শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০০৮

গুড়াদুধ রাখার জরিমানা - উদোর পিন্ডি কার ঘাড়ে?

খবরে দেখলাম/শুনলাম মেলামাইন পাওয়া গেছে এমন গুড়াদুধ রাখার দায়ে কয়েকটি দোকানকে জরিমানা করেছে RAB এর ম্যাজিস্ট্রেট। প্রশ্নটা তখনই জাগে কেন?

সরকার ক্ষতিকারক দুধ নিষিদ্ধ করেছেন এবং বাস্তবেও কার্যকর করতে চাচ্ছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে উদোর পিন্ডি বুধোর(নাকি বুদোর চিন্তিত ) ঘাড়ে চাপানোর মত করে ফেলছেন বলেই মনে হচ্ছে।

এর আগেও খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য জরিমানা হয়েছিল ... সেখানে আপত্তি করি নাই বরং মানসিক সমর্থন ছিল, কারণ, ক্রেতার জন্য ক্ষতিকারক জিনিষগুলো ঐ ব্যবসায়ীরাই স্বেচ্ছায় বানিয়েছিল। কাজেই ওরাই শাস্তিযোগ্য।

কিন্তু গুড়াদুধের মেলামাইনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম। আমি মনে করি না যে ব্যবসায়ীরা এরকম একটা ক্ষতিকর জিনিষ জেনেশুনে তাঁদের দোকানে এনেছেন/রেখেছেন। বরং আমদানীকারক ব্যবসায়ী হয়তো জেনেশুনে কাজটি করেছে (তেজষ্ক্রিয় গুড়াদুধের পর্বটা মনে পড়ে যায়)।

বার্ড ফ্লু-র সময় আক্রান্ত মুরগী মেরে ফেলায় সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। এরকম ভাবে ব্যবসার জন্য দুধ এনে যখন দেখা গেল ঠকিয়েছে এবং ক্ষতিকারক জিনিষ গছিয়ে দিয়েছে, তখন সেটা ফেলে দিয়ে সরকারের কি উচিত না আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে যুক্তিসংগত ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং জেনেশুনে ক্ষতিকারক পদার্থ সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা?

দুষ্ট কিছু ব্যবসায়ী হয়তো এখান থেকেও অন্যায় সুবিধা আদায় করতে চাবেন .... গুড়োদুধ বলে চুন ফেলে দিয়ে ক্ষতিপুরণ নেবেন। কিন্তু তাই বলে যদি পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে কি অন্য সব ব্যবসায়ী তাঁদের আর্থিক ক্ষতি বাঁচাতে অন্যের বাচ্চা মারতে দ্বিধা করবে? দেশের ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে এই পথে ঠেলে দেয়ার জন্য আসল দায়ী কে হবে?

কারো পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য পোস্ট করছি না। আবার এটা ভাবারও কোন কারণ নাই যে আমার সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ ব্যবসায়ী। একই ভাবে ঐ দুধও আমি বাজারে চাই না।

(হুট করে লেখা অগোছালো পোস্ট - এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী)

(সচলায়তনে প্রকাশিত)

কোন মন্তব্য নেই: