধ (২৪-জানুয়ারী-২০০৯ এ লেখা)
Macpup: সুন্দর পাপ্পি লিনাক্স ডেরিভেটিভ

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Macpup: সুন্দর পাপ্পি লিনাক্স ডেরিভেটিভ

পাপ্পি লিনাক্স খুবই হালকা একটা লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন। অস্ট্রেলিয়ার এই ডিস্ট্রিবিউশনের মধ্যে ভারী কোনো প্রোগ্রাম না থাকলেও সাধারণত ডিফল্ট ভাবে বিভিন্ন অফিস ডকুমেন্ট সাপোর্ট করে। আর পুরাপুরি র‍্যাম থেকে চলে বলে অসম্ভব দ্রুতগতির। আমি সহ অনেকেই এটাকে দেখা দ্রুততম ডিস্ট্রিবিউশন বলি। যা হোক, কিছুদিন পর পর পাপ্পি'র আপডেট হয়। এছাড়া উবুন্টুর উপর ভিত্তি করে যেমন মিন্ট, জোরিন, বোধি সহ অনেক ডিস্ট্রিবিউশন তৈরী হয়েছে তেমনি পাপ্পির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের বা বৈশিষ্টের ডিস্ট্রিবিউশন বা পাপ্পি ডেরিভেটিভ তৈরী হয়েছে; এগুলোকে পাপলেট বলা হয়। আজ তেমনি একটি পাপলেটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। পাপ্পি সম্পর্কে জানতে লেখার শেষে দেয়া বাংলা পোস্টের লিংকগুলো একটু ঘুরে আসতে পারেন; ওগুলো পুরাতন লেখা হলেও মোটামুটিভাবে এখনও প্রযোজ্য। তবে কিছু লেখার আগে ডিস্ট্রোওয়াচ থেকে এর একটা স্ক্রিনশট দেখি:

এর সাথে পাপ্পি লিনাক্সের মূল ভার্সনের তুলনা করলেই এটা নিয়ে মুগ্ধতার বিষয়টা পরিষ্কার হবে। দেখুন একই ভার্সনের পাপ্পির ডিফল্ট রূপ:

Macpup 525 পাপ্পি লিনাক্সের সর্বশেষ ৫.২.৫ লুসিড পাপ্পির উপর ভিত্তি করে একটি অফিসিয়াল ডেরিভেটিভ বা পাপলেট (puplet)। এই ভার্সনগুলোর উবুন্টুর লুসিড লিংক্সের বাইনারী প্যাকেজের সাথে কম্পাটিবল। এটাতে লুসিড পাপ্পির সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো তো আছেই, এছাড়া এতে ফায়ারফক্স ৪.০.১ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এতে অপেরা বা গিম্প সহজেই ইনস্টল করার অপশন দেয়া আছে। এই ভার্সনে আরও আছে এনলাইটেনমেন্ট E17 উইন্ডো ম্যানেজার (পাশাপাশি মূল JWMও আছে)। এটা দেখতে ম্যাক ওএস এর মত করা হয়েছে বলে এটাকে ম্যাকপাপ নাম দেয়া  হয়েছে। এটার মূলত i386 আর্কিটেকচারে চলে। এটাতে GOffice নামক অফিস প্রোগ্রাম দেয়া আছে (অ্যাবিওয়র্ড, জিনিউমেরিক ইত্যাদি), যা মাইক্রোসফট এবং ওপেন ডকুমেন্ট পড়তে ও লিখতে পারে।

এর মূল ওয়েবসাইট: http://macpup.org/
মূল সাইটে গেলে লিংক করা ইউটিউব ভিডিও হিসেবে রিভিউ দেখতে পাবেন।

এবার আমার ডেস্কটপে লাইভ ম্যাকপাপের দুইটা স্ক্রিনশট দেখাই:

এই স্ক্রিনশটের বর্ণনা:
  • উপরের ছবিতে দেখুন এটা মাত্র ৬৭ মেগা র‍্যাম খরচ করছে। 
  • এতে আমার পিসির হার্ডডিস্ক ব্রাউজ করছি। 
  • আর ডেস্কটপে রাইট মাউস ক্লিকে খোলা মেনুতে কিভাবে স্ক্রিনশট নিলাম সেটার রহস্য ফাঁস করে দিলাম।


এই স্ক্রিনশটের বর্ণনা:
  • এই ছবিতে আরেকটু ডিটেইলিং করার চেষ্টা করলাম। এতে ডিফল্টভাবে বাংলাকে জটিল বাক্স আকারে দেখায়। তাই আমার হার্ডডিস্ক থেকে বাংলা ফন্টের ফোল্ডারটা এখানকার রুটে .fonts নামে কপি করে নিয়ে আসলাম। তারপর ফায়ারফক্সের সেটিংস থেকে বাংলা ফন্ট সিলেক্ট করে দিলাম। এবার দেখুন বাংলা ফোরাম কেমন সুন্দর দেখা যাচ্ছে। 
  • এছাড়া আরেকটা খোলা উইন্ডোতে আমার পুরাতন .odt ফরম্যাটের বাংলা ফাইল চমৎকার দেখা যাচ্ছে। 
  • উপরের দিকে খোলা উইন্ডোতে আমার পিসির হার্ডডিস্ক ব্রাউজ করছি, ওতে বাংলায় লেখা নামগুলো ঠিকভাবে দেখাচ্ছে না।
  • খেয়াল করে দেখুন ডেস্কটপের ডান প্রান্তে একটা ইউএসবি এবং আরেকটা আইকন দেখা যাচ্ছে। এগুলো হল মিনিমাইজ করা একটা ফাইল ব্রাউজার এবং একটা Htop প্রোগ্রামের (আগের স্ক্রিনশটে যেটাতে মেমরি দেখাচ্ছে) উইন্ডো - যা মিনিমাইজ করলে এভাবে পাশে জমা হয়।
  • এবার নিচের ডক বারটা লক্ষ্য করুন। বামদিকে ইংরেজি M অক্ষরের মত আইকনের ডানদিকে দুইটা স্পেসে দুইটা ডেস্কটপের মিনিয়েচার দেখাচ্ছে।
  • স্ক্রিনশট নেয়ার সময় মাউসটাকে ডানদিকে শাটডাউন বাটনের উপরে রেখেছিলাম। এতে অন্য বাটনগুলোর মত এটার নামও ভেসে উঠেছে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া ঢেউয়ের মত একটা এনিমেশনও হচ্ছিলো।

ম্যাকপাপের সারসংক্ষেপ:

  • ভিত্তি: পাপ্পি লিনাক্স
  • মূল: ম্যাকপাপ
  • আর্কিটেকচার: i386
  • ডেস্কটপ: Enlightenment, JWM
  • ক্যাটগরি: ডেস্কটপ
  • অফিস সফটওয়্যার: GOffice

পাপ্পি লিনাক্স সম্পর্কে আমার পুরাতন পোস্ট:


পাপ্পি লিনাক্স দেখে আমি অবাক ও মুগ্ধ: (১৬ই জানুয়ারী ২০০৯)
http://hussainuzzaman.blogspot.com/2009/01/puppy-linux.html


পাপ্পি লিনাক্সে বাংলা লেখা:
http://hussainuzzaman.blogspot.com/2009/01/puppy-linux_31.html

বায়োপাপ্পি: (তপু ভাইয়ের লেখা)
http://forum.projanmo.com/topic14583.html

পাপ্পি লিনাক্স নিয়ে বাংলায় আরো তথ্য ও আলোচনা পাবেন বিভিন্ন জায়গায়।
http://forum.projanmo.com/topic28977.html
http://forum.projanmo.com/topic9886.html
http://forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=42&t=2803&p=23301#p23301

প্রথম দুইটা ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা:

http://distrowatch.com/table.php?distribution=macpup
http://distrowatch.com/table.php?distribution=puppy

সরাসরি ডাউনলোড (১৫৫ মেগাবাইট)

http://macpup.org/redirect.php?myurl=52501

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১

গিম্প টিউটোরিয়াল: স্ক্রিনশট নেয়া

GIMP এর পুরা হল GNU Image Manipulation Program যা অনেকটা ফটোশপের মত। এই দারুন ক্ষমতাবান সফটওয়্যারটি ওপেনসোর্স এবং ফ্রী; তাছাড়া, উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক সব প্লাটফর্ম সাপোর্ট করে। এর আগে গিম্প দিয়ে সাধারণ এনিমেটেড ছবি তৈরী করা দেখিয়েছিলাম। এবার দেখুন গিম্প ব্যবহার করে স্ক্রিনশট নেয়া যায় কিভাবে।

নিচের ছবির মত গিম্পের মেনু থেকে File -->  Create --> Screenshot নির্বাচন করুন। এতে ভেতরে থাকা Screenshot নামক উইন্ডো খুলবে। সেখান থেকে আপনার পছন্দমত স্ক্রিনশট নেয়ার অপশন নির্বাচন করুন। ছবির Area হিসেবে: সিলেক্ট করা উইন্ডো, পুরা স্ক্রিন অথবা স্ক্রিনের নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করে স্ক্রিনশট নেয়া যায়।


ব্যক্তিগতভাবে আমি একটু সময় নিয়ে স্ক্রিনশট নিতে পছন্দ করি, তাই Delay হিসেবে কিছু সময় সিলেক্ট করে দেই। এতে ছবি নেয়ার কমান্ড হিসেবে Snap বাটন ক্লিক করার পর এটা মিনিমাইজ করে যা দেখাতে চাই সেগুলো স্ক্রিনে আনার সময় পাওয়া যায়। উপরের ছবিটা চিত্রের মত করে ২য় অপশন সিলেক্ট করে নেয়া হয়েছে, তাই আমার স্ক্রিনের সবকিছুই এতে চলে এসেছে। পরের ছবিগুলো ১ম অপশন দিয়ে নেয়া। এই অপশন নির্বাচন করলে, পরবর্তীতে পছন্দের উইন্ডো (যেটার ছবি নিতে চান) সিলেক্ট করার জন্য + চিহ্নের মত একটা পয়েন্টার আসবে সেটা দিয়ে যেই উইন্ডো ক্লিক করবেন সেটার ছবি নেবে।

স্ক্রিনশট নেয়ার পর ছবিটা গিম্পেই খুলবে। আপনার দরকার হলে এতে কিছু এডিট করতে পারেন। কিছু জিনিষ মার্ক করতে পারেন কিছু জিনিষ ঝাপসা করতে পারেন। যা হোক এরপর ছবিটাকে প্রচলিত ফরম্যাটে সংরক্ষণ করতে চাইলে উপরের File মেনু থেকে Save As নির্বাচন করতে হবে। শুধু Save দিলে গিম্পের ডিফল্ট ফরম্যাট .xcf এ সংরক্ষিত হবে।


Save As দিলে, এতে নিচের মত উইন্ডো খুলবে। সেখানে পছন্দের নাম এবং এক্সটেনশন দিন। কোথায় সংরক্ষণ করবে সেটা দেখিয়ে দিন। খেয়াল করে দেখুন নিচের দিকে Browse for other folders আছে যেটা দিয়ে Save in folder এর সীমিত অপশনের বাইরে যে কোন জায়গা দেখিয়ে দেয়া যাবে। আর এক্সটেনশন হাতে লিখে দেয়ার ব্যাপারে দ্বিধা থাকলে পরের Select File Type এ ক্লিক করে সেখান থেকে পছন্দের ধরণটা বেছে নিতে পারেন। তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন।


এই পর্যায়ে নিচের মত মেসেজ আসতে পারে। সেটা জেনে Export এ ক্লিক করুন।


এই পর্যায়ে আপনার ছবির কোয়ালিটি নির্বাচনের জন্য আরেকটি অপশন আসবে।


কোয়ালিটি ১০০% করলে আকার একটু বড় হবে। কোয়ালিটি কমালে ছবির আকার কম হবে। উপরের সবগুলো ছবিই এই চিত্রের মত ৮৫% কোয়ালিটিতে সংরক্ষণ করা। ব্যাস এটাই শেষ ধাপ, Save এ ক্লিক করুন। ছবি সংরক্ষিত হবে।

শুধুমাত্র স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়। যেমন আমার উইন্ডোজ এক্সপিতে এজন্য snagit নামক ফ্রী সফটওয়্যার ব্যবহার করতাম। যদিও কম্পিউটারের Print Screen বাটন এবং পেইন্ট ব্যবহার করেও স্ক্রিনশট নেয়া যায়। উইন্ডোজের পরের ভার্সনগুলোতে সম্ভবত এজন্য নিজস্ব টুল দেয়া আছে (তবে Delay সুবিধা আছে কি না জানিনা)। এছাড়া  লিনাক্সের বেশিরভাগ ডিস্ট্রিবিউশনে স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য টুল দেয়া থাকে।

গিম্প ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে:
উইন্ডোজের জন্য (১৯.৪ মেগাবাইট): http://www.gimp.org/windows/
সরাসরি ডাউনলোড


ম্যাকের জন্য:
http://www.gimp.org/macintosh/

লিনাক্সের জন্য:
http://www.gimp.org/downloads/

বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে স্ক্রিনশট নেয়ার আরও উপায় জানতে পারেন উইকিপিডিয়া থেকে:‌
http://en.wikipedia.org/wiki/Screenshot

আলাদা সফটওয়্যার ছাড়া উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেয়ার পদ্ধতি বর্ণনা আছে এখানে:
http://www.wikihow.com/Take-a-Screenshot-in-Microsoft-Windows

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

SliTaz: ৩১.৫ মেগাবাইটের অপারেটিং সিস্টেম

সাইজ খুব ছোট দেখে এটা একটু চালিয়ে দেখার খায়েশ জাগলো। চেহারাটাও পরিচিত। তবে ৩১.৫ মেগাবাইটের মধ্যে কী কী দেয়া সম্ভব সেটা দেখার কৌতুহলও হচ্ছিলো খুব।

ছবি অনেক কিছুই বলে দেয়। ডিস্ট্রোওয়াচ থেকে এটার স্ক্রিনশট দেখুন:



মেনুতে অনেকগুলো আইটেম দেখালেও আসলে এটাতে ভারী কোনো প্রোগ্রাম নাই। কিছু আইটেম আছে যেটাতে ক্লিক করলে ইনস্টল করার অপশন আসে। হ্যাঁ স্লিটাজের নিজস্ব রিপো আছে। গতকাল ওতে খুঁজে দেখলাম, ইতিমধ্যেই ওপেন অফিস আছে, আর লিব্রে অফিসও সাবমিট করা হয়েছে।

স্লিটাজ বুট করার সময় অনেকগুলো ভাষার লোকেল পছন্দ করার সুযোগ দেয় (en, de_DE, en_GB, en_US, es_ES, fr_FR, pt_BR, pt_PT, ru_RU); অপশনগুলোতে ইংলিশ, জার্মান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, পর্তূগীজ, রাশিয়ান ভাষা দেখলাম বলে মনে হল। এরপর কীবোর্ড ম্যাপ বেছে নিতে বলে। আমাদের ব্যবহৃত USA ম্যাপের নাম সবার শেষে। কাজেই না দেখে OK করলে বিপদে পড়তে হতে পারে।

এটাতে আমার হার্ডডিস্ক এবং পেনড্রাইভে থাকা txt, pdf, image টাইপের ফাইল খুলতে পারলেও, doc, odt, ods বা মিডিয়া ফাইল খুলতে পারে নাই। অবশ্য এই আকারের মধ্যে অত ক্ষমতা আশাও করিনি। এছাড়া লাইভ সিস্টেমটা আমার নেটবুকের reiserfs এবং ext4 ফাইলসিস্টেমের পার্টিশন খুলতে পারেনি। তবে অনায়েসেই ntfs এবং পেনড্রাইভ fat খুলেছে।

ইন্টারনেট চ্যাটের জন্য ক্লায়েন্ট ছাড়াও মিদোরি (মজিলা ফায়ারফক্সের মত) ব্রাউজার, ট্রান্সমিশন বিট টরেন্ট ক্লায়েন্ট এবং টুইটার মাইক্রোব্লগ ক্লায়েন্ট আছে বলে দেখলাম। এছাড়া এতে ghttpd ওয়েব সার্ভার, SQLite ডেটাবেস, রেসকিউ টুলস, IRC ক্লায়েন্ট, SSH ক্লায়েন্ট ও সার্ভার যা Dropbear পাওয়ারড, X উইন্ডো সিস্টেম, JWM (Joe's Window Manager), gFTP, Geany IDE, AlsaPlayer, GParted, sound file editor রয়েছে।

এটা পুরাতন 486 মডেলের কম্পিউটারকে টার্গেট করে বানানো হলেও n470 এটম প্রসেসর যুক্ত আমার নেটবুকেও চললো। তবে নিচের স্ক্রিনশটটা আমার সেলেরন ডেস্কটপ থেকে নেয়া; এটা নিতে স্লিটাজের মেনুতে দেয়া গ্র্যাব স্ক্রিনশট নামক এ্যাপ ব্যবহৃত হয়েছে। দেখুন অনায়েসেই আমার কিউবি ইন্টারনেট চলছে।


স্লিটাজ খুবই হালকা অপারেটিং সিস্টেম, এটার আকার দেখেই সেটা বুঝে ফেলার কথা। এটা নিজেকে পুরোপুরিভাবে RAMএ কপি করে নেয় এবং এরপর লাইভ মিডিয়া বের করে নিতে দেয়, অর্থাৎ একটি লাইভ সিডি বা ইউএসবি দিয়েই পর পর অনেকগুলো মেশিনে একই সাথে লাইভ সিস্টেম চালানো যাবে -- একটি মেশিন বুট হলেই ওখান থেকে সিডি বা ইউএসবি বের করে আরেকটা বুট করতে হবে।

এর প্যাকেজগুলো রাখা আছে রিপোতে। হার্ডডিস্কে ইনস্টল করার পর এখান থেকে প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে নেয়া যাবে।
স্টেবল প্যাকেজ লিস্ট: http://mirror.slitaz.org/packages/stable/packages.list
কুকিং প্যাকেজ লিস্ট: http://mirror.slitaz.org/packages/cooking/packages.list

আরও জানতে ঢু মেরে আসুন:
http://www.slitaz.org/
http://en.wikipedia.org/wiki/SliTaz
http://distrowatch.com/table.php?distribution=slitaz

স্টেবল ভার্সন ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে (৩১.৫ মেগাবাইট):
http://mirror.slitaz.org/iso/3.0/slitaz-3.0.iso

Austrumi: আরেকটি কাজের হালকা ডিস্ট্রো

এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমটা আগ্রহ নিয়ে দেখানোর কারণ এটার আকার মাত্র ২১০ মেগাবাইট, অথচ এর মধ্যেই লিব্রে অফিস, গিম্প এবং ইঙ্কস্কেপের মত প্রোগ্রাম দেয়া আছে। খুব সম্ভবত আকীক নামে এক লিনাক্স পাগল আমাকে এটি দিয়ে গিয়েছিল। তবে ও আমাকে যেই ভার্সন দিয়েছিলো তার পরে আরও দুইটি ভার্সন রিলিজ হয়েছে। আমি সর্বশেষ 2.4.0 ভার্সনটা ব্যবহার করে সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই লেখাটা লিখছি। কিছু শুরু করার আগে এটার একটা স্ক্রিনশট দেখি ওদের সাইট থেকে:


লাইভ ইউএসবি বুট করেই যেই সমস্যাটায় পড়তে হয় সেটা হল এটার ভাষা ইংরেজি নয়, লাটভিয়ান। তবে ঘাবড়াবার কিছু নাই কয়েকটা সহজ ক্লিকেই এটাকে ইংরেজি করা যায়। ইংরেজি করতে হলে যা করতে হবে:
১। ডেস্কটপে ক্লিক করুন (সাধারণত যেভাবে করি, বামদিকের মাউস বাটন), এতে উপরের চিত্রের মত একটা মেনু খুলবে।
২। Istatiejumi তে ক্লিক করলে সাবমেনু খুলবে সেটাতে Voludys (সবচেয়ে নিচের অপশন) ক্লিক করুন।
৩। এতে কয়েকটি দেশের পতাকা ও নাম সহ একটা ছোট উইন্ডো খুলবে। সবচেয়ে উপরে ইংলিশ, যা ইংরেজিতেই লেখা - ওতে ক্লিক করুন। এতে পর মুহুর্তেই ডেস্কটপটা ইংলিশে লোড হবে।

এবার আরেকটা মজার জিনিষের কথা বলি। এটাতে মোট ৫ রকম ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট থীম রয়েছে। উপরের ছবিতে যেই থীমটা দেখা যাচ্ছে সেটাকে ওরা নাম দিয়েছে: R-Panel Theme। এছাড়া U-Gadgets Theme, Windows Theme, Versatile Theme, Cairo dock theme আছে।

এটাতে আমার নেটবুক থেকে স্ক্রিনশট নেয়াটা একটু ঝামেলার মনে হল। তারপরও কীভাবে জানি দুইটা স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেছি। ১ম শটটা উইন্ডোজ থীমের, আর পরেরটা কায়রো ডক।


উইন্ডোজ থীমটা আমাদের সেই পরিচিত পুরাতন উইন্ডোজের মত। এতে ফাইল ব্রাউজার হল pcmanfm যা নপিক্সেও ব্যবহৃত হয়। দেখুন এতে লাইভ সিস্টেম থেকেই মিদোরি (মজিলা) ব্রাউজারে ব্রাউজ করছি, আর আমার অন্য পার্টিশন থেকে একটা মিডিয়া ফাইল চালাচ্ছি। বলাই বাহুল্য যে ইন্টারনেট সেট করতে হয়নি, অটোমেটিক পেয়েছে (DHCP ল্যান অটো পাওয়াটাই স্বাভাবিক মনে হয়।)।


কায়রো ডক থীম। এটাতে আবার মেনু থেকে কংকি চালু করেছিলাম। আর সার্ভিসেস এন্ড ডিমোন নামে আরেকটা অ্যাপ চালিয়ে দেখছিলাম। এছাড়া ডেস্কটপে দুইটা গেজেট ছিল -- ও দুটাকে কোনায় ক্লিক করাতে ডকের ডানদিকে বসে গেল।

থীম পরিবর্তনও খুব সোজা; এজন্য
১। ডেস্কটপে রাইট ক্লিক করুন (মাউসের ডানদিকের বাটন), এতে আরেকটা মেনু খুলবে।
২। মেনু থেকে Themes --> Windows Theme অথবা অন্য যে কোনোটা সিলেক্ট করলেই থীম পরিবর্তন হয়ে যাবে।

এটার মধ্য আরও অনেক জরুরী এপ্লিকেশন দেয়া আছে।
- লিব্রে অফিস, গিম্প আর ইঙ্কস্কেপের কথা শুরুতেই বলেছি।
- ৮টি ছোট গেম দেয়া আছে।
- কায়রো ডকের আইকনগুলো খেয়াল করুন। জিনি এডিটর, ব্রাউজার আর স্কাইপের আইকনগুলো সহজেই চেনা যাচ্ছে।
- Htop সিস্টেম ইনফো, MC (মিডনাইট কমান্ডার) এগুলো ছাড়াও আরও অনেক টুল দেয়া আছে।

এটা স্ল্যাকওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরী। এটা চালাতে পেন্টিয়াম-২ বা ভাল প্রসেসর এবং ৫১২ মেগা মেমরি লাগবে। এটা সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ঢু মারতে পারেন।
http://cyti.latgola.lv/ruuni/
http://distrowatch.com/table.php?distribution=austrumi
http://en.wikipedia.org/wiki/AUSTRUMI_Linux

এটার লোগোটা সেইরকম: (উইকি থেকে লোগো দিলাম)

আই এস ও ডাউনলোড (২১০ মেগা): ftp://austrumi.ru.lv/austrumi-2.4.0.iso