রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০০৮

যুদ্ধের কী দরকার!

একটা সময় যখন কোথাও হত ভাতের কষ্ট,
তেড়ে গিয়ে অন্য দেশে করতো জীবন নষ্ট।
লুট করতো গরু বাছুর, ধন-সম্পদ যত,
মারতো মানুষ, পুড়তো বাড়ী, অনেক হতাহত।

লুট করেও অনেকের হয়না অভাব শেষ,
ধরে নিয়ে যেত, দিতো দাসের বেশ।
আমেরিকার কথাই ধরো, ওবামার ঐ দাদা,
আফ্রিকাতে বাড়ি তাঁদের, দাস ছিল একদা।

ভারতের পাশে আছে, দেখো সোনার দেশ,
ইংরেজরা ছুটে এল, করলো সবই শেষ।
নিজের দেশে নাই সম্পদ, নাই তো থাকার জায়গা,
কী করা তাই, করায় হেথায় নীল চাষ আর মংগা।

করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে, সম্পদ যা ছিলো,
সবই তখন জাহাজ চেপে, ঐদেশেতে গেলো।
এদেশেরই রক্ত চুষে, চকচকে হয় দেশ,
ধন-সম্পদ সবই গেল, মরে সবাই শেষ।

এখন দেখ আবার তাঁদের, অভাব তাড়া করে,
নিজ দেশেতে নাই সম্পদ, রক্ত চক্ষু ঘোরে।
মারবে নাকি লোক আবারো? করবে কি লুটপাট?
অভাব তাঁদের একার নাকি! অন্যেরা কি বাদ?

খুনাখুনি, নীলচাষী, দাসের দিন শেষ,
তাতে কি, সমস্যা নাই, চলো বাংলাদেশ।
মোবাইল ফোনের ব্যবসা, লাভ কত জানো!
বছর শেষে শত কোটি ডলার গুনে আনো।

আরো আছে কত শত, ঠকানোর উপায়,
পেপার-খেলায় পয়সা ঢালো, কে আর ঠেকায়!
ঘুষ দিলে সবই ভুলে দিবে কাপড় তুলে,
যতই মারো, প্রতিবাদ করবে নাতো ভুলে।

তাইতো বলি, অবস্থাটা বদলেনি একটুও,
একই ভাবে যাচ্ছে সবই, একটু ভাবিও।
লোক মেরে আর লাভ কি বল! কয় টাকা আর পাবে!
তার চে ভাল এইভাবেই, সবই তাঁদের হবে।

সম্পদ চাও? এই যুগে ভাই দরকার নাই যুদ্ধ,
ব্যবসা কর ইচ্ছামত, লোকগুলো সব বুদ্ধু।
মারামারি, কাটাকাটির দিনতো কবে শেষ,
সবাই এসে শোষন করে সোনার বাংলাদেশ।

=====

কেমন করে ঠেকাবো তা, সেটাই শুধু খুঁজি,
থাকবো ঝকমকে দেশে, চোখ না খুলেই বুঝি।
আপাতত মাথায় কিছুই খেলছে নারে ভাই,
সবে মিলে মানুষের সচেতনতা বাড়াই।

বেশির ভাগই যদি বুঝি ওদের চতুরতা,
জেগে জেগে ঘুমালে কেউ. পিন দিয়ে দেব গুতা।

তারপরেতেও ঘুমানোর ভান করে থাকলে,
শত মাথা কুটলেও কভু না জাগলে ...
ধরে দেব কষে মাইর ...
লাথি, চাটি দুই চাইর
গদি থেকে নামাবো
ঘুম সব ভাঙ্গাবো।

(প্রজন্ম ফোরামসচলায়তনে প্রকাশিত)

কোন মন্তব্য নেই: