কত কপি করে রে!
কয়েকদিন আগেই আগের সেমিস্টার (ট্রাইমিস্টার) শেষ হলো। ঠিক সময়ে খাতা দেখে জমা দেয়া অসম্ভব বলে মনে হয়েছে এ পর্যন্ত। শেষ যেই খাতার বান্ডিলটা ছিল, সেটা দেখে মনে হল - বেশ কয়েকজন ভরপুর নকল করেছে। ঐ পরীক্ষায় ইনভিজিলেটর কে ছিল সেটা খেয়াল নাই (আমি ছিলাম না); তবে সে সম্ভবত পরীক্ষার গার্ড দেয়ার বদলে নিজের ভাগের খাতা দেখেছে বসে বসে।
এই গ্রুপটার খাতা আগেও দেখেছি দুটো মিডটার্ম পরীক্ষায়। আহামরি কিছু নাই ... কিন্তু ফাইনালের খাতায় নিখুত ইংরেজি দেখেই সন্দেহ হচ্ছে ... ... এমনকি আমার দেয়া ক্লাসনোটে দুই জায়গায় টাচপ্যাডের কল্যানে / টাইপিং এর ভুলে কোনো কোনো শব্দের মাঝখানে সংখ্যা পড়ে গিয়েছিল (যেমন diffic3ult); সেগুলোও ঐ ভুল সহ খাতায় নিখুত ভাবে লেখা!! যাঁরা সত্যই পড়েছে আর যারা না পড়েই লিখছে তাদের আলাদা করতে না পেরে মেজাজ একটু খারাপ।
একই ব্যাপার দেখা যায়, হোম এসাইমেন্টের ক্ষেত্রে; একই ভুল অনেক খাতায় পেলে সবগুলোতেই শূণ্য দিতে হয়। আবার পরীক্ষার খাতায় দেখা যায় এক প্রশ্নসেটের উত্তরে আরেক সেটের ডেটা দিয়ে সমাধান করা ... ... সাথে সাথে শূণ্য। ওপেন বুক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ডেটার বদলে বইয়ের ডেটার সমাধান কপি করা!!
ছাত্রাবস্থায় ঐতিহাসিক কপি করার কাহিনীগুলো মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তো। যেমন কোনো এক বড়ভাই সেশনালের খাতা কপি করার সময় ভুলে আরেকজনের নাম রোল নং শুদ্ধ লিখে দিয়েছিল!! কোনো স্কুলে নাকি কপি করতে গিয়ে বাবার নামে আরেকজনের বাবার নাম বসিয়ে দিয়েছিল।
তবে, লেটেস্ট যেটা শুনলাম (পুরাতন কাহিনী হয়তো) সেটা হল: কোনো এক ছাত্র একটি প্রশ্নের উত্তরে লিখেছে - "প্রমথ চৌধুরী"। পাশের জন দেখে কপি করেছে - "প্রথম চৌধুরী"! তারও পাশের জন ওটা দেখে লিখেছে "১ম চৌধুরী"!!
এরা পাশ করে কর্মক্ষেত্রে কী করবে .. ... .... :(
(সচলায়তনে প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন