সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ভিডিও পোস্ট: নীলিয়া - এই হাসি এই কান্না


এর আগে কখনো ভিডিও এডিট করিনি। হঠাৎ করে কেন জানি ভিডিও এডিট করার শখ জাগলো। এই শখ পূরণের ব্যাপারটা বেশ রোমাঞ্চকর।

ফ্রীতে ভাল এবং পেশাদার ভিডিও এডিটর নাই শুনেছিলাম। কিন্তু কাজ চালানোর মত ওপেন সোর্স এবং ফ্রী এডিটর আছে কয়েকটা -- এগুলো দিয়ে ভালমানের কাজও করা সম্ভব বলে কেউ কেউ অভিমত দিয়েছে। যা হোক, একটু গুতাগুতি করে LIVES দিয়ে প্রথমবার এডিট করে রেন্ডার করলাম। ওপেন ফরমেটে সেভ করার পর ঠিকঠাক দেখালেও winff দিয়ে flvতে পরিবর্তনের পর সাউন্ড আর ছবি কেন জানি আগুপিছু হয়ে গেল। এরপর নামালাম Pitivi ... এটা আসলেই খুব সোজা। স্যাম্পল হিসেবে ২৩ সেকেন্ডের একটা ভিডিও নিলাম, যেটার আকার ছিল প্রায় ২৮ মেবা। যা হোক, এডিট সহ ছোট আকারে flvতে রেন্ডার করার পর আকার হল ২.২ মেবা।

ভিডিওটির শুরু আর শেষে দুটো স্লাইড যোগ করা হয়েছে। সেই স্লাইডগুলো Inkscape দিয়ে বানিয়ে নিয়েছিলাম। আর সরাসরিই পিটিভি থেকে flvতে রেন্ডার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল - Blur (বিস্তারিত)

বোকে ফটোগ্রাফিতে পেছনের বস্তু ঘোলা আসে লেন্সের কারিগরিতে। এখানে অবশ্য এডিট করে ঘোলা করা হয়েছে, যা কোন ছবিতে বিশেষ কিছু অংশকে হাইলাইট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অনেকগুলো ছবি দিলে স্ক্রল করতে বিরক্ত লাগে তাই এনিমেশন আকারে দিলাম। যদি টাইমিং বেশি দ্রুত মনে হয়, তাহলে এটাকে নিজের কম্পিউটারে সেভ করে গিম্প দিয়ে খুলে প্রতিটা ফ্রেম ইচ্ছামত দেখতে পারবেন। আশা করি এটা একেবারে নতুনদেরকেও বৈধভাবেই বিনামূল্যের ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গিম্প ব্যবহারে সাহসী করে তুলতে কিঞ্চিত উৎসাহী করতে পারবে।

প্রথমেই গিম্পে উদ্দিষ্ট ছবি খুলতে হবে। সেটা গিম্প খুলে ফাইল মেনু থেকেও করা যায় আবার সরাসরি ছবিতে মাউসের ডান ক্লিকে Open with অপশন ব্যবহার করেও করা যায়। নিচের দেখানো কাজটি অন্যভাবেও করা যায়, তবে এই পদ্ধতিটি আমার কাছে সহজ মনে হয়।

সরাসরি ছবিতে কোনো অংশ নির্বাচিত করে সেটাকে সরাসরি blur করে দেয়া যায়, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডের মত অনিয়মিত আকারকে সরাসরি ঠিকভাবে সিলেক্ট করাটা আমার কাছে বিরাট অসুবিধাজনক মনে হয়।

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

GIMP টিউটোরিয়াল - Blur

কথা কম কাজ বেশি। দেয়াল পরিষ্কার করতেও নির্দিষ্ট অংশ নির্বাচন করে Filters --> Blur --> Gaussian Blur ব্যবহৃত হয়েছে। আরও ভালো আইডিয়া পেতে এই এনিমেশনটি (gif ইমেজটি) ডাউনলোড করে গিম্প দিয়ে খুলে দেখুন। আসলে মূল ছবিটা ফ্রেম-১এ আর ফ্রেম-১৫ এবং ১৬ মিলিয়ে উদ্দিষ্ট ছবিটা পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সিনেমা দেখে হাসতে বেশি ভালো লাগে

মনে পড়ে পরীক্ষার সময় টেনশন কমাতে মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধব মিলে বিডিআরে চলে যেতাম। ১০-১২ জন এক লাইনে বসে ৬ টাকার টিকেটের সিনেমা দেখছি। সিরিয়াস সিনেমায় নায়িকা নাচছে, পেছনে এক দঙ্গল সখি। একজন বললো দ্যাখ্ দ্যাখ্ সৌরভের বান্ধবী - কারণ সৌরভের টি-শার্টও হলুদ, আর নায়িকার নৃত্যরত সখিদের পোশাকও হলুদ -- খবরটা একজন থেকে আরেক জন হয়ে রিলে হতে হতে গ্রুপের সকলের কাছে গেল ---- সৌরভসহ সকলেই উচ্চস্বরে হাসাহাসি ..... পেছনে সিরিয়াস দর্শকদের রক্তচক্ষু। কিংবা চাকুরী বঞ্চিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ডায়লগ - "কী লাভ হল এ্যাত ভাল পরীক্ষা দিয়ে ৭টা লেটার নিয়ে এইচএসসি পাশ করে ........... " - আরেক দফা হাসির ঝড়, পেছনের সিরিয়াস দর্শকগণ মহা বিরক্ত। কারণ তাঁরা জোকটি ধরতে পারেননি (--- মনে হয় কখনই পারবেন না। ক্লু: এইচ এস সিতে সব মিলিয়ে ৬ সাবজেক্ট, অথচ নায়ক ৭ লেটার পায়)। কিংবা ধরুন, গ্রামের ষোড়শী (ধুমসী) নায়িকা গাছের ডাল না ভেঙ্গে, সেখানে বসে সদ্য আগত নায়কের মাথায় ছোট্ট ইট মারে --- গ্রামের ষোড়শী হলে কি হবে মুখে পুরু মেক-আপ, শ্যাম্পু-আয়রন করা খোলা চুল আর পুরু লিপস্টিক দেখে হাসাহাসি হবে নাই বা কেন? বাংলা ছবির নাচ মানে তো ওয়ান টু ওয়ান টু করে জগিং স্টাইলে নড়াচড়া, উঠাবসা - দেখলে হাসি ছাড়া গালিও আসে না। বন্ধু বান্ধব ছাড়া বাংলা ছবির পুরা মজা নেয়া যায় না --- বন্ধু বান্ধব নাই তো বাংলা সিনেমা দেখাও নাই।

ছোট বেলায় বিটিভিতে ছুটির দিন দুপুরে বাংলা ছবি দেখাতো। ওহ্ সেই একই প্যান প্যান, ঘ্যান ঘ্যান, দূঃখ কষ্টের কাসুন্দি। এক ভুল মানুষ বার বার করে না, তাই ঐ সিনেমাগুলো তেমন দেখা হত না। কিন্তু কার্টুন মিস করতে চাইতাম না। ব্যক্তিগতভাবে সিনেমা হল আমার কাছে বিনোদনের মাধ্যম। হয় এটা আমাকে একটা কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে নাহলে হাসাবে ---- কান্নাকাটি মার্কা সিনেমা আমার দুই চোখের বিষ। সময়, অর্থ খরচ করে সিনেমা হলে কিংবা টিভিতে কান্নাকাটি মার্কা সিনেমা দেখার কোন মানে হয় না - কারণ কান্নাকাটি করার জন্য আমার এবং আমাদের জীবনে দূঃখ কষ্টের তেমন একটা ঘাটতি নাই।

এজন্য সায়েন্স ফিকশন আর কমেডি (humor) আমার প্রিয় সিনেমার ধরণ। প্রিয় নায়ক জ্যাকি চ্যান - এ্যাকশন আর মুখভঙ্গি দেখে হাসি আসবেই, কোনো টেনশন নাই -- কারণ আল্টিমেটলি নায়ক জিতবে, কেউ মারা যাবে না; আর হিন্দি হলে গোবিন্দ -- নো টেনশন মার্কা সিনেমা, ডায়লগ শুনে খালি হাসতে হবে। এছাড়া সায়েন্স কিংবা ফিকশন: Star Trek, Star Wars, Day after tomorrow, 2012, The Da Vinci Code, The Lord of the Rings ইত্যাদি টাইপের কিংবা অ্যানিমেটেড কার্টুন - Kungfu Panda, Ice Age, Avatar the last air bender ইত্যাদি দেখতে ভাল লাগে।

নো টেনশন মার্কা সিনেমাও খারাপ লাগে না। যেমন: The Five Man Army, The lost platoon (অনেকটা ভুতের), Roman Holiday, Chocolat (চকলেট নয় বরং এটাকে উচ্চারণ করেছিলো "শোকোলা"), You've got mail ইত্যাদি। আর জ্যাকি চ্যান বাদে কমেডির মধ্যে অ্যাডাম স্যান্ডলারের মুভি পাইলেই দেখি। বেন স্টিলারের মুভিগুলোও খারাপ লাগে না। এছাড়া কমেডির মধ্যে The Gods must be crazy (সিকুয়েল ২ টাও ভাল লেগেছে, ৩ নং টা ভাল লাগেনি), Three Stooges, Mr. Bean ইত্যাদি ভাল লাগে। হ্যারি পটার এবং জেমস বন্ডের সিনেমায় টেনশন, খুনাখুনি বেশি - তারপরেও একবার দেখি।

আমার সম্বন্ধী কিংবা বউ সকলেই সিরিয়াস টাইপের সিনেমা দেখে। যেমন: Enemy at the gates, The Shawshank Redemption, Forrest Gump ইত্যাদি (এওয়ার্ড পাওয়া ছবি লিস্ট ধরে সংগ্রহ করে।)। ওদের পাল্লায় পরে আমাকে মাঝে মাঝে এগুলোও দেখতে হয়। সিঙ্গাপুর সফরের সময়ে যেই মুভিগুলো কিনলাম সেগুলোতে Who am I, The Gods must be crazy'র পাশাপাশি সেই Sunflower, Roman Holiday, দহন, মাসুম - টাইপের সিনেমায় ভর্তি যা আমি কখনই দুইবার দেখতে আগ্রহী না।

বাসায় দেখা যায়, চ্যানেল ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত কার্টুন চ্যানেল (কার্টুন চ্যানেল, ডিজনি চ্যানেল, পোগো, নিকলোডিয়ান ইত্যাদি) দেখছি। অনেকবার এমন ঘটেছে যে মেয়েকে (২+ বয়স) সঙ্গ দেয়ার জন্য ওর সাথে কার্টুন দেখতে বসেছি ................. তারপর মেয়ে কখন অন্য ঘরে চলে গিয়ে নিজের মত খেলছে সেটা জানিনা - ধেড়ে শিশু (আমি) কার্টুন চ্যানেলের সামনে ঘন্টা পার করে দিয়েছি।

ঢাকায় বেড়াতে আসা ছোট্ট চাচাতো ভাইয়ের আব্দার রাখতে তাঁকে খোঁজ দ্যা সার্চ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম সিনেপ্লেক্সে। মনে পড়ে, অন্য হলগুলোতে ভালো ভালো ইংলিশ ও বাংলা মুভিও ছিল, কিন্তু ভাইয়ের ডিমান্ড অনুযায়ী তাঁর সাথে খোঁজের হলেই যেতে হয়েছিলো। হলে সিনেমা চলাকালীন সময়ে চেষ্টা করেও চোখ বন্ধ করে রেস্ট নিতে পারিনি। কারণ নায়ক যখনই কোনো ডায়লগ দিচ্ছে হল ভর্তি (হাউজফুল ছিলো) দর্শক উচ্চস্বরে হেসে উঠছে। আমিও হাসছি, কারণ চোখ বন্ধ হলে কি হবে কান তো খোলাই ছিল। এরপর চোখ খুলতে বাধ্য হয়েছিলাম - ঐ এপিক সিনেমা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে মন চায়নি। এ্যাতদিন পর বন্ধু বান্ধব ছাড়াই হল ভর্তি দর্শক উচ্চস্বরে হাসতে দেখে - বাংলা ছবি দেখার আনন্দটা আবার ফিরে এল। ধন্যবাদ হে অনন্ত জলিল, তোমার কল্যানে হল ভর্তি বন্ধু পাওয়া গেল।

প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের নাটকগুলোর মধ্যে হাস্যরস ছিল একটা অন্যতম আকর্ষণ - অবশ্য সেটার উপস্থাপনা হত অন্য রকম উপায়ে। আমি চাই অনন্ত জলিল সাহেব এভাবেই সিনেমা করুক - বাচনভঙ্গি অপরিবর্তিত রাখুক। চরম অ্যাকশন, ইফেক্টসের মাঝে কমেডি একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরী করে। উনার মুখ খুললেই কমেডি, নড়াচড়াতেই কমেডি .... আমার মত অনেকেই শুধুমাত্র এই বিনোদন টুকুর জন্যই জলিল সাহেবে ছবি দেখতে হলে যাব।