রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল - আয়তাকার বাক্সের পাশে ছবি লাগিয়ে সেটার ইচ্ছামাফিক ছবি তৈরী (এনিমেটেড টিউটোরিয়াল)

একটা গোলক, সিলিন্ডার বা বাক্সের গায়ে ছবি বা লেখা দিলে সেটাকে সামনাসামনি সমতলে থাকা ছবির চেয়ে ভিন্ন দেখাবে এ তো জানা কথাই। তবে সেটা করার পদ্ধতিটাও যে বেশ সহজ তা পরের টিউটোরিয়ালটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। টিউটোরিয়ালটা একটা এনিমেটেড gif ফাইল। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ মিনিট। এতে ৭৭টা ফ্রেম আছে। যদি টিউটোরিয়ালের টাইমিং গ্যাঞ্জ্যাইম্যা মনে হয়, তাহলে এটা ডাউনলোড করে (সাইজ ১.১ মেবা) গিম্প দিয়ে খুলে তারপর মেনু থেকে Filters --> Animation --> Playback... এ গিয়ে একটা একটা করে ফ্রেম নিজ ইচ্ছামাফিক আগিয়ে দেখতে পাবেন।

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল: সহজেই স্পিনিং গ্লোব এনিমেশন বানানো

উপরের এনিমেটেড ইমেজের মত স্পিনিং টেক্সট বিনামূল্যের ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গিম্প দিয়ে খুব সহজেই করা যায়।

এই পোস্টে পর পর দুইটি টিউটোরিয়াল দেয়া আছে। প্রথম টিউটোরিয়ালে উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া একটা চারকোনা ছবি দিয়ে ঘূর্ণায়মান পৃথিবী বানানো হয়েছে। পরের টিউটোরিয়ালে কোন কিছু ছাড়াই একটা টেক্সট দিয়ে এই ইফেক্ট তৈরী করা হয়েছে। টিউটোরিয়ালগুলোও এনিমেটেড। টিউটোরিয়াল দিতে অনেকগুলো ছবি আপলোড এবং ম্যানেজ করতে হয় যা ঝামেলাজনক বলে সবগুলো স্ক্রিনশট এবং ব্যাখ্যা মিলিয়ে একটি এনিমেশন বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে স্ক্রল না করেই এটা দেখতে পারবেন, কিংবা একটা ফাইল ডাউনলোড করলেই পুরা টিউটোরিয়ালটা পেয়ে যাবেন; এছাড়া অপ্টিমাইজেশন ব্যবহারের ফলে মোট ফাইলসাইজও সম্ভবত কমে যায়। টিউটোরিয়াল দেখার সময়ে একবার যদি কোন লেখা মিস করেন, ধৈর্য ধরে পরেরবারের জন্য অপেক্ষা করুন, কারণ এনিমেশনটি চলতেই থাকবে। এছাড়া এনিমেশন এবং টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে নিজের পিসিতে গিম্প দিয়ে খুলে ২য় টিউটোরিয়ালের ভেতরে দেখানো টেকনিকের মত মত করে Playback দিয়ে আরাম করে ধীরে সুস্থেও দেখতে পারবেন।
প্রথম এনিমেশন:
এবার এটা তৈরী করার ধাপে ধাপে টিউটোরিয়াল:

এবার পরের এনিমেশন: শুধুমাত্র টেক্সট দিয়ে (খেয়াল করুন যে আগের এনিমেশনের পৃথিবী আর এই এনিমেশনের টেক্সট পরষ্পরের বিপরীত দিকে ঘুরছে)

এবার এটা বানানোর টিউটোরিয়াল: এই টিউটোরিয়ালে টেক্সট টুল ব্যবহার করে লেখার স্টেপটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই বাদ দেয়া হয়েছে। টেক্সট লেখার বিষয়টি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে আমার অন্য টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন।

সুতরাং এসব কাজ করতে ফটোশপ পাইরেসী করে বিবেকের কাছে নিজেকে ছোট করার দরকার নাই। উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্সের জন্য গিম্প ডাউনলোড করা যায়, এমনকি এটার পোর্টেবল ভার্সানও পাওয়া যায় --- সবই আইনসঙ্গত ভাবেই বিনামূল্যে। হ্যাপী গিম্পিং।

ধন্যবাদ।

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১২

ছবি পোস্ট: কাওরান বাজার আন্ডারপাস আর বাসা

আজ বউয়ের ক্যামেরা চুরি করেছিলাম। হুঁ ভাই, না বলে নেয়া হলে সেটা চুরিই। আফটার অল এই ক্যামেরা তিনি আমাকে দিতেই চান না। আজকে আমি যখন বের হই, উনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। সুড়ুৎ করে ড্রয়ার করে ক্যামেরা পকেটে নিয়ে ফুড়ুৎ করে বের হয়ে গেলাম। ফেরার সময় ভাবলাম আকামে কিছু ছবি তুলি ...

১। ঈদের বেশ কিছুদিন আগেই কাওরান বাজারের আন্ডারপাসটার সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। তা আজ কোনোরকমে একটা স্ন্যাপ নেয়ার চেষ্টা করলাম:
https://lh4.googleusercontent.com/-LHRx1vehBxk/UJFOINAE5HI/AAAAAAAABkY/WsCCsSuxV7c/s664/Karwan_Bazar_Underpass_renovated-01.JPG

২। এর দুইপাশের প্রবেশপথে অনেক প্লাস্টিক বা কাগজের প্রজাপতি লাগিয়েছে, যা হঠাৎ দেখলে দারুন লাগে
https://lh6.googleusercontent.com/-ZlmusHmfce0/UJFOJEDI10I/AAAAAAAABkc/V7zMFSq9hio/s664/Karwan_Bazar_Underpass_renovated-02.JPG

৩। সাথে সিসিটিভি ক্যামেরাও আছে। এগুলা দিয়ে কে কী দেখে? কোত্থেকে দেখে? কিংবা আদৌ দেখে কি না? সেটা অবশ্য জানা গেল না ...
https://lh5.googleusercontent.com/-ginOvaYu6Ws/UJFOKTnwXCI/AAAAAAAABkk/qzm0lYIbFDU/s664/Karwan_Bazar_Underpass_renovated-03.JPG

৪। ফাও শট
https://lh3.googleusercontent.com/-zU37alYoDc4/UJFOL3IbCZI/AAAAAAAABkw/ldI-KgPdLyY/s498/Karwan_Bazar_Underpass_renovated-04.JPG

৫। আন্ডারপাস থেকে বাসা ৪ মিনিটের হাঁটা পথ (ভাড়া থাকি)। তো গেটে গিয়ে ভাবলাম একটা ছবি নেই, গুগল ম্যাপে (প্যানারোমিয়া) দিব। প্যানারোমিয়াতে আশা করি সব ঠিকঠাকমত দিয়েছি, তাও এখনও এটা দেখতে পাইলাম না।https://lh6.googleusercontent.com/-U0O_K6X-ihg/UJESgtPm61I/AAAAAAAABjQ/MsvX7D64EVs/s664/Eastern_Panthagreen_73_GreenRoad_Dhaka.JPG

৬। বাসার বারান্দাগুলোয় আছে প্রিয় গাছগুলো। প্রতিদিন সকালে নিজে খাওয়ার আগে, এমনকি মাঝে মাঝে বাচ্চারে খাওয়ানোর আগে এদের পানি দেই। ছবিটা কয়েকদিন আগে নেয়া অবশ্য।

https://lh5.googleusercontent.com/-uxn0KYGPh34/UJFNzwQztII/AAAAAAAABkI/1VKfmUBMA7o/s498/Green-in-Balcony.JPG

৭। বাইরে থেকে বারান্দার গাছগুলো বেশ ভালই দেখায় - নিজেকে ধনী মনে হয় তখন ... ...
https://lh3.googleusercontent.com/-aP1GjYm7ewk/UJFN996gsBI/AAAAAAAABkQ/I7mjkXgR4JU/s664/Green_Patch_Balcony.gif

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল: মুখের ব্রন দুর করা

আগে স্যাম্পল দেখেন। পছন্দ হলে টিউটোরিয়াল দেখেন:

চেহারাতে মেকআপ না থাকলে অনেক সময়েই ছবি তুললে সেই ছবিতে মুখের অমসৃন ত্বক, ব্রন ইত্যাদি বিকটভাবে ফুটে ওঠে। এরকম ছবি প্রকাশ করতে লজ্জা লাগাই স্বাভাবিক। তাই একটা সহজ মেরামতির কেরামতিতে সেটা ঠিক করা যায় ঠিক উপরের ছবির মত। এটা বিনামূল্যের ওপেনসোর্স সফটওয়্যার GIMP দিয়ে করার কয়েকটা পদ্ধতি আছে। আমি একটা সহজ পদ্ধতি দেখাচ্ছি - blur ব্যবহার করে এর আগেও আরেকটা টিউটোরিয়াল দিয়েছিলাম, এটাতে পার্থক্য হল ঘোলা করা লেয়ারটা নিচে রাখতে হবে।

উপরের ছবিটা গুগলে acne face close up সার্চ দিয়ে খুঁজে পাওয়া।

ঠিক আছে, কথা কম বলি - টিউটোরিয়াল দেখেন:

এ থেকে শিখলাম যে ছবি দেখেই প্রেমে পড়া যাবে না। আর দেখা হওয়ার পর গরমে ঘুরতে হবে খুব, যেন মুখের মেকআপ গলে পড়ে যেতে পারে। :-D

আরেকটা ব্যাপার জানলাম: খুব প্রফেশনাল কাজ দরকার না হলে ছোট-খাটো মেরামতি করতে বিনামূল্যের মুক্ত সফটওয়্যার গিম্পই যথেষ্ট।

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল: ছবিতে লেখা যোগ করা

প্রিন্টের জন্য কিংবা অনলাইনে প্রকাশের জন্য, কিংবা ছবি দিয়ে কোলাজ বানাতে অনেক সময় ছবিতে লেখা, লোগো ইত্যাদি যোগ করার দরকার হয়। এই কাজটা ফ্রী ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গিম্প দিয়ে খুব সহজেই করা যায়। এটা একেবারে সহজ এবং বেসিক জিনিষ। কিন্তু শুরুতে কারো কারো এটার জন্যও সাহায্য দরকার হয়। কথা না বাড়িয়ে নিচের gif এনিমেশন আকারে টিউটোরিয়ালটা দেখি।

GIMP টিউটোরিয়াল - ছবিতে লেখা যোগ করা
যদি এনিমেশনটি বেশি ফাস্ট মনে হয় তাহলে ডাউনলোড করে গিম্প দিয়ে খুলুন। তারপর মেনু থেকে: Filters --> Animation --> Playback ...  দিয়ে নিজের আরামমত আগুপিছু করে করে দেখুন।

এই টিউটোরিয়ালটা একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাইকে সাহায্যার্থে বানানো হয়েছিলো। উনি বললেন যে সবই ঠিক আছে, কিন্তু ওনার গিম্পে ডানদিকের প্যানেলটা দেখা যাচ্ছিলো না। তাই অনুমানে আরও দুইটা সাহায্যকারী ছবি তৈরী করে দিলাম। দেখুন এটাও কার কাজে লাগতে পারে:
যদি কখনো ডানদিকের প্যানেলটা হারিয়ে যায় তাহলে করণীয়:
মেনু থেকে: Windows --> Recently Closed Docks --> Layers, Channels, Paths, Undo - Brus...

আর, ডানদিকের প্যানেলটায় কিন্তু অনেকগুলো ট্যাব আছে। সুতরাং আমার টিউটোরিয়ালের মত না দেখিয়ে অন্যরকম দেখালে ঘাবড়ানোর কিছু নাই, -- নিচেরটা এনিমেশনটা দেখেন:
 হ্যাপী গিম্পিং।

পূর্বপ্রকাশ: প্রজন্ম ফোরাম

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

উবুন্টু ১২.১০ রিলিজ পার্টি যাত্রার হররভিজ্ঞতা

১।
উবুন্টুর নতুন ভার্সন রিলিজ উপলক্ষে রিলিজ পার্টি হবে - কখন হবে, কোথায় হবে, কিভাবে হবে এগুলো নিয়ে যথেষ্ট মেইলে ইনবক্স সবসময়ই সরগরম। আশিকুর নূর নামে একজন ছোট পাগল (মানুষের উপকার করে বেড়ানোর পাগলামী) এটা আয়োজন করার জন্য সমস্ত ছোটাছুটি করছে, আর তাকে গাইড করছে বড় পাগল রিং। কিন্তু নিজে অন্যরকম দৌড়ানির উপরে থাকার কারণে এমনকি মেইলগুলোও নিয়মিত পড়া হয়ে উঠছিলো না। দেখা গেল যখন মেইল পড়ছি তখন অনেকগুলো কাজ ইতিমধ্যেই করা হয়ে গেছে, যার জন্য আমাকে জিজ্ঞেসও করা হয়েছিলো। মেইলে আমার এরকম পশ্চাৎপদতা দেখে নিয়মিত শরম পাচ্ছি। তবে, ১৯ তারিখ শুক্রবার ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ৪-৭টা প্রোগ্রাম - সেটা ভুলিনি। এই প্রোগ্রাম আয়োজন নিয়ে যতটা চড়াই-উৎড়াই পেরোতে হয়েছে -- তার কিছু অংশ মেইল থ্রেডটাতে এসেছিলো - ওটা নিয়েই একটা বড় প্রবন্ধ রচনা করা যায়।

১৯ তারিখ দুপুর ২টা থেকে মানসিক প্রস্তুতি চলছে, এখন রেডি হতে হবে। এর মধ্যে মেয়ে এসে আমাকে সাথে নিয়ে টিভিতে কার্টুন দেখতে বসলো - উঠতে দেয় না। ৩টা সময় মনে হল, নাহ্ - এভাবে চলতে পারে না, রেডি হই।  ল্যাপটপটা গুটিয়ে ব্যাগে ঢুকালাম - অনুষ্ঠানে দরকার হতে পারে। কিন্তু রেডি হওয়ার সবচেয়ে জরুরী অংশ হল ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে রওনা দেয়া যেন স্পটে গিয়ে হয়রানী না হতে হয়। নুর বা মেহেদী ভাইকে ফোন করলেই সহজে ল্যাটা চুকে যায়, কিন্তু অভ্যাসবশত ডেস্কটপ খুলে গুগল ম্যাপ দেখতে চাইলাম। ইদানিং কিউবির জঘন্য নেটস্পিডের (বাইরের কোনো কারণে সমস্যা হতে পারে এমন হলে এরা মেসেজ দিয়ে সমস্যা জানায় - এইটার ব্যাপারে সেরকম কিছু জানায়নি) কারণে ৫ মিনিটেও ম্যাপের কিচ্ছু লোড হয় না, তাই ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি সার্চ দিয়ে সেটার লিংক পেলাম। লিংকে গিয়ে অনেকগুলো ঠিকানা থেকে দুইটা ক্যাম্পাসের ঠিকানা ১০২ শুক্রাবাদ দেখে মনে হল এটাই ঠিকানা - শুক্রাবাদ গেলেই খুঁজে নেয়া যাবে। স্বাভাবিক অবস্থায় ১ মিনিটের কাজ করতে ২০ মিনিট খরচ করেও লাভ হল না -- শালার ইন্টারনেট সার্ভিস! ফোন দিয়ে ঠিকানা জানলেই মনে হয় এ্যাত সময় নষ্ট করতে হত না। যাক এবার বের হই ... ...

কিসের কী - মেয়ের দাবী দাওয়া শেষ হয় নাই। এর আগে বের হতে পারলে তো! মেয়ে বলছে মাথা চুলকাচ্ছে - এ্যাত যত্নের পরও মাথা চুলকায় কেন -- সুক্ষ্ণ চিরুনী অভিযান চালিয়ে মাথা থেকে অনেকগুলো বদমাশকে বের করে পটাপট মারা হল। এমতাবস্থায় ওর মাকে সমস্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করে রওনা দিলাম। ততক্ষণে ৪টা পার হয়ে গিয়েছে ... ...

২।
বাসার বাইরে বের হয়েই খালি রিকশা দেখে বললাম - শুক্রাবাদ চলো। আমার বাসা গ্রীনরোডে বসুন্ধরা সিটির পেছনের এলাকায় - তাই রিকশা দিয়ে যাওয়া যায়। রাজাবাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি শুক্রাবাদের কাছে রাস্তার (গলির) মাঝে কেটে সম্ভবত সুয়ারেজ লাইন বসিয়েছে - এর জন্য উঁচু উঁচু ম্যানহোলের মাথা রাস্তা থেকে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি বের হয়ে আছে, তার উপর পাইপ বসানোর জন্য কাটা জায়গায় শুধুমাত্র খোয়া ফেলা হয়েছে - রিক্সা চলতে খুবই অসুবিধা! সম্ভবত ২০ মিনিটে অক্ষত অবস্থায় শুক্রাবাদ পৌঁছালাম। ঠিকানাতো জানিনা -- এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবলাম ফোন করেই ফেলি! এমন সময় পাশেই হোটেল নিদমহলের ভবনে দেখি ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি -- আহ্ পাইছি।

ধুর! এটা তো দেখি তালাবদ্ধ, রাস্তা থেকেই দেখা যাচ্ছে। ফোনটা তাহলে করতেই হয়। ফোনে মেহেদী ভাইকে পেলাম -- প্রথমেই গতকাল উনার মিসড কলে রিং ব্যাক না করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলাম; উনি অনুষ্ঠানস্থলেই আছেন। এটা প্রিন্স প্লাজায়, আন্ডারগ্রাউন্ডে ... ... । আচ্ছা --- --- --- এই সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারী আমার ফোনালাপের অংশবিশেষ শুনে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই বলে বসলো -- প্রিন্স প্লাজা ঐদিকে। অর্থাৎ সরকারী কলোনী, ডেন্টালের ছাত্রাবাস ও সোবহানবাগের মেইন রাস্তার উপর অসভ্যভাবে বের হয়ে থাকা মসজিদটা পার হয়ে, পেট্রলপাম্পের পর। আমি ধন্যবাদ, থ্যাঙ্কইউ বললাম। একবারে দুইজনকেই - উপকারী পথচারী এবং ফোনের লাইনে থাকা মেহেদী ভাই দুজনকেই। ফোন কেটে হাটা দিলাম। ল্যাপটপের ওজন কম না -- এর আগে এটা নিয়ে হাঁটাহাটি করার সময় একদিন সুন্দর ভদ্রলোকের মত ঘাড় থেকে ব্যাগের বেল্ট ছিড়ে মাটিতে ডাইভ দিয়েছিলো, তাই এখন কাঁধে ঝুলানোর কোনো অপশন নাই। ব্রিফকেসের মত হাতে নিয়ে ঘুরতে হয়।

প্রিন্স প্লাজায় আন্ডারগ্রাউন্ডে --- এই রকম কী জানি বলেছিলো। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি ডেফোডিল আছে। নিচে মার্কেট। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং থেকে ড়্যাম্প দিয়ে গাড়ি বের হয়ে আসছে। ওহ্ ... ... এই ড়্যাম্প দিয়ে নিচে গিয়ে লিফট ধরতে হবে। ব্যাপারটা অপরিচিত না, কারণ ধানমন্ডির ১৫র আনাম ড়্যাংগস প্লাজার বুমারসে যাওয়ার সময়ও এই তরিকা; সিলেটে আলহামরাতে মেট্রোপলিটন ইউনিতে যাওয়ারও একই তরিকা। তা এই পাথরের মত ভারী ল্যাপটপ হাতে (কাঁধে না) এতদুর হেঁটে এসে ড়্যাম্প দিয়ে নিচে নামতে ইচ্ছা করছে না। পাশেই চকচকে মার্কেটের প্রবেশপথ দেখে ওটা দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম -- নিশ্চয়ই এখান থেকেও সিড়ি বা লিফট পাওয়া যাবে ... ...

৩।
খুব স্মার্ট ভঙ্গিতে শপিং সেন্টারে ঢুকেই ডানে বামে তাকিয়ে কোনো সিড়ি বা লিফট দেখলাম না। আচ্ছা ..... ... তাহলে একটু ভেতরের দিকে যাই, ওদিকে নিশ্চয়ই আছে, যা দিয়ে অন্তত বেসমেন্টে নামা যাবে। নাহ এদিকেও দেখা যাচ্ছে না। ধ্যাত ড়্যাম্প দিয়েই গরম বেসমেন্টে নামতে হবে নাকি!! এই ভেবে বের হওয়ার সময় হঠাৎ দেখি প্রবেশদ্বারের ঠিক পাশেই লিফট। ঢোকার সময় সেটা ডানদিকে ৯০ ডিগ্রীর বেশি কোনে পেছনের দিকে পড়েছিলো তাই দেখিনি। ইউরেকা ... ... লিফটটা B বা বেসমেন্টে আছে। কল দিতেই G বা গ্রাউন্ড ফ্লোরে মানে আমি যেখানে - সেখানে চলে আসলো।

প্রথমেই যেই ধাক্কাটা খেলাম সেটা হল লিফট খালি। লোকজন থাকলে ড্যাফোডিল কোন ফ্লোরে জিজ্ঞেস করে নেমে যাওয়া যেত। তো-ও-ও, শপিং সেন্টারতো মনে হয় ৪ তলা, ৭ এ চাপ দেই, যদি ঐ ফ্লোরে না হয়, তাহলে নেমে আসবো। ওরে বাবা এটাতো ক্যাপসুল লিফট দেখি। উপরে উঠলে বাইরের দিকে তাকিয়ে একটু কেমন যেন লাগে। ৭ এ পৌঁছে লিফট খুলেই দেখি এ-মা লিফটের ঠিক বাইরে একটা শাটার দরজা সেটা বন্ধ। লিফট থেকে বের হওয়ারই জায়গা নাই - দেখেই কেমন দমবন্ধ একটা অনুভুতি হয়। ওকে ... মিস কল হয়ে গেছে, এটা মনে হয় কোনো অফিস তাই শুক্রবার বন্ধ। ঠিক আছে ৫ এ যাই।

ওরে আব্বা রে! এটাও তো একই স্টাইলে বন্ধ। এবার গন্তব্য ৪। এটাও বন্ধ। ধ্যাত্তরি, দেখি ৮ এ গিয়ে - যদিও অত উঁচুতে বাইরের দিকে তাকাতে একটু অস্বস্তি হচ্ছে। মোবাইলের মেসেজে মেহেদী ভাইকে লিখলাম 'which floor?' ৮ এ গিয়ে দেখি সেটা একটা রেস্টুরেন্ট .... .... ওরে ...  এ দেখি মিস না একেবারে রং কল। তাড়াতাড়ি বাকী থাকা ৬ এ চাপ দিলাম। এখানেও শাটার বন্ধ। মনে হচ্ছে একটা হরর মুভির ভেতরে ঢুকে পড়েছি (ইনসেপশন?)।

নাহ্ এ চলতে পারে না।  angry অসহ্য ... ... ... এবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাই - ঐটা দিয়ে লিফটে চড়েছিলাম তাই ওটা খোলা আছে এটা তো নিশ্চিত। নিশ্চয়ই আমি ভুল লিফটে চড়েছি, ড্যাফোডিলে যাওয়ার অন্য কোন ডেডিকেটেড লিফট আছে মনে হয়।

৪।
এইবার সুবোধ বালকের মত ড়্যাম্প দিয়ে নেমে বেসমেন্টে গেলাম। ভবনের বেসমেন্টের কার পার্কং এর পেছনের দিকে ড্যাফোডিল লেখা একটা কাঁচঘেরা ঘর -- ভেতরে লাইট জ্বলছে কিন্তু কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না। এর আশে পাশেও কোন লিফট নাই। আরে! - বেসমেন্টের অন্যপাশে দেখি আরেকটা ড়্যাম্প। আরে আরে .... ....  ওর পাশে আরেকটা লিফট দেখা যাচ্ছে, যার দরজায় ড্যাফোডিল লেখা। সামনে গার্ড বসে আছে, এছাড়া লিফটে ওঠার জন্য ছাত্রদের মত বয়সি কয়েকজন পোলাপানও দাঁড়িয়ে আছে দেখলাম। আহ্ আমি ইহাকে পাইলাম ... ... হরর মুভি শেষ হল মনে হয় ... ...

লাইনে দাঁড়ানোর পর গার্ড জিজ্ঞেস করে ইউনিভার্সিটি যাবেন। আমি বলি হ্যাঁ -- এতে উনিও হ্যাঁ সূচক ভঙ্গি করলেন। হয় আমার ইতিউতি ঘোরাঘুরি কিংবা বেকুব চেহারা দেখে সন্দেহ হয়েছিলো। লিফট নামতেই ওখান থেকে এক দঙ্গল ছাত্র বের হয়ে আসলো আর আরেক দঙ্গলের সাথি হয়ে আমি উঠে পড়লাম। এবার নিশ্চিন্তে নামা যাবে। কিন্তু কেউ ৪ এ আর কেউ ৬ এ যেতে চায় -- মানে ২-৩ ফ্লোরের থেকে খুঁজে নিতে হবে! মাথা ঠিকমত কাজ করছে না, তাই ৬ এ নামলাম। নেমে পরিচিত ভঙ্গিতে মিস্টার বিনের মত এদিক যাই, সেদিক যাই সবদিকেই ক্লাসরুম, কোন পরিচিত মানুষ নাই। মনে হল এই ফ্লোরে না। লিফটের দরজার বাইরে কাগজে লেখা আছে ৪র্থ ফ্লোরে মসজিদ কিন্তু অডিটোরিয়াম কোথায় লেখা নাই। একদিকে দেখি সিড়ি দেখা যাচ্ছে, পাশে আরেকটা লিফটও আছে। এবার সিড়ি দিয়ে নিচে নামবো ভেবে এগিয়ে গেলাম। এক ফ্লাইট নেমে ৫ম ফ্লোরে দেখি সব তালাবদ্ধ, তবে সিড়ি দিয়ে আরও নামা যাবে। যাব কি যাবোনা ভাবছি। উপর থেকে কেউ একজন কি সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকালো? thinking

মেহেদী ভাই মেসেজের উত্তর দেয়নি। ওনাকে ফোনে কল দিতে দিতে ভাবলাম ৪র্থ ফ্লোরে দেখি। কিন্তু উনি কল ধরছেন না। নামতে নামতেই মেহেদী ভাই কল ব্যাক করলেন। বললেন ৪-এ; এর মধ্যে আমিও ঐ ফ্লোরে পৌঁছে গেলাম, একটু এগিয়ে দেখি মেহেদী ভাই অডিটোরিয়ামের বাইরে এসে আমাকে রিং দিচ্ছিলেন। ওনাকে দেখে কিযে শান্তি লাগলো -- অবশেষে হরর যাত্রা পর্ব শেষ করতে পেরেছি। ভেতরে বেশ জমজমাট অনুষ্ঠান চলছে বলে মনে হল বাইরে থেকেই। তখনও জানতাম না যে ভেতরে আরো চমক অপেক্ষা করছে ... ...

(শেষ)
পূর্বপ্রকাশ: প্রজন্ম ফোরাম

সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ভিডিও পোস্ট: নীলিয়া - এই হাসি এই কান্না


এর আগে কখনো ভিডিও এডিট করিনি। হঠাৎ করে কেন জানি ভিডিও এডিট করার শখ জাগলো। এই শখ পূরণের ব্যাপারটা বেশ রোমাঞ্চকর।

ফ্রীতে ভাল এবং পেশাদার ভিডিও এডিটর নাই শুনেছিলাম। কিন্তু কাজ চালানোর মত ওপেন সোর্স এবং ফ্রী এডিটর আছে কয়েকটা -- এগুলো দিয়ে ভালমানের কাজও করা সম্ভব বলে কেউ কেউ অভিমত দিয়েছে। যা হোক, একটু গুতাগুতি করে LIVES দিয়ে প্রথমবার এডিট করে রেন্ডার করলাম। ওপেন ফরমেটে সেভ করার পর ঠিকঠাক দেখালেও winff দিয়ে flvতে পরিবর্তনের পর সাউন্ড আর ছবি কেন জানি আগুপিছু হয়ে গেল। এরপর নামালাম Pitivi ... এটা আসলেই খুব সোজা। স্যাম্পল হিসেবে ২৩ সেকেন্ডের একটা ভিডিও নিলাম, যেটার আকার ছিল প্রায় ২৮ মেবা। যা হোক, এডিট সহ ছোট আকারে flvতে রেন্ডার করার পর আকার হল ২.২ মেবা।

ভিডিওটির শুরু আর শেষে দুটো স্লাইড যোগ করা হয়েছে। সেই স্লাইডগুলো Inkscape দিয়ে বানিয়ে নিয়েছিলাম। আর সরাসরিই পিটিভি থেকে flvতে রেন্ডার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল - Blur (বিস্তারিত)

বোকে ফটোগ্রাফিতে পেছনের বস্তু ঘোলা আসে লেন্সের কারিগরিতে। এখানে অবশ্য এডিট করে ঘোলা করা হয়েছে, যা কোন ছবিতে বিশেষ কিছু অংশকে হাইলাইট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অনেকগুলো ছবি দিলে স্ক্রল করতে বিরক্ত লাগে তাই এনিমেশন আকারে দিলাম। যদি টাইমিং বেশি দ্রুত মনে হয়, তাহলে এটাকে নিজের কম্পিউটারে সেভ করে গিম্প দিয়ে খুলে প্রতিটা ফ্রেম ইচ্ছামত দেখতে পারবেন। আশা করি এটা একেবারে নতুনদেরকেও বৈধভাবেই বিনামূল্যের ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গিম্প ব্যবহারে সাহসী করে তুলতে কিঞ্চিত উৎসাহী করতে পারবে।

প্রথমেই গিম্পে উদ্দিষ্ট ছবি খুলতে হবে। সেটা গিম্প খুলে ফাইল মেনু থেকেও করা যায় আবার সরাসরি ছবিতে মাউসের ডান ক্লিকে Open with অপশন ব্যবহার করেও করা যায়। নিচের দেখানো কাজটি অন্যভাবেও করা যায়, তবে এই পদ্ধতিটি আমার কাছে সহজ মনে হয়।

সরাসরি ছবিতে কোনো অংশ নির্বাচিত করে সেটাকে সরাসরি blur করে দেয়া যায়, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডের মত অনিয়মিত আকারকে সরাসরি ঠিকভাবে সিলেক্ট করাটা আমার কাছে বিরাট অসুবিধাজনক মনে হয়।

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল - Blur

কথা কম কাজ বেশি। দেয়াল পরিষ্কার করতেও নির্দিষ্ট অংশ নির্বাচন করে Filters --> Blur --> Gaussian Blur ব্যবহৃত হয়েছে। আরও ভালো আইডিয়া পেতে এই এনিমেশনটি (gif ইমেজটি) ডাউনলোড করে গিম্প দিয়ে খুলে দেখুন। আসলে মূল ছবিটা ফ্রেম-১এ আর ফ্রেম-১৫ এবং ১৬ মিলিয়ে উদ্দিষ্ট ছবিটা পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সিনেমা দেখে হাসতে বেশি ভালো লাগে

মনে পড়ে পরীক্ষার সময় টেনশন কমাতে মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধব মিলে বিডিআরে চলে যেতাম। ১০-১২ জন এক লাইনে বসে ৬ টাকার টিকেটের সিনেমা দেখছি। সিরিয়াস সিনেমায় নায়িকা নাচছে, পেছনে এক দঙ্গল সখি। একজন বললো দ্যাখ্ দ্যাখ্ সৌরভের বান্ধবী - কারণ সৌরভের টি-শার্টও হলুদ, আর নায়িকার নৃত্যরত সখিদের পোশাকও হলুদ -- খবরটা একজন থেকে আরেক জন হয়ে রিলে হতে হতে গ্রুপের সকলের কাছে গেল ---- সৌরভসহ সকলেই উচ্চস্বরে হাসাহাসি ..... পেছনে সিরিয়াস দর্শকদের রক্তচক্ষু। কিংবা চাকুরী বঞ্চিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ডায়লগ - "কী লাভ হল এ্যাত ভাল পরীক্ষা দিয়ে ৭টা লেটার নিয়ে এইচএসসি পাশ করে ........... " - আরেক দফা হাসির ঝড়, পেছনের সিরিয়াস দর্শকগণ মহা বিরক্ত। কারণ তাঁরা জোকটি ধরতে পারেননি (--- মনে হয় কখনই পারবেন না। ক্লু: এইচ এস সিতে সব মিলিয়ে ৬ সাবজেক্ট, অথচ নায়ক ৭ লেটার পায়)। কিংবা ধরুন, গ্রামের ষোড়শী (ধুমসী) নায়িকা গাছের ডাল না ভেঙ্গে, সেখানে বসে সদ্য আগত নায়কের মাথায় ছোট্ট ইট মারে --- গ্রামের ষোড়শী হলে কি হবে মুখে পুরু মেক-আপ, শ্যাম্পু-আয়রন করা খোলা চুল আর পুরু লিপস্টিক দেখে হাসাহাসি হবে নাই বা কেন? বাংলা ছবির নাচ মানে তো ওয়ান টু ওয়ান টু করে জগিং স্টাইলে নড়াচড়া, উঠাবসা - দেখলে হাসি ছাড়া গালিও আসে না। বন্ধু বান্ধব ছাড়া বাংলা ছবির পুরা মজা নেয়া যায় না --- বন্ধু বান্ধব নাই তো বাংলা সিনেমা দেখাও নাই।

ছোট বেলায় বিটিভিতে ছুটির দিন দুপুরে বাংলা ছবি দেখাতো। ওহ্ সেই একই প্যান প্যান, ঘ্যান ঘ্যান, দূঃখ কষ্টের কাসুন্দি। এক ভুল মানুষ বার বার করে না, তাই ঐ সিনেমাগুলো তেমন দেখা হত না। কিন্তু কার্টুন মিস করতে চাইতাম না। ব্যক্তিগতভাবে সিনেমা হল আমার কাছে বিনোদনের মাধ্যম। হয় এটা আমাকে একটা কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে নাহলে হাসাবে ---- কান্নাকাটি মার্কা সিনেমা আমার দুই চোখের বিষ। সময়, অর্থ খরচ করে সিনেমা হলে কিংবা টিভিতে কান্নাকাটি মার্কা সিনেমা দেখার কোন মানে হয় না - কারণ কান্নাকাটি করার জন্য আমার এবং আমাদের জীবনে দূঃখ কষ্টের তেমন একটা ঘাটতি নাই।

এজন্য সায়েন্স ফিকশন আর কমেডি (humor) আমার প্রিয় সিনেমার ধরণ। প্রিয় নায়ক জ্যাকি চ্যান - এ্যাকশন আর মুখভঙ্গি দেখে হাসি আসবেই, কোনো টেনশন নাই -- কারণ আল্টিমেটলি নায়ক জিতবে, কেউ মারা যাবে না; আর হিন্দি হলে গোবিন্দ -- নো টেনশন মার্কা সিনেমা, ডায়লগ শুনে খালি হাসতে হবে। এছাড়া সায়েন্স কিংবা ফিকশন: Star Trek, Star Wars, Day after tomorrow, 2012, The Da Vinci Code, The Lord of the Rings ইত্যাদি টাইপের কিংবা অ্যানিমেটেড কার্টুন - Kungfu Panda, Ice Age, Avatar the last air bender ইত্যাদি দেখতে ভাল লাগে।

নো টেনশন মার্কা সিনেমাও খারাপ লাগে না। যেমন: The Five Man Army, The lost platoon (অনেকটা ভুতের), Roman Holiday, Chocolat (চকলেট নয় বরং এটাকে উচ্চারণ করেছিলো "শোকোলা"), You've got mail ইত্যাদি। আর জ্যাকি চ্যান বাদে কমেডির মধ্যে অ্যাডাম স্যান্ডলারের মুভি পাইলেই দেখি। বেন স্টিলারের মুভিগুলোও খারাপ লাগে না। এছাড়া কমেডির মধ্যে The Gods must be crazy (সিকুয়েল ২ টাও ভাল লেগেছে, ৩ নং টা ভাল লাগেনি), Three Stooges, Mr. Bean ইত্যাদি ভাল লাগে। হ্যারি পটার এবং জেমস বন্ডের সিনেমায় টেনশন, খুনাখুনি বেশি - তারপরেও একবার দেখি।

আমার সম্বন্ধী কিংবা বউ সকলেই সিরিয়াস টাইপের সিনেমা দেখে। যেমন: Enemy at the gates, The Shawshank Redemption, Forrest Gump ইত্যাদি (এওয়ার্ড পাওয়া ছবি লিস্ট ধরে সংগ্রহ করে।)। ওদের পাল্লায় পরে আমাকে মাঝে মাঝে এগুলোও দেখতে হয়। সিঙ্গাপুর সফরের সময়ে যেই মুভিগুলো কিনলাম সেগুলোতে Who am I, The Gods must be crazy'র পাশাপাশি সেই Sunflower, Roman Holiday, দহন, মাসুম - টাইপের সিনেমায় ভর্তি যা আমি কখনই দুইবার দেখতে আগ্রহী না।

বাসায় দেখা যায়, চ্যানেল ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত কার্টুন চ্যানেল (কার্টুন চ্যানেল, ডিজনি চ্যানেল, পোগো, নিকলোডিয়ান ইত্যাদি) দেখছি। অনেকবার এমন ঘটেছে যে মেয়েকে (২+ বয়স) সঙ্গ দেয়ার জন্য ওর সাথে কার্টুন দেখতে বসেছি ................. তারপর মেয়ে কখন অন্য ঘরে চলে গিয়ে নিজের মত খেলছে সেটা জানিনা - ধেড়ে শিশু (আমি) কার্টুন চ্যানেলের সামনে ঘন্টা পার করে দিয়েছি।

ঢাকায় বেড়াতে আসা ছোট্ট চাচাতো ভাইয়ের আব্দার রাখতে তাঁকে খোঁজ দ্যা সার্চ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম সিনেপ্লেক্সে। মনে পড়ে, অন্য হলগুলোতে ভালো ভালো ইংলিশ ও বাংলা মুভিও ছিল, কিন্তু ভাইয়ের ডিমান্ড অনুযায়ী তাঁর সাথে খোঁজের হলেই যেতে হয়েছিলো। হলে সিনেমা চলাকালীন সময়ে চেষ্টা করেও চোখ বন্ধ করে রেস্ট নিতে পারিনি। কারণ নায়ক যখনই কোনো ডায়লগ দিচ্ছে হল ভর্তি (হাউজফুল ছিলো) দর্শক উচ্চস্বরে হেসে উঠছে। আমিও হাসছি, কারণ চোখ বন্ধ হলে কি হবে কান তো খোলাই ছিল। এরপর চোখ খুলতে বাধ্য হয়েছিলাম - ঐ এপিক সিনেমা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে মন চায়নি। এ্যাতদিন পর বন্ধু বান্ধব ছাড়াই হল ভর্তি দর্শক উচ্চস্বরে হাসতে দেখে - বাংলা ছবি দেখার আনন্দটা আবার ফিরে এল। ধন্যবাদ হে অনন্ত জলিল, তোমার কল্যানে হল ভর্তি বন্ধু পাওয়া গেল।

প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের নাটকগুলোর মধ্যে হাস্যরস ছিল একটা অন্যতম আকর্ষণ - অবশ্য সেটার উপস্থাপনা হত অন্য রকম উপায়ে। আমি চাই অনন্ত জলিল সাহেব এভাবেই সিনেমা করুক - বাচনভঙ্গি অপরিবর্তিত রাখুক। চরম অ্যাকশন, ইফেক্টসের মাঝে কমেডি একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরী করে। উনার মুখ খুললেই কমেডি, নড়াচড়াতেই কমেডি .... আমার মত অনেকেই শুধুমাত্র এই বিনোদন টুকুর জন্যই জলিল সাহেবে ছবি দেখতে হলে যাব।

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২

আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ - ২ _ সাথে এনিমেটেড আংশিক নমুনা সমাধান

আগের টপিক: মজার পাজল গেম - আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ + একটি সচিত্র নমুনা সমাধান
আগেরবার কয়েকজন বুঝতে পারেননি। তাই এবার একটা সমাধান দিলাম এনিমেটেড করে। আশা করি এটা আগ্রহদ্দীপক হবে।

এখনে ৩০ ও ৪৫ সেকেন্ডের দুইটি এনিমেশন আছে।

নতুন একটি গেম: স্টেপ-১
https://lh5.googleusercontent.com/-H9XV1_lInIg/UDZc1Z4RrYI/AAAAAAAABcM/cfiUzHpNeSg/s800/Einstein_Solve_01.gif
স্টেপ-২
https://lh4.googleusercontent.com/-IBm7bg3wFBc/UDZc6OIBrGI/AAAAAAAABcU/dkEJj0gLuJ0/s800/Einstein_Solve_02.gif
গেমটা সেভ করে রেখেছি। যদি কেউ এর পরের অংশগুলো চান তবে সেগুলো কথা কম কাজ বেশি আকারে এনিমেশন বানিয়ে দেব (হয়তো )।

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১২

আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ - মজার পাজল গেম ও একটি সচিত্র সমাধান

আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ (Einstein’s Puzzle) নামে কিছু ধাঁধাঁ দিয়ে লোকজন দাবী করে এটা নাকি মাত্র ২% লোক সমাধান করতে পারে। ঠিক ভাবে ধরলে এই ধরণের ধাঁধাঁ সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ঠিক ভাবে গুছিয়ে সমস্যাটাকে ছাই দিয়ে ধরাটাই আসল সমস্যা; -- সেই একই রকম ধাঁধাঁ নিয়েই মগজ শান দেয়ার একটা টাইম পাসিং গেম Einstein Puzzle। আমার কম্পিউটারে নতুন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টলের পর এই গেমটাই সবার আগে ইনস্টল করি। এটাতে পদ্ধতিগতভাবে এই লজিক পাজল সমাধান করা যায়। এই গেম খেলার পর তথাকথিত আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ সলভ করা ডালভাত হয়ে গেছে।

ডাউনলোড


এই গেমটা ডাউনলোড করতে পারেন এই হোমপেজ থেকে (http://games.flowix.com/en/index.html)।উইন্ডোজে এর ইনস্টলার ১.৪ মেগাবাইট; উবুন্টু বা লিনাক্সমিন্টে সফটওয়্যার সেন্টারেই এই গেম পাওয়া যাবে; গেমটির ম্যাক ভার্সনও আছে (২.৫মেবা)।

নিয়মকানুন:


এই গেমের উদ্দেশ্য ৬x৬ মেট্রিক্সের সবগুলো ঘরকে সমাধান করা। প্রতিটি সারিতে ভিন্ন ধরণের কার্ড থাকে। যেমন প্রথম সারিতে সবগুলো সাধারন সংখ্যা, দ্বিতীয় সারিতে ইংরেজি অক্ষর, তৃতীয় - রোমান সংখ্যা, চতূর্থ - ডাইস (লুডুর ছক্কা), পঞ্চম - জ্যামিতিক আকার এবং ষষ্ঠ - গাণিতিক চিহ্ন। প্রদত্ত শর্ত এবং যুক্তি ব্যবহার করে বাদ দেয়া পদ্ধতিতে এটা সমাধান করা যেতে পারে। একটি কার্ড অজানা হলে সেই ঘরে সম্ভাব্য সব উত্তরগুলো থাকবে।
এই রকম ঘরের অর্থ হল এই ঘরে III বাদে যে কোন রোমান সংখ্যা হতে পারে। একটি ঘরের সংখ্যা জানা থাকলে সেই সংখ্যা বা আকারের ছবির উপর মাউস ক্লিক (সাধারণ লেফট মাউস বাটন) করতে হবে। যদি সেই সম্ভাবনা থেকে কোন উপাদানকে বাদ দিতে হয়, তাহলে সেইটার ছবির উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করতে হবে।
সমাধানের জন্য স্ক্রিনের নিচে এবং ডান দিকে বিভিন্ন শর্ত বা সূত্র (clue) দেয়া থাকে। যেমন নিচের চিত্রটিতে একই কলামে অবস্থান করে এমন দুটি বস্তু (B এবং +) দেখানো হয়েছে। একই সারিতে থাকার শর্তগুলো স্ক্রিনের ডানদিকে থাকে।
একই সারিতে থাকা শর্তগুলো মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। প্রথম প্রকারে দুইটি ঘরের মাঝে একটি লাল দ্বিমূখী তীর চিহ্ন দিয়ে বুঝাচ্ছে যে, এই দুইটি কার্ড/বস্তু পাশাপাশি কলামে আছে, তবে কে ডানপাশে আর কে বামপাশে সেটা জানা নাই। অর্থাৎ চিত্রের ছক্কা = চিহ্নের বাম অথবা ডান দিকে আছে
দ্বিতীয় প্রকারের শর্তে একটা বস্তু অন্যটির বামে আছে বুঝাতে দুটির মাঝে ডট ডট চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। তবে কত ঘর ডানে বা বামে সেটা নিশ্চিত নয়। নিচের চিত্রের শর্তানুযায়ী 'তিন ফোটা' II এর বামে, তবে ঠিক পাশের ঘরে নাকি দুই ঘর দুরে সেটা জানা নাই।
শেষ প্রকারের শর্তে তিনটি বস্তু পাশাপাশি কলামে আছে বুঝাচ্ছে, তিনটির ছবি আর উপরে একটি নীল রঙের উভমূখী তীর চিহ্ন দিয়ে। এখানে মাঝের বস্তুটির দুই পাশে অন্য দুটি আছে, তবে কোনটি ডানপাশে আর কোনটি বামপাশে সেটি নিশ্চিত নয়। চিত্রে = চিহ্ন চতূর্ভূজের ঠিক ডানে কিংবা ঠিক বামে হতে পারে।
যদি একটি শর্ত আর দরকার না হয় তাহলে সেই শর্তের উপর ডান মাউস বাটন ক্লিক করে সেটাকে গায়েব করে দেয়া যায়। গায়েব শর্তগুলো দেখতে চাইলে switch বোতাম ব্যবহার করতে হবে। (সেখানে আবার ডান ক্লিক করে মূল শর্তের মধ্যে নিয়ে আসা যায়, আবার switch চাপতে হবে)।
একই গেম রিস্টার্ট করলে দ্রুত সময়ের হল অফ ফেম-এ সেটার রেকর্ড জমা হবে না।

একটি নমুনা গেমের ধাপে ধাপে সচিত্র সমাধান


এই হল গেম। নতুন গেম চালু করলে এই ধরণের যে কোন একটা সমস্যা আসতে পারে। এই সমস্যাটাতে শুধুমাত্র একটা চিহ্ন ইতিমধ্যেই সমাধান করা অবস্থায় দেয়া আছে (x চিহ্ন)। কিন্তু সেটার সাপেক্ষে অন্য কোন শর্ত দেয়া নাই।

এবার ধাপে ধাপে সমাধান দেখি। কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো আরো দ্রুত কিংবা একটার আগেই অন্যটা সমাধান করা যেত। এখানে বোঝার সুবিধার্থে অনেক ধীর গতিতে কাজটা করা হয়েছে। শর্তগুলো লিখতে রঙের ব্যবহার উদ্দেশ্যমূলক। ছবিগুলোতে লেখাগুলো এবং সেটার জন্য বরাদ্দ রঙ দিয়ে নির্দেশিত শর্ত এবং সমাধানের ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে লেখা হয়েছে।
১.

২.

৩.

৪.

৫.

৬.

৭.

৮.

৯.

১০.

১১.

১২.

১৩.

১৪.

১৫.

১৬.

১৭.

১৮.

এবার একটা টিপিকাল আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ দেখেন: এখানে