মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০০৭

পাসপোর্ট নবায়ন করিয়েছিলাম

২০০৬ সালের কথা। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাই নবায়ন করতে হবে। সে সময়ে থাকতাম জাপানে। রিসার্চের কাজে বছরে গড়ে চারবার করে দেশে যেতে হলেও সেই সফরের স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট অফিসের খপ্পরে পড়তে মন সায় দেয়নি। বলা তো যায় না, শেষে দেখা যাবে আমার কনফার্ম করা রিটার্ন টিকিটের ফ্লাইটে চড়তেই পারছি না। তাছাড়া ডেটা সংগ্রহের কাজে ঢাকার বাইরে থাকা অবস্থায় এদিকেও তদারকি করা সম্ভব না। তাই ঠিক করলাম কপালে যাই থাক জাপান থেকেই পাসপোর্ট নবায়ন করাবো।

বাংলাদেশ এম্বেসীর ওয়েবসাইট ঘেটে জানতে পারলাম কিভাবে কী করতে হবে। ফর্ম ডাউনলোড করে সেটা পূরণ করে সবচেয়ে দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ফী সহ পাসপোর্টটি পোস্ট করে দিলাম এম্বেসীর ঠিকানায়। দুই দিন পরে ফোন করে জানলাম জিনিষ পৌছেছে জায়গামত। তারপর শুধু অপেক্ষা।

৩ দিনে নবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ফী সহ পাঠিয়েছিলাম, সেই হিসেবে সব মিলিয়ে মোট ৭ দিন (২+৩+২) লাগার কথা। কিন্তু ৮ দিন পরেও কোন খবর নাই। একটু টেনশন লাগছিল। অবশ্য পরে ভাবলাম, এখানেও বোধহয় পাসপোর্ট অফিসের কালচার হবে ... দালাল টাকা নেয় ৩ দিনের তারপর ঘুরাতে থাকে। অবশেষে ১৫ দিন পরে দেয়। ৩ দিনের চেয়ে ১৫ দিনের ফী অনেক কম। বাকী টাকা দালালের পকেটে।

তাই, অপেক্ষা করতে থাকলাম। এখানে হয়তো ৭ দিনের অপশনে করবে। যা ভেবেছিলাম তাই হল বোধহয় ১১ দিনের (২+৭+২) মাথায় পাসপোর্ট হাজির। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হল কিছু টাকা (ইয়েন) ফেরৎ এসেছে। এম্বেসীর কর্মকর্তা ৭ দিনের ফী জমা রেখে বাকী টাকা (ইয়েন) ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: